ইশরত মামলায় ফের বিপাকে বিজেপি, সিডি ঘিরে জল্পনা তীব্র
নয়াদিল্লি: ইশরত জাহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে ফের বিপাকে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী৷ মঙ্গলবার জল্পনা ছড়ায়, এই মামলা সংক্রান্ত একটি অডিও সিডি-র উপর ভিত্তি করে গুজরাটের বিজেপি সরকারের প্রাক্তন কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই৷ সূত্রের খবর, ইশরত মামলার মোড় ভুল দিকে ঘুরিয়ে দিতে ২০১১ সালের নভেম্বর মাসের এক দিনে গুজরাট পুলিশের কয়েকজন শীর্ষকর্তা এবং ওই মন্ত্রীদের মধ্যে হওয়া কথাবার্তাই রেকর্ড করা রয়েছে ওই সিডি-তে৷ সিবিআই অবশ্য এই খবর অস্বীকার করেছে ৷
সূত্রের খবর, সাসপেন্ড হওয়া আইপিএস অফিসার জি এল সিংহলের কাছ থেকেই ওই অডিও সিডি সিবিআই-এর হাতে এসেছে৷ ৭০ মিনিটের ওই রেকর্ডিংয়ে শোনা যাচ্ছে, মোদীর ব্যক্তিগত সচিব জি সি মুর্মু, এ কে শর্মা এবং গুজরাট সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালেও মুর্মু এবং শর্মাকে জেরা করেছিল সিবিআই৷ এ দিন সিবিআই-এর তরফে একটি বিবৃতিতে অবশ্য দাবি করা হয়, 'ইশরত জাহান মামলায় সিবিআই একটি প্রাথমিক তদন্ত দায়ের করেছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রচার করা হচ্ছে৷ আমরা পরিষ্কার ভাবে জানাতে চাই যে, এ ধরনের কোনও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়নি৷'
২০০৪ সালের ১৫ জুন গুজরাট পুলিশের হাতে নিহত হন বছর উনিশের ছাত্রী ইশরত জাহান, এবং প্রাণেশ পিল্লাই (ওরফে জাভেদ গুলাম শেখ), আমজাদ আলি রানা এবং জাসিম জোহর নামে তিন যুবক৷ গুজরাট পুলিশ ও আইবি-র দাবি ছিল, ওই চারজন লস্কর-এ-তৈবার সদস্য এবং তারা মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল৷ পরে প্রমাণিত হয়, সাজানো বা ভুয়ো সংঘর্ষেই ঠান্ডা মাথায় ইশরতদের হত্যা করা হয়েছিল৷ অভিযোগ ওঠে, মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা গুজরাটের তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রত্যক্ষ্য নির্দেশেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল৷ সিবিআই অবশ্য তাদের কোনও চার্জশিটে অমিত শাহের নাম উল্লেখ করেনি৷ প্রাথমিক ভাবে যা খানিকটা স্বস্তিই দিয়েছিল বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদীকে৷ তবে সেই স্বস্তির পরিবেশ কতটা বজায় থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল মঙ্গলবার৷ -সংবাদসংস্থা
সূত্রের খবর, সাসপেন্ড হওয়া আইপিএস অফিসার জি এল সিংহলের কাছ থেকেই ওই অডিও সিডি সিবিআই-এর হাতে এসেছে৷ ৭০ মিনিটের ওই রেকর্ডিংয়ে শোনা যাচ্ছে, মোদীর ব্যক্তিগত সচিব জি সি মুর্মু, এ কে শর্মা এবং গুজরাট সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালেও মুর্মু এবং শর্মাকে জেরা করেছিল সিবিআই৷ এ দিন সিবিআই-এর তরফে একটি বিবৃতিতে অবশ্য দাবি করা হয়, 'ইশরত জাহান মামলায় সিবিআই একটি প্রাথমিক তদন্ত দায়ের করেছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রচার করা হচ্ছে৷ আমরা পরিষ্কার ভাবে জানাতে চাই যে, এ ধরনের কোনও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়নি৷'
২০০৪ সালের ১৫ জুন গুজরাট পুলিশের হাতে নিহত হন বছর উনিশের ছাত্রী ইশরত জাহান, এবং প্রাণেশ পিল্লাই (ওরফে জাভেদ গুলাম শেখ), আমজাদ আলি রানা এবং জাসিম জোহর নামে তিন যুবক৷ গুজরাট পুলিশ ও আইবি-র দাবি ছিল, ওই চারজন লস্কর-এ-তৈবার সদস্য এবং তারা মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল৷ পরে প্রমাণিত হয়, সাজানো বা ভুয়ো সংঘর্ষেই ঠান্ডা মাথায় ইশরতদের হত্যা করা হয়েছিল৷ অভিযোগ ওঠে, মোদীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা গুজরাটের তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রত্যক্ষ্য নির্দেশেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল৷ সিবিআই অবশ্য তাদের কোনও চার্জশিটে অমিত শাহের নাম উল্লেখ করেনি৷ প্রাথমিক ভাবে যা খানিকটা স্বস্তিই দিয়েছিল বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদীকে৷ তবে সেই স্বস্তির পরিবেশ কতটা বজায় থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল মঙ্গলবার৷ -সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment