কন্ধমালে খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে ৬ অভিযুক্তকে মুক্তি
ভুবনেশ্বর: রায় বেরলো কুখ্যাত কন্ধমাল গণধর্ষণ মামলার৷ ২০০৮ সালের অগস্ট মাসে ওডিশার আদিবাসী অধ্যুষিত কন্ধমাল জেলায় দাঙ্গা চলার সময়ে বালিগুড়া এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হন এক নান (খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী)৷ তারপর নিগৃহীতাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা৷ শুক্রবার এই ঘটনায় তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করল কটকের জেলা এবং দায়রা আদালত৷ তবে অভিযুক্ত বাকি ছ'জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে৷ প্রধান অভিযুক্ত মিতু পট্টনায়ককে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ বাকি দুই অপরাধীর দু'বছরের কারাবাস ধার্য হয়েছে৷
ঘটনার সূত্রপাত লক্ষ্মণানন্দ সরস্বতীর হত্যা থেকে৷ ২০০৮ সালের ২৩ অগস্ট কন্ধমালের জালেসপাতা আশ্রমে মাওবাদীদের হাতে খুন হন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি ) এই নেতা এবং তাঁর চার সহযোগী৷ তারপরেই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায় গোটা জেলা জুড়েই৷ তাতে প্রাণ হারান মোট ৩৮ জন৷ অভিযোগ, ২৫ অগস্ট ওই সন্ন্যাসিনীর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল৷ প্রথমে নিগ্রহ এবং পরে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি৷ প্রথমে ধর্ষকদের নাম জানতেন না নিগৃহীতা৷ কিন্ত্ত পরে তিনি তাদের পরিচয় জানতে সক্ষম হন৷ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়৷ ন'জনকে ধরা গেলেও বাকি একজন এখনও পলাতক৷ প্রধান অভিযুক্ত মিতু পট্টনায়কই শেষ পর্যন্ত চৌদুয়ার জেলে ছিল৷ বাকি আটজনের জামিন হয়ে গিয়েছিল৷
২০১০ সালে এই গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়৷ অভিযোগকারিণী দাবি করেন, কন্ধমালের কোনও আদালতে বিচার চালানো হলে ন্যায়বিচার না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ পাশাপাশি, তাঁর জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই দাবি মেনে মামলাটি কটকের জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়৷ গোটা প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য দেন মোট ২৯ জন৷ সাক্ষীদের ১২টি পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তবে শুনানির শেষ দিন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী নিগৃহীতার পরিচয় নিয়েই প্রভূত সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন৷ ওডিশা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ কী ভাবে নয়াদিল্লি গিয়ে অভিযোগকারিণীর বয়ান নথিভুক্ত করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷ তাঁর দাবি ছিল, ওই মামলায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী সেই সব প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতে চাইছে৷ --- সংবাদসংস্থা
ঘটনার সূত্রপাত লক্ষ্মণানন্দ সরস্বতীর হত্যা থেকে৷ ২০০৮ সালের ২৩ অগস্ট কন্ধমালের জালেসপাতা আশ্রমে মাওবাদীদের হাতে খুন হন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি ) এই নেতা এবং তাঁর চার সহযোগী৷ তারপরেই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা শুরু হয়ে যায় গোটা জেলা জুড়েই৷ তাতে প্রাণ হারান মোট ৩৮ জন৷ অভিযোগ, ২৫ অগস্ট ওই সন্ন্যাসিনীর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল৷ প্রথমে নিগ্রহ এবং পরে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি৷ প্রথমে ধর্ষকদের নাম জানতেন না নিগৃহীতা৷ কিন্ত্ত পরে তিনি তাদের পরিচয় জানতে সক্ষম হন৷ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়৷ ন'জনকে ধরা গেলেও বাকি একজন এখনও পলাতক৷ প্রধান অভিযুক্ত মিতু পট্টনায়কই শেষ পর্যন্ত চৌদুয়ার জেলে ছিল৷ বাকি আটজনের জামিন হয়ে গিয়েছিল৷
২০১০ সালে এই গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়৷ অভিযোগকারিণী দাবি করেন, কন্ধমালের কোনও আদালতে বিচার চালানো হলে ন্যায়বিচার না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ পাশাপাশি, তাঁর জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই দাবি মেনে মামলাটি কটকের জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়৷ গোটা প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য দেন মোট ২৯ জন৷ সাক্ষীদের ১২টি পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তবে শুনানির শেষ দিন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী নিগৃহীতার পরিচয় নিয়েই প্রভূত সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন৷ ওডিশা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ কী ভাবে নয়াদিল্লি গিয়ে অভিযোগকারিণীর বয়ান নথিভুক্ত করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷ তাঁর দাবি ছিল, ওই মামলায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী সেই সব প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতে চাইছে৷ --- সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment