স্কুলে ঢুকে গুলি করে খুন ছাত্রকে
কৃষ্ণনগর: স্কুলের ভিতরে ঢুকে মাথায় গুলি করে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে খুন করল দুষ্কৃতীরা৷ বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলায় শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরে৷ দুষ্কৃতীদের পরিচয় এখনও অজানা৷ তবে স্থানীয় মানুষের অনুমান, দিন কয়েক আগে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিল ছাত্রটি৷ তার বদলা নিতেই খুন করা হয়ে থাকতে পারে৷ এর পিছনে প্রেমঘটিত বিরোধও থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান৷ স্কুলের মধ্যে এমন ঘটনায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷
পরীক্ষা চলাকালীনই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে৷ নিহতের নাম অজয় ঘোষ (১৭)৷ ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে৷ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য স্কুলের মতো ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরেও এখন একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছে৷ বুধবার ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা৷ স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই বিকেল ৪-৪০ নাগাদ অজয় পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে৷ কিন্ত্ত সে স্কুলের বাইরে যায়নি৷
কিছুক্ষণের মধ্যে পরীক্ষার হলে বসে শিক্ষক ও ছাত্ররা একটি আওয়াজ শুনতে পান স্কুলের গেটের দিক থেকে৷ প্রথমে তাঁরা সবাই গাড়ির টায়ার ফাটার শব্দ মনে করে আমল দেননি৷ যখন তাঁরা হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন, ততক্ষণে গুরুতর জখম অজয়কে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় পরীক্ষা দিয়ে বেরোনো অন্য ছাত্ররা৷ চিকিত্সকরা অজয়কে সঙ্গে সঙ্গে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ কিন্ত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি৷
কারা খুন করেছে তা নিয়ে যেমন ধন্দ আছে, তেমনই খুন করার কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ স্কুলের ভিতর ঢুকে মাথায় গুলি করলেও দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় কতজন ছিল, জানাতে পারেননি শিক্ষক বা ছাত্ররা৷ ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক অসিত মণ্ডল বলেন, 'আমি স্কুলে ছিলাম না৷ পরে ঘটনাটি শুনেছি মাত্র৷ ফলে বিস্তারিত কিছু জানি না৷' পরীক্ষার সেন্টার ইনচার্জ মীনা সরকার জানান, 'ঘটনাটির কিছুক্ষণ আগে আমি বাড়ি চলে আসি৷ ফলে আমার কিছু জানা নেই৷'
হত্যাকাণ্ডের সময় স্কুলে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫ জন শিক্ষক৷ তাঁদের অন্যতম তন্ময় লাহিড়ি বলেন, '৫টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়৷ তার মিনিট কুড়ি আগে হঠাত্ একটি শব্দ পাই৷ ভেবেছিলাম, গাড়ির টায়ার ফাটার আওয়াজ৷ আমাকে কেউ খবরও দেননি৷ গেট থেকে অনেকটা দূরে একটি ক্লাস রুমে গার্ড দিচ্ছিলাম বলে বাইরেও যাইনি৷ মিনিট পাঁচ পর জানতে পারি স্কুলে ঢুকে কেউ অজয়ের মাথায় গুলি করেছে৷ ছাত্ররাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ আমি পুলিশকে খবর দিই৷'
খুনের কারণ সম্পর্কে কিছু আঁচ করতে পারছেন না নিহতের বাবা-মা৷ তাঁরা অবশ্য কথা বলার অবস্থাতেই নেই৷ অজয়ের বাবা পেশায় তাঁতশিল্পী দীপক ঘোষ ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন মা রমা দেবীও৷ তবে অজয়ের পিসি আরতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'অজয়ের সহপাঠিনী এক ছাত্রীকে কয়েকজন উত্ত্যক্ত করেছিল৷ ওরা কেউ স্কুলের ছিল না৷ তিন দিন আগে ওই নিয়ে গণ্ডগোল হলে অজয়কে ওরা মেরেছিল৷ এই খুন তারও জের হতে পারে৷'
স্থানীয় মানুষও ঘটনাটি জানেন৷ ওই এলাকার বাসিন্দা তথা শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রঘু চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রটিকে দুষ্কৃতীরা মারধর করেছিল বলে শুনেছি৷ ওই দুষ্কতীরাই অজয়কে খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে৷' পুলিশ কিন্ত্ত এর মধ্যে প্রেম নিয়ে বিরোধের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে৷ রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, 'কেউ ঘটনাটি নিয়ে রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেননি৷ আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি৷ প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, প্রেম সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ছাত্রটিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে৷'
পরীক্ষা চলাকালীনই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে৷ নিহতের নাম অজয় ঘোষ (১৭)৷ ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সে৷ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য স্কুলের মতো ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরেও এখন একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলছে৷ বুধবার ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা৷ স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই বিকেল ৪-৪০ নাগাদ অজয় পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে৷ কিন্ত্ত সে স্কুলের বাইরে যায়নি৷
কিছুক্ষণের মধ্যে পরীক্ষার হলে বসে শিক্ষক ও ছাত্ররা একটি আওয়াজ শুনতে পান স্কুলের গেটের দিক থেকে৷ প্রথমে তাঁরা সবাই গাড়ির টায়ার ফাটার শব্দ মনে করে আমল দেননি৷ যখন তাঁরা হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন, ততক্ষণে গুরুতর জখম অজয়কে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় পরীক্ষা দিয়ে বেরোনো অন্য ছাত্ররা৷ চিকিত্সকরা অজয়কে সঙ্গে সঙ্গে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ কিন্ত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি৷
কারা খুন করেছে তা নিয়ে যেমন ধন্দ আছে, তেমনই খুন করার কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ স্কুলের ভিতর ঢুকে মাথায় গুলি করলেও দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় কতজন ছিল, জানাতে পারেননি শিক্ষক বা ছাত্ররা৷ ফুলিয়া বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক অসিত মণ্ডল বলেন, 'আমি স্কুলে ছিলাম না৷ পরে ঘটনাটি শুনেছি মাত্র৷ ফলে বিস্তারিত কিছু জানি না৷' পরীক্ষার সেন্টার ইনচার্জ মীনা সরকার জানান, 'ঘটনাটির কিছুক্ষণ আগে আমি বাড়ি চলে আসি৷ ফলে আমার কিছু জানা নেই৷'
হত্যাকাণ্ডের সময় স্কুলে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫ জন শিক্ষক৷ তাঁদের অন্যতম তন্ময় লাহিড়ি বলেন, '৫টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়৷ তার মিনিট কুড়ি আগে হঠাত্ একটি শব্দ পাই৷ ভেবেছিলাম, গাড়ির টায়ার ফাটার আওয়াজ৷ আমাকে কেউ খবরও দেননি৷ গেট থেকে অনেকটা দূরে একটি ক্লাস রুমে গার্ড দিচ্ছিলাম বলে বাইরেও যাইনি৷ মিনিট পাঁচ পর জানতে পারি স্কুলে ঢুকে কেউ অজয়ের মাথায় গুলি করেছে৷ ছাত্ররাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ আমি পুলিশকে খবর দিই৷'
খুনের কারণ সম্পর্কে কিছু আঁচ করতে পারছেন না নিহতের বাবা-মা৷ তাঁরা অবশ্য কথা বলার অবস্থাতেই নেই৷ অজয়ের বাবা পেশায় তাঁতশিল্পী দীপক ঘোষ ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ কান্নায় ভেঙে পড়েন মা রমা দেবীও৷ তবে অজয়ের পিসি আরতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'অজয়ের সহপাঠিনী এক ছাত্রীকে কয়েকজন উত্ত্যক্ত করেছিল৷ ওরা কেউ স্কুলের ছিল না৷ তিন দিন আগে ওই নিয়ে গণ্ডগোল হলে অজয়কে ওরা মেরেছিল৷ এই খুন তারও জের হতে পারে৷'
স্থানীয় মানুষও ঘটনাটি জানেন৷ ওই এলাকার বাসিন্দা তথা শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রঘু চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রটিকে দুষ্কৃতীরা মারধর করেছিল বলে শুনেছি৷ ওই দুষ্কতীরাই অজয়কে খুন করেছে বলে মনে হচ্ছে৷' পুলিশ কিন্ত্ত এর মধ্যে প্রেম নিয়ে বিরোধের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে৷ রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, 'কেউ ঘটনাটি নিয়ে রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেননি৷ আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি৷ প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, প্রেম সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ছাত্রটিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে৷'
http://eisamay.indiatimes.com/state/student-killed/articleshow/32763972.cms
No comments:
Post a Comment