বাংলাদেশ আরেকটি নতুন ইতিহাস গড়েছে
খুবই ভাল লাগছে বাংলাদেশ আরেকটি নতুন ইতিহাস গড়েছে। আর এই ভালো লাগার মাত্রাটা আমার ক্ষেত্রে একটিু বেশি। কারণ ‘বাঙালির জয়, জয় বাংলার ধ্বনিতে একাত্তর’ শিরোনামেআমার একটি গান এই অনুষ্ঠানের থিম সং হিসেবে এই গানটি ব্যবহার করা হয়েছে। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের লেখা এই গানটিতে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজনও আমার। তাই এ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে আমিও ইতিহাস গড়ার অংশীদার হতে পারলাম।
১৬ কোটি প্রাণ, একটাই গান…
টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে মোবাইল অপারেটর রবির উদ্দ্যোগে এই গানটি তৈরি করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ১৬ কোটি প্রাণ, একটাই গান’ শিরোনামের এই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছি আমি। আর গানটি লিখেছেন রকিব চৌধুরী।
বৈশাখী অ্যালবাম
গত এক দেড় মাস খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তাই অ্যলাবামের কাজ সময়মতো শেষ করতে পারিনি। বৈশাখে আসার কথা ছিল কিন্তু তা আর হচ্ছে না। আরো এক মাস সময় লাগবে অ্যালাবামের কাজ শেষ করতে। এছাড়া আমার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো নিয়ে তৈরি করছি ‘বেস্ট অব বাপ্পা’ অ্যালবামটি। একসঙ্গে ৪টি সিডি আকারে বের হবে এ অ্যালবাম। এতে মোট গান থাকবে ৩২টি। এরমধ্যে ২৪টি থাকবে আমার গাওয়া পুরনো গান। প্রতিটি সিডিতে একটি করে নতুন গান ও একটা ইনস্ট্রুমেন্টাল থাকবে। নতুন চারটি গানের শিরোনাম হলো- ‘বাউন্ডুলে চিঠি’, ‘ক্যাফে অ্যাভিনিউ’, ‘কী করি’ ও ‘ভুলের পাহাড়’।
‘দলছুট’…
নিয়মিত স্টেজ প্রোগ্রামগুলোতে অংশ নিচ্ছি। আগামী মাসে ব্যস্ততা অনেক বাড়বে। কারণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈশাখী কনসার্টে অংশ নিতে হবে।
‘বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট’…
আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুবই আহত হয়েছি এই অনুষ্ঠানটি দেখে। সবকিছু মিলে আমি একটাই কথা বলতে চাই। এখানে আসলে দেশের শিল্পীদের ছোট করে দেখানো হয়েছে এবং সেটা কোনও ভাবেই উচিৎ হয় নাই। এটা আমি আশা করি নাই। কারণ পুরো অনুষ্ঠানটিই ছিল বাংলাদেশের আয়োজনে। তাই যেই দেশেই অনুষ্ঠান হচ্ছে, সেই দেশের শিল্পীদেরই যদি প্রাধান্য না দেয়া হয় তাহলে এটা আমাদের জন্য খুবই খারাপ। এই ধরনের মনমানসিকতার পরিবর্তন করা উচিৎ।
অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান..
একেবারেই ভাল না, খুবই খারাপ। কারণ একজন শিল্পীর দ্বায়িত্ব এটা নয় যে, সে নিজেই নিজের গান প্রযোজনা করবেন, আবার নিজেই অ্যালবামটি সবার কাছে পৌঁছিয়ে দিবেন। এটার দ্বায়িত্ব তো অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর। সেটা তারা কেন করছেন না। সে বিষয়ে কারো কোনও মাথা ব্যথা নেই।
অডিও শিল্পকে বাঁচাতে..
অডিও শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে এখন সরকারি উদ্দ্যোগ প্রয়োজন। একজন শিল্পী যদি গানের মধ্য দিয়ে আয় করতে না পারেন তাহলে সে গান করবে কেন। কারণ গান করার জন্য খরচ আছে না। সেটা কে দিবে। আর অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যালবাম বের করতে ভয় পায়। কারণ একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যেই যদি সেটি ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। তাহলে সেই দায় কে নেবে। তবে বাংলাদেশের সংগীত শিল্প নিয়ে আমি আশাবাদী।
http://www.binodonnews.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF/
No comments:
Post a Comment