Friday, March 21, 2014

ভাবের পাশে কংগ্রেস, বিজেপি

ভাবের পাশে কংগ্রেস, বিজেপি
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন সেবি প্রধান সি বি ভাবের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তের ব্যাপারে কংগ্রেস-বিজেপি এক যোগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরোধিতা শুরু করে দিয়েছে৷ এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন আনন্দ শর্মা ও যশোবন্ত সিং৷ সিবিআই-কে 'স্বাধীন' করে দেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলি সরব হলেও, এখন তারাই অভিযুক্ত ভাবের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ ভাবের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিং বলেন, 'এই ধরণের পদক্ষেপ আবার প্রমাণ করল সংসদের নজরে থেকে সিবিআইকে স্বাধীন করা উচিত্‍ যাতে সংস্থাটি পরিচ্ছন্ন ভাবে আইনি পথে কর্তব্য পালন করতে পারে৷' অর্থাত্‍ সিবিআই-কে পুরোপুরি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণাধীন করার পক্ষে নন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা দার্জিলিঙের সাংসদ৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, 'যে কোনও তদন্তই সুনামের ক্ষতি করে এমনকি সুনাম নষ্টও করে৷ তাই যথেষ্ট সতর্কতা দরকার৷' প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশবন্ত সিংও এ প্রসঙ্গে বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ না করে, তাদের বক্তব্য না শুনেই প্রমাণ হাতে পাওয়ার আগে তথ্য 'ফাঁস' করা নিন্দনীয় এবং তা আধিকারিকদের সুনামের পক্ষে ক্ষতিকর৷ তিনি সিবিআইয়ের সমালোচনা করে বলেন, যখন কোনও সত্‍ আধিকারিক কোনও কাজ করে থাকেন তখন তদন্ত শেষ করার আগে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে তাঁদের সুনাম নষ্ট করা উচিত্‍ নয়৷ 

এর আগে প্রায় একই কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, এইচডিএফসি-র চেয়ারম্যান দীপক পারেখ ও প্রাক্তন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বিনোদ রাই৷ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী পালানিয়াপ্পান চিদম্বরমও৷ 

সম্প্রতি সেবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সি বি ভাবে ও কে এম আব্রাহামের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিন বছর সেবির চেয়ারম্যান ছিলেন ভাবে৷ ২০১১ সালের শেষে অবসর নেন সেবির পুরো সময়ের সদস্য আব্রাহাম৷ প্রতিবছর নবীকরণের শর্তে ২০০৮ সালে লাইসেন্স পায় এমসিএক্স-স্টক এক্সচেঞ্জ৷ অভিযোগ, লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি ছিল সেবিতেই৷ ২০০৯ ও ২০১০ সালে তাদের লাইসেন্স নবীকরণও হয়৷ কিন্ত্ত ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লিখে আব্রাহাম জানান, কয়েকটি সংস্থার ব্যাপারে তাদের 'নরম' মনোভাব পোষণ করতে বলেছে অর্থমন্ত্রক, এই তালিকায় নাম ছিল এমসিএক্স-এসএক্সেরও৷ অর্থমন্ত্রক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে৷ 

২০০৮ সালে এমসিএক্স-এসএক্সকে লাইলেন্স দেওয়ার সময় কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই৷ কিন্ত্ত আনন্দ শর্মা মনে করেন, এমন পরিবেশ তৈরি করা উচিত্‍ নয় যেখানে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়েই সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়৷ তিনি বলেন, 'এটা অন্তন্ত স্পষ্ট যে, কোনও সিদ্ধান্তের জেরে কারও আর্থিক বা অন্য কোনও লাভ হচ্ছে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং সে ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ভূমিকা থাকা উচিত, অন্যথায় নয়৷' এমসিএক্স-এসএক্সের প্রমোটারদের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগ যে তদন্ত করে, তার জেরেই সিবিআইয়ের পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷ কিন্ত্ত ভাবে মনে করেন, আয়কর বিভাগ কোনও কিছু না পেয়ে এক বছর আগেই মামলা বন্ধ করে দিয়েছে৷

No comments:

Post a Comment