‘মানবিক’ কমিশনার, কাজের সময় কমল ট্রাফিক পুলিশের
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত কালই পুলিশকে আরও বেশি মানবিক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিত্ কর পুরকায়স্থ। আজ তিনি নিজেই মানবিকতার দৃষ্টান্ত রাখলেন। সোমবার একটি নির্দেশে প্রচণ্ড গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ট্রাফিক পুলিশদের কাজের সময় প্রত্যহ ৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৬ ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
'যে কোনও প্রয়োজনে কেউ থানায় এলে আগে তাঁকে বসতে বলুন৷ ঠান্ডা জল খাওয়ান৷ তারপর তাঁর সঙ্গে কথা বলুন৷' গত কাল ই লালবাজারে ক্রাইম কনফারেন্সে শহরের সবক'টি থানার ওসিকে এই পরামর্শই দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার তিনি৷ গরমের সময় কেউ কোনও অভিযোগ নিয়ে থানায় এলে এমনিতেই তিনি খুব উত্তেজিত অবস্থায় থাকেন৷ থানার যে অফিসারের কাছে তিনি অভিযোগ জানাতে যাবেন, তিনি যদি অভিযোগকারীকে অন্তত ঠান্ডা জল খাওয়ার অনুরোধ করেন, তাতেই অভিযোগকারীর উত্তেজনা অনেকটা লাঘব হয় বলেই মনে করছেন পুলিশকর্তারা৷ থানার অফিসারদের মনোভাব বদলের জন্য তাই এমন নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের৷ ক্রাইম কনফারেন্সে শহরের ৬৯টি থানার ওসির উদ্দেশে পুলিশ কমিশনার এও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ থানাতেই ওয়াটার পিউরিফায়ার বা পিউরিফায়ার কাম কুলার আছে৷ কয়েকটি থানায় সেগুলি খারাপ হয়ে পড়ে আছে৷ আর সংযুক্ত এলাকার নতুন কয়েকটি থানায় কুলার নেই৷ এই থানাগুলিতে খারাপ হওয়া কুলার মেরামত অথবা নতুন কুলার বসানোর নির্দেশও দিয়েছেন সিপি৷
থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ভালো ব্যবহার, গরিব-বড়লোক ভেদাভেদ না করা, এমন নির্দেশ মাঝেমধ্যেই দেন সিপিরা৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এমন পরামর্শ দিতেন৷ পুলিশের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের সম্পর্ক নিবিড় গড়ে তুলতেই সিপির এই নির্দেশ বলে লালবাজারের কর্তাদের অভিমত৷ তবে কোন তহবিল থেকে এই ওয়াটার কুলার বা পিউরিফায়ার কেনা হবে, তার কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশ দেননি সিপি৷ থানার আপত্কালীন তহবিল থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে কি না, তাও ওসিদের কাছে পরিষ্কার নয়৷
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের আগেই অবশ্য কয়েকটি থানার ওসি নিজেদের উদ্যোগে ওয়াটার কুলার লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন৷ তবে মাঠে নেমে নিচুতলার যে পুলিশকর্মীদের ডিউটি করতে হয়, তাঁদের কাজের পরিবেশ না বদলালে পুলিশের সার্বিক মনোভাবের কতখানি বদল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসারই৷ তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, ট্র্যাফিক পুলিশ এবং তাঁদের সাহায্যকারী গ্রিন পুলিশের কর্মীদের গরমে গ্লুকোজ, ছাতা এবং নেক কুলার দেওয়া হয়৷ কিন্ত্ত তা পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়৷ তাঁদের ডিউটির রুটিনেরও বদল দরকার৷ আবার অনেক থানাতে পুলিশকর্মীদেরই ভালো করে বসারও জায়গা নেই৷ সংযুক্ত এলাকার কয়েকটি থানায় তো মশার কামড় বা সাপের উপদ্রবেও জেরবার হতে হয় পুলিশকর্মীদের৷ এমনকি, গত পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটিতে গিয়ে চরম অব্যবস্থার শিকার হতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের৷ সেই পরিকাঠামোর আগে বদল দরকার৷
'যে কোনও প্রয়োজনে কেউ থানায় এলে আগে তাঁকে বসতে বলুন৷ ঠান্ডা জল খাওয়ান৷ তারপর তাঁর সঙ্গে কথা বলুন৷' গত কাল ই লালবাজারে ক্রাইম কনফারেন্সে শহরের সবক'টি থানার ওসিকে এই পরামর্শই দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার তিনি৷ গরমের সময় কেউ কোনও অভিযোগ নিয়ে থানায় এলে এমনিতেই তিনি খুব উত্তেজিত অবস্থায় থাকেন৷ থানার যে অফিসারের কাছে তিনি অভিযোগ জানাতে যাবেন, তিনি যদি অভিযোগকারীকে অন্তত ঠান্ডা জল খাওয়ার অনুরোধ করেন, তাতেই অভিযোগকারীর উত্তেজনা অনেকটা লাঘব হয় বলেই মনে করছেন পুলিশকর্তারা৷ থানার অফিসারদের মনোভাব বদলের জন্য তাই এমন নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের৷ ক্রাইম কনফারেন্সে শহরের ৬৯টি থানার ওসির উদ্দেশে পুলিশ কমিশনার এও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ থানাতেই ওয়াটার পিউরিফায়ার বা পিউরিফায়ার কাম কুলার আছে৷ কয়েকটি থানায় সেগুলি খারাপ হয়ে পড়ে আছে৷ আর সংযুক্ত এলাকার নতুন কয়েকটি থানায় কুলার নেই৷ এই থানাগুলিতে খারাপ হওয়া কুলার মেরামত অথবা নতুন কুলার বসানোর নির্দেশও দিয়েছেন সিপি৷
থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ভালো ব্যবহার, গরিব-বড়লোক ভেদাভেদ না করা, এমন নির্দেশ মাঝেমধ্যেই দেন সিপিরা৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এমন পরামর্শ দিতেন৷ পুলিশের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের সম্পর্ক নিবিড় গড়ে তুলতেই সিপির এই নির্দেশ বলে লালবাজারের কর্তাদের অভিমত৷ তবে কোন তহবিল থেকে এই ওয়াটার কুলার বা পিউরিফায়ার কেনা হবে, তার কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশ দেননি সিপি৷ থানার আপত্কালীন তহবিল থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে কি না, তাও ওসিদের কাছে পরিষ্কার নয়৷
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের আগেই অবশ্য কয়েকটি থানার ওসি নিজেদের উদ্যোগে ওয়াটার কুলার লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন৷ তবে মাঠে নেমে নিচুতলার যে পুলিশকর্মীদের ডিউটি করতে হয়, তাঁদের কাজের পরিবেশ না বদলালে পুলিশের সার্বিক মনোভাবের কতখানি বদল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসারই৷ তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, ট্র্যাফিক পুলিশ এবং তাঁদের সাহায্যকারী গ্রিন পুলিশের কর্মীদের গরমে গ্লুকোজ, ছাতা এবং নেক কুলার দেওয়া হয়৷ কিন্ত্ত তা পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়৷ তাঁদের ডিউটির রুটিনেরও বদল দরকার৷ আবার অনেক থানাতে পুলিশকর্মীদেরই ভালো করে বসারও জায়গা নেই৷ সংযুক্ত এলাকার কয়েকটি থানায় তো মশার কামড় বা সাপের উপদ্রবেও জেরবার হতে হয় পুলিশকর্মীদের৷ এমনকি, গত পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটিতে গিয়ে চরম অব্যবস্থার শিকার হতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের৷ সেই পরিকাঠামোর আগে বদল দরকার৷
No comments:
Post a Comment