দোল পূর্ণিমায় অযোধ্যা পাহাড়ে সাঁওতালি নাচের আসর
সঞ্জিত গোস্বামী
পুরুলিয়া: জ্যোত্স্না রাতে শালের বনে পাতার আসনে বসে আদিবাসী নাচ! এর থেকে স্বাদু বসন্ত উদ্যাপন আর কী হতে পারে? বিদ্যুতের চিহ্নমাত্র নেই৷ কাঠের আগুন আর রূপোলি চাঁদের আলোয় সে এক প্রাগৈতিহাসিক অনুভূতি৷ অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটক টানতে অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি আর পরিকল্পনার কথা বহু দিন ধরে শুনে আসছেন আদিবাসীরা৷ কিন্ত্ত কোনওটাই সে ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি৷ এ বার আর কারও ভরসায় না থেকে শহুরে 'বাবু-বিবি'দের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা নিজেরাই করেছিলেন অযোধ্যা পাহাড়ের ভূমিপুত্ররা৷
ঠিক কী কী করলে আরও আরও পর্যটক আসবেন, তা বিলক্ষণ জানেন তাঁরা৷ আর তাঁদের এই উদ্যোগ যে সফল, তা মালুম হল পর্যটকদের ভিড় দেখেই৷ দোলের রাতে জ্যোত্স্না ধোওয়া পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে সাহবেডি, সোনাঝোরা, উসুলডুংরিতে ভিড় করেছিলেন প্রায় ৩০০ জন পর্যটক৷ পাতা দিয়ে আসন তৈরি করে শালগাছের নীচে পেতে দেওয়া হয়েছিল৷ সেখানে বসেছিলেন পর্যটকরা৷ কোথাও হয়েছে সাঁওতালি নাচ, কোথাও বা ছিল সাঁওতালি অর্কেষ্ট্রা৷ পর্যটকদের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সে দিকেও নজর রেখেছিলেন আদিবাসীরা৷
এলাকার আদিবাসী নেতা অখিল সিং সর্দার এমন ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে রেখেছিলেন কলকাতার কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে৷ ফলে উইকএন্ডে ভিড় উপচে পড়েছে এখানে৷ দোলের দিন এমন উত্সবের সাক্ষী হতে পেরে মুগ্ধ সল্টলেকের অনির্বাণ সেন, বেহালার প্রতীক বসু, দিব্যেন্দু বসুরা৷ বললেন, 'পরের বছর ফের আসার ইচ্ছে রইল৷' অখিলবাবু বলেন, 'এ বার হোম ট্যুরিজম চালু করার ইচ্ছে রয়েছে৷ আদিবাসীদের ঘরে থেকে তাঁদের গাইড হিসেবে নিয়ে পাহাড় ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা৷ যাঁরা একটু অন্য ধরনের ঘুরতে চান, তাঁরা রাত কাটাতে পারবেন জঙ্গলে গাছের উপরে তৈরি মাচায়৷'
রঙের উত্সবে পর্যটকের ঢল দেখে খুশি অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দারা৷ তবে এত আনন্দের মধ্যেও রবিবারের একটি ঘটনায় একটু হলেও তাল কেটেছে৷ দোলের দিন অযোধ্যা পাহাড়ে পিকনিকে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হন বেলেঘাটার ৯ পর্যটক৷
পুরুলিয়া: জ্যোত্স্না রাতে শালের বনে পাতার আসনে বসে আদিবাসী নাচ! এর থেকে স্বাদু বসন্ত উদ্যাপন আর কী হতে পারে? বিদ্যুতের চিহ্নমাত্র নেই৷ কাঠের আগুন আর রূপোলি চাঁদের আলোয় সে এক প্রাগৈতিহাসিক অনুভূতি৷ অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটক টানতে অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি আর পরিকল্পনার কথা বহু দিন ধরে শুনে আসছেন আদিবাসীরা৷ কিন্ত্ত কোনওটাই সে ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি৷ এ বার আর কারও ভরসায় না থেকে শহুরে 'বাবু-বিবি'দের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা নিজেরাই করেছিলেন অযোধ্যা পাহাড়ের ভূমিপুত্ররা৷
ঠিক কী কী করলে আরও আরও পর্যটক আসবেন, তা বিলক্ষণ জানেন তাঁরা৷ আর তাঁদের এই উদ্যোগ যে সফল, তা মালুম হল পর্যটকদের ভিড় দেখেই৷ দোলের রাতে জ্যোত্স্না ধোওয়া পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে সাহবেডি, সোনাঝোরা, উসুলডুংরিতে ভিড় করেছিলেন প্রায় ৩০০ জন পর্যটক৷ পাতা দিয়ে আসন তৈরি করে শালগাছের নীচে পেতে দেওয়া হয়েছিল৷ সেখানে বসেছিলেন পর্যটকরা৷ কোথাও হয়েছে সাঁওতালি নাচ, কোথাও বা ছিল সাঁওতালি অর্কেষ্ট্রা৷ পর্যটকদের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সে দিকেও নজর রেখেছিলেন আদিবাসীরা৷
এলাকার আদিবাসী নেতা অখিল সিং সর্দার এমন ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে রেখেছিলেন কলকাতার কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে৷ ফলে উইকএন্ডে ভিড় উপচে পড়েছে এখানে৷ দোলের দিন এমন উত্সবের সাক্ষী হতে পেরে মুগ্ধ সল্টলেকের অনির্বাণ সেন, বেহালার প্রতীক বসু, দিব্যেন্দু বসুরা৷ বললেন, 'পরের বছর ফের আসার ইচ্ছে রইল৷' অখিলবাবু বলেন, 'এ বার হোম ট্যুরিজম চালু করার ইচ্ছে রয়েছে৷ আদিবাসীদের ঘরে থেকে তাঁদের গাইড হিসেবে নিয়ে পাহাড় ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা৷ যাঁরা একটু অন্য ধরনের ঘুরতে চান, তাঁরা রাত কাটাতে পারবেন জঙ্গলে গাছের উপরে তৈরি মাচায়৷'
রঙের উত্সবে পর্যটকের ঢল দেখে খুশি অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দারা৷ তবে এত আনন্দের মধ্যেও রবিবারের একটি ঘটনায় একটু হলেও তাল কেটেছে৷ দোলের দিন অযোধ্যা পাহাড়ে পিকনিকে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হন বেলেঘাটার ৯ পর্যটক৷
http://eisamay.indiatimes.com/state/copy-on-ayodhya-hill/articleshow/32237455.cms
No comments:
Post a Comment