দেব দর্শনে পাগল জনতা
মণিপুষ্পক সেনগুপ্ত
ঘাটাল: দেব ম্যানিয়ায় আক্রান্ত মেয়ের সামনেই মা ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিলেন 'পাগলু'-কে৷ 'পাগলু' সেই উড়ন্ত চুম্বন লুফে নিয়ে ফেরত দিলেন ফ্লাইং কিস৷ মা-মেয়ের সে কী হাসি৷
দোতলা বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধা শাঁখ বাজিয়ে অভিনন্দন জানালেন 'পাগলু' দেবকে৷ হুডখোলা জিপ থেকে দেবও হাত জোড় করে প্রতি নমস্কার জানালেন৷
শনিবার এ ভাবেই ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর (দেব) রোড-শো চলল বিকেল জুড়ে৷ দেব-দর্শনের জন্য আবালবৃদ্ধবনিতার সে কী আকুতি! রাস্তায় নায়কের জিপ ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উন্মাদনা দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা ভোটের প্রচার চলছে৷
দেবকে এক পলকের একটু দেখার জন্য ঘাটাল জেলের বন্দিদের কাকুতি-মিনতিও নজিরবিহীন৷ তাঁদের নাছোড়বান্দা দাবি, গারদ খুলে দিয়ে এক মুহূর্তের জন্য হলেও নায়ককে দেখার ব্যবস্থা করে দিতে হবে৷ জেলের বাইরের রাস্তার দু'পাশে তখন কয়েক হাজার মানুষের ভিড়৷ জেলের ভিতরে আর বাইরে--সকলের মুখেই শুধু দেব আর দেব৷ শেষ পর্যন্ত বন্দিদের মনোবাঞ্ছাও পূর্ণ হল দেব পৌঁছনোর পর জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা ফটকের একাংশ খুলে দিতে৷ সেই ফাঁক দিয়েই হুমড়ি খেয়ে পড়লেন বন্দিরা৷
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘাটালের কুশপোতা থেকে শুরু হল দেবের প্রথম নির্বাচনী প্রচার৷ চার ঘণ্টা পর প্রচার যখন শেষ, দেবের সাদা শার্টে তখন লিপস্টিকের বেশ কয়েকটি দাগ৷ কী ভাবে এই দাগ এল, তা অবশ্য ভিড়ের মাঝে বুঝে ওঠা যায়নি৷ এমনকী দেবের হাতেও লাল লাল ছোপ৷ নায়কের রোড-শোয়ের কথা আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল ঘাটালের আনাচে-কানাচে৷ তাই বেলা ১২টা থেকেই চড়া রোদ উপেক্ষা করে শহরের রাস্তার দু'পাশে লোক জমতে শুরু করে৷ তারও দু'ঘণ্টা পর বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে জনতার ভিড় ঠেকাতে৷ কিন্ত্ত ভিড় ঠেকাবে কী, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাও যে অচিরেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেই দেবকে দেখতেই! অটোগ্রাফ নিতেও ছোটেন অত্যুত্সাহী কোনও কোনও পুলিশকর্মী৷ তাদের পিছন পিছন ছুটতে দেখা যায় কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া তরুণীকে৷ পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে দেবের জিপের পিছনের গাড়িতে থাকা তৃণমূলকর্মীরা মাইকে চিত্কার করতে থাকেন, 'পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করছি, দেবকে পরে দেখবেন৷ আগে ভিড় সামলান৷' দেবের ঠোঁটের কোণায় তখন মুচকি হাসি, কর্মীদের আশ্বস্ত করে বললেন, 'ভয় নেই৷ এঁরা সবাই আমাকে ভালোবাসেন৷ আপনারা চিন্তা করবেন না৷'
ঠিক ছিল দেবকে নিয়ে এ দিন ঘাটালের বিভিন্ন প্রান্তে রোড-শো হবে৷ কিন্ত্ত মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা পেরোতেই কেটে যায় পাক্কা দেড় ঘণ্টা৷ তাই কর্মসূ্চি কাট-ছাঁট করতে হয়৷ বড় রাস্তা ছেড়ে জিপ যখনই পাড়ার ভিতরে ঢুকেছে, তখনই শুরু হয়েছে পুষ্পবৃষ্টি৷ ঘাটাল পুরসভা পেরিয়ে জিপ একটি নার্সিংহোমের সামনে আসতেই একদল বৃদ্ধা দেবের দিকে লাল গোলাপ ছুড়ে দিয়ে বললেন, 'নাতি আমার রাজপুত্তুরের মতো দেখতে৷' হেসে ফেলে দেব তাঁদের দিকেও হাত জোড় করে প্রণাম সারলেন৷ পঞ্চায়েত এলাকায় বামফ্রন্টের সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানার সমর্থনে প্রচুর দেওয়াল লেখা হয়েছে৷ তবে সিপিআই পার্টি অফিস থেকেও কর্মীরা বেরিয়ে এসে হাসি মুখে হাত নাড়লেন 'খোকাবাবু'র প্রতিই৷
ঘাটাল: দেব ম্যানিয়ায় আক্রান্ত মেয়ের সামনেই মা ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিলেন 'পাগলু'-কে৷ 'পাগলু' সেই উড়ন্ত চুম্বন লুফে নিয়ে ফেরত দিলেন ফ্লাইং কিস৷ মা-মেয়ের সে কী হাসি৷
দোতলা বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধা শাঁখ বাজিয়ে অভিনন্দন জানালেন 'পাগলু' দেবকে৷ হুডখোলা জিপ থেকে দেবও হাত জোড় করে প্রতি নমস্কার জানালেন৷
শনিবার এ ভাবেই ঘাটাল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর (দেব) রোড-শো চলল বিকেল জুড়ে৷ দেব-দর্শনের জন্য আবালবৃদ্ধবনিতার সে কী আকুতি! রাস্তায় নায়কের জিপ ঘিরে হাজার হাজার মানুষের উন্মাদনা দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা ভোটের প্রচার চলছে৷
দেবকে এক পলকের একটু দেখার জন্য ঘাটাল জেলের বন্দিদের কাকুতি-মিনতিও নজিরবিহীন৷ তাঁদের নাছোড়বান্দা দাবি, গারদ খুলে দিয়ে এক মুহূর্তের জন্য হলেও নায়ককে দেখার ব্যবস্থা করে দিতে হবে৷ জেলের বাইরের রাস্তার দু'পাশে তখন কয়েক হাজার মানুষের ভিড়৷ জেলের ভিতরে আর বাইরে--সকলের মুখেই শুধু দেব আর দেব৷ শেষ পর্যন্ত বন্দিদের মনোবাঞ্ছাও পূর্ণ হল দেব পৌঁছনোর পর জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা ফটকের একাংশ খুলে দিতে৷ সেই ফাঁক দিয়েই হুমড়ি খেয়ে পড়লেন বন্দিরা৷
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘাটালের কুশপোতা থেকে শুরু হল দেবের প্রথম নির্বাচনী প্রচার৷ চার ঘণ্টা পর প্রচার যখন শেষ, দেবের সাদা শার্টে তখন লিপস্টিকের বেশ কয়েকটি দাগ৷ কী ভাবে এই দাগ এল, তা অবশ্য ভিড়ের মাঝে বুঝে ওঠা যায়নি৷ এমনকী দেবের হাতেও লাল লাল ছোপ৷ নায়কের রোড-শোয়ের কথা আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল ঘাটালের আনাচে-কানাচে৷ তাই বেলা ১২টা থেকেই চড়া রোদ উপেক্ষা করে শহরের রাস্তার দু'পাশে লোক জমতে শুরু করে৷ তারও দু'ঘণ্টা পর বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে জনতার ভিড় ঠেকাতে৷ কিন্ত্ত ভিড় ঠেকাবে কী, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাও যে অচিরেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেই দেবকে দেখতেই! অটোগ্রাফ নিতেও ছোটেন অত্যুত্সাহী কোনও কোনও পুলিশকর্মী৷ তাদের পিছন পিছন ছুটতে দেখা যায় কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া তরুণীকে৷ পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে দেবের জিপের পিছনের গাড়িতে থাকা তৃণমূলকর্মীরা মাইকে চিত্কার করতে থাকেন, 'পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করছি, দেবকে পরে দেখবেন৷ আগে ভিড় সামলান৷' দেবের ঠোঁটের কোণায় তখন মুচকি হাসি, কর্মীদের আশ্বস্ত করে বললেন, 'ভয় নেই৷ এঁরা সবাই আমাকে ভালোবাসেন৷ আপনারা চিন্তা করবেন না৷'
ঠিক ছিল দেবকে নিয়ে এ দিন ঘাটালের বিভিন্ন প্রান্তে রোড-শো হবে৷ কিন্ত্ত মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা পেরোতেই কেটে যায় পাক্কা দেড় ঘণ্টা৷ তাই কর্মসূ্চি কাট-ছাঁট করতে হয়৷ বড় রাস্তা ছেড়ে জিপ যখনই পাড়ার ভিতরে ঢুকেছে, তখনই শুরু হয়েছে পুষ্পবৃষ্টি৷ ঘাটাল পুরসভা পেরিয়ে জিপ একটি নার্সিংহোমের সামনে আসতেই একদল বৃদ্ধা দেবের দিকে লাল গোলাপ ছুড়ে দিয়ে বললেন, 'নাতি আমার রাজপুত্তুরের মতো দেখতে৷' হেসে ফেলে দেব তাঁদের দিকেও হাত জোড় করে প্রণাম সারলেন৷ পঞ্চায়েত এলাকায় বামফ্রন্টের সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানার সমর্থনে প্রচুর দেওয়াল লেখা হয়েছে৷ তবে সিপিআই পার্টি অফিস থেকেও কর্মীরা বেরিয়ে এসে হাসি মুখে হাত নাড়লেন 'খোকাবাবু'র প্রতিই৷
http://eisamay.indiatimes.com/election-news/dev-in-ghatal/articleshow/32946964.cms?
No comments:
Post a Comment