আইপিএল বন্ধের দাবি মনোহরের
এই সময়: ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরছেন না নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসন৷ অন্তত সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত আদেশ নেওয়ার আগে তো নয়ই৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য নিয়ে মুখ না খুললেও শোনা যাচ্ছে বুধবার নাকি শ্রীনিবাসন বলেছেন, 'আমাকে বিসিসিআই থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কেউ জোর করতে পারে না৷ আমি কোনও অন্যয়ই করিনি৷' আজ বৃহস্পতিবার রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট৷
তার আগে অবশ্য প্রেসিডেন্টের সুরেই গলা মেলাচ্ছেন বোর্ডে শ্রীনির পারিষদরাও৷ শ্রীনিবাসন সরলে যাঁকে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট বলা হচ্ছে সেই শিবলাল যাদবও ফলাও বলেছেন,'বিসিসিআই এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ কী হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে৷ তার পরেই বোর্ড তার ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা ঠিক করবে৷'
শ্রীনিকে নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে তখনই বোমা ফাটালেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর৷ তিনি সরাসরিই বলে দিয়েছেন, 'সবার আগে ২০১৪ সালের আইপিএল-টা বন্ধ করা দরকার৷' কেন? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নাগপুর-নিবাসী মনোহর৷ বলেছেন, 'খেলাটা নিয়ে মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এ বছরের আইপিএল বন্ধ হওয়া উচিত৷'
মনোহরের তোপ থেকে পার পাননি শ্রীনিবাসনও৷ মনোহর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, 'শ্রীনিবাসনের অবশ্যই সরে যাওয়া উচিত৷ কারণ শ্রীনিবাসনকে থাকলে তদন্ত চলতে পারে না৷' শ্রীসন্থ কাণ্ডের পর আইপিএলে গড়াপেটা নিয়ে উত্তাল হয় ক্রিকেট দুনিয়া৷ মনোহর মনে করেন, আইপিএল থেকে সব সমস্যার শুরু৷ সে জন্য মনোহরের সাফ কথা, 'আইপিএল বেশির ভাগ মানুষেরই আস্থা হারিয়েছে৷ তাই আমার মনে হয়, শুদ্ধিকরণ করতে হলে আইপিএলের সব ম্যাচেরই তদন্ত হওয়া দরকার৷ যখন আইপিএল স্ক্যান্ডাল সামনে এসেছিল, তখনই বলেছিলাম যে সব ম্যাচই সিবিআই দিয়ে তদন্ত করা উচিত৷'
শ্রীনি-ঘনিষ্ঠ বোর্ড কর্তাদেরও এক হাত নিতে পিছপা হননি মনোহর৷ তাঁর মতে, 'বোর্ড সদস্যদের মনে রাখা দরকার যে শুধু টাকা বা মুনাফাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়৷' প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট আইএস বিন্দ্রাও নিজের ব্লগে লিখেছেন, 'আইপিএল সেভেন বাতিল করা উচিত৷'
শ্রীনিবাসনকে অবশ্য ধরা যাচ্ছে না৷ এ দিন চেন্নাইয়ে ছানি অপারেশন হয়েছে বোর্ড প্রেসিডেন্টের৷ তবে তার মধ্যেই আইনজীবিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন৷ যা জানা যাচ্ছে, আইনের হাত থেকে বাঁচার সব রকমের উপায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন শ্রীনি৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনী উপদেষ্টা পিএস রামন৷ যদিও তিনি এ সব নিয়ে কথা বলে নতুন করে কোনও বিতর্কের জন্ম দিতে চাননি৷ উল্টে রামন বলেছেন, 'উনি (শ্রীনিবাসন) এ দিন ছানি অপারেশন করেছেন৷ সেই জন্যও ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম৷ এটা একটা সৌজন্য সাক্ষাতের বেশি আর কিছুই নয়৷'
তবে বোর্ড সূত্রে অন্য রকম শোনা যাচ্ছে৷ বোর্ডে টিকে থাকার জন্য শ্রীনিবাসন এখন সব রকম ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেলকে দুবাইয়ে আইপিএলের জন্য জায়গা পরিদর্শন ছেড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রীনির সামনে এসে আলোচনা করতে বলা হয়েছে৷
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলে অবশ্য গদি হারাতেই হবে শ্রীনিবাসনকে৷ সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে হায়দরাবাদের শিবলাল যাদব৷ কিন্ত্ত তাঁর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ ক্রিকেট মহলেই৷ উপ্পল স্টেডিয়াম সংস্কার নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে শিবলালদের হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা৷
তার আগে অবশ্য প্রেসিডেন্টের সুরেই গলা মেলাচ্ছেন বোর্ডে শ্রীনির পারিষদরাও৷ শ্রীনিবাসন সরলে যাঁকে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট বলা হচ্ছে সেই শিবলাল যাদবও ফলাও বলেছেন,'বিসিসিআই এখন সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ কী হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে৷ তার পরেই বোর্ড তার ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা ঠিক করবে৷'
শ্রীনিকে নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে তখনই বোমা ফাটালেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর৷ তিনি সরাসরিই বলে দিয়েছেন, 'সবার আগে ২০১৪ সালের আইপিএল-টা বন্ধ করা দরকার৷' কেন? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নাগপুর-নিবাসী মনোহর৷ বলেছেন, 'খেলাটা নিয়ে মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এ বছরের আইপিএল বন্ধ হওয়া উচিত৷'
মনোহরের তোপ থেকে পার পাননি শ্রীনিবাসনও৷ মনোহর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, 'শ্রীনিবাসনের অবশ্যই সরে যাওয়া উচিত৷ কারণ শ্রীনিবাসনকে থাকলে তদন্ত চলতে পারে না৷' শ্রীসন্থ কাণ্ডের পর আইপিএলে গড়াপেটা নিয়ে উত্তাল হয় ক্রিকেট দুনিয়া৷ মনোহর মনে করেন, আইপিএল থেকে সব সমস্যার শুরু৷ সে জন্য মনোহরের সাফ কথা, 'আইপিএল বেশির ভাগ মানুষেরই আস্থা হারিয়েছে৷ তাই আমার মনে হয়, শুদ্ধিকরণ করতে হলে আইপিএলের সব ম্যাচেরই তদন্ত হওয়া দরকার৷ যখন আইপিএল স্ক্যান্ডাল সামনে এসেছিল, তখনই বলেছিলাম যে সব ম্যাচই সিবিআই দিয়ে তদন্ত করা উচিত৷'
শ্রীনি-ঘনিষ্ঠ বোর্ড কর্তাদেরও এক হাত নিতে পিছপা হননি মনোহর৷ তাঁর মতে, 'বোর্ড সদস্যদের মনে রাখা দরকার যে শুধু টাকা বা মুনাফাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়৷' প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট আইএস বিন্দ্রাও নিজের ব্লগে লিখেছেন, 'আইপিএল সেভেন বাতিল করা উচিত৷'
শ্রীনিবাসনকে অবশ্য ধরা যাচ্ছে না৷ এ দিন চেন্নাইয়ে ছানি অপারেশন হয়েছে বোর্ড প্রেসিডেন্টের৷ তবে তার মধ্যেই আইনজীবিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন৷ যা জানা যাচ্ছে, আইনের হাত থেকে বাঁচার সব রকমের উপায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন শ্রীনি৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনী উপদেষ্টা পিএস রামন৷ যদিও তিনি এ সব নিয়ে কথা বলে নতুন করে কোনও বিতর্কের জন্ম দিতে চাননি৷ উল্টে রামন বলেছেন, 'উনি (শ্রীনিবাসন) এ দিন ছানি অপারেশন করেছেন৷ সেই জন্যও ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম৷ এটা একটা সৌজন্য সাক্ষাতের বেশি আর কিছুই নয়৷'
তবে বোর্ড সূত্রে অন্য রকম শোনা যাচ্ছে৷ বোর্ডে টিকে থাকার জন্য শ্রীনিবাসন এখন সব রকম ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেলকে দুবাইয়ে আইপিএলের জন্য জায়গা পরিদর্শন ছেড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রীনির সামনে এসে আলোচনা করতে বলা হয়েছে৷
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলে অবশ্য গদি হারাতেই হবে শ্রীনিবাসনকে৷ সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে হায়দরাবাদের শিবলাল যাদব৷ কিন্ত্ত তাঁর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ ক্রিকেট মহলেই৷ উপ্পল স্টেডিয়াম সংস্কার নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে শিবলালদের হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা৷
No comments:
Post a Comment