মোদী বন্দনায় বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা
'নমো' 'নমো' জপ ক্রমশই জোরালো হচ্ছে৷ সংবাদসংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ বছর ডিসেম্বর নাগাদ ২৪,৫০০ পয়েন্ট স্পর্শ করবে সেনসেক্স৷ সিটিগ্রুপের এশিয়া-প্যাসিফিক কারেন্সি বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম গিলমোর ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, মোদী-জমানায় দীর্ঘমেয়াদি উত্থান দেখাবে টাকা৷ ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দর ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে উঠে আসবে ৪০ থেকে ৪৫-এর ঘরে৷
বৃহস্পতিবার রয়টার্সের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর শিল্প-বান্ধব ভাবমূর্তিই দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে সাহায্য করবে৷ মোদী-ক্ষমতায় আসছেন এই ধারণাতেই এ বছর দেশের শীর্ষ সারির শেয়ার সূচকগুলি তিন শতাংশ লাফিয়েছে৷ গত বছর দেশে ১৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রাতিষ্ঠানিক বিদেশি বিনিয়োগ প্রবেশ করেছে৷ এ বছর এখনও পর্যন্ত ভারতে এফআইআই লগ্নির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার৷ তাই মে মাস পর্যন্ত ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারীরা টাকা ঢালতে থাকবেন, এ ব্যাপারটা নিশ্চিত৷
কেয়ার রেটিংসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিসের মতে, 'নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত বাজার ভালোই থাকবে৷ র্যালি চলবে৷ এবং এই উন্মাদনা নির্বাচনের পরের এক-দু'মাস পর্যন্ত থাকবে৷ অন্তত যতদিন না বাজেট ঘোষণা হচ্ছে৷ সেখানে কী ধরনের সংস্কার লাগু হল সেটা দেখেই ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে৷' ১৯ জন বিশেষজ্ঞর এই সমীক্ষায় ছ'জন অবশ্য বলেছেন, কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বাজারের এই উত্থান অব্যাহত থাকবে৷ যদিও বাকি ১৩জনের মত, কংগ্রেস জিতলে শেয়ার সূচকে অবশ্য পরিবর্তন আসবে৷ তা নীচের দিকেই যাবে৷ জিওজিট বিএনপি পরিবাসের ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট ভি কে বিজয়কুমার বলেছেন, বাজারের অবস্থা এখন স্থিতিশীল৷ এ অবস্থা নির্বাচনী ফলাফলে বিরাট বৈপরীত্য দেখা গেলে সূচকে ধস নামবে৷
ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিটিগ্রুপের অ্যাডাম গিলমোরও বলেছে, যদি দুর্বল জোট-সরকারের হাতেই শেষমেশ ক্ষমতা আসে তা হলে ভারতের পক্ষে তা 'সবচেয়ে ক্ষতিকারক' হবে এবং চার জেরে টাকার দর গত অগস্টের রেকর্ড ৬৮.৮৫-এর মাত্রাও ছাড়িয়ে যেতে পারে৷ 'কিন্ত্ত মোদী যদি আসেন, তা হলে সেটাই হবে গেম-চেঞ্জার', বলেন গত দু'দশক ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারেন্সি ট্রেডিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত অ্যাডাম৷ সিটিগ্রুপের এই বিশেষজ্ঞের মত, ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে যে স্তরে ছিল সেখানে পৌঁছে যাবে ডলারের নিরিখে টাকার দর৷ বৃহস্পতিবার আরেক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মুডিজ অ্যানালিটিক্স এক পূর্বাভাসে বলেছে, এপ্রিল-মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের পরে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টিই কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠন করবে৷ দ্বিতীয় দফায় হতাশাজনক শাসনব্যবস্থাই ইউপিএ সরকারের পতনের কারণ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
এশিয়া প্যাসিফিক আউটলুক: আ স্লো স্টার্ট টু দ্য ইয়ার শীর্ষক প্রতিবেদনে মুডিজ বলেছে, 'দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের হতাশাজনক পরিচালনায় দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এ দেশে লগ্নির ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যয় অনেক কমে গিয়েছে৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে নির্বাচনে হারতে হতে পারে এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিই সম্ভবত নতুন সরকার তৈরি করবে৷'
বৃহস্পতিবার রয়টার্সের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর শিল্প-বান্ধব ভাবমূর্তিই দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে সাহায্য করবে৷ মোদী-ক্ষমতায় আসছেন এই ধারণাতেই এ বছর দেশের শীর্ষ সারির শেয়ার সূচকগুলি তিন শতাংশ লাফিয়েছে৷ গত বছর দেশে ১৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রাতিষ্ঠানিক বিদেশি বিনিয়োগ প্রবেশ করেছে৷ এ বছর এখনও পর্যন্ত ভারতে এফআইআই লগ্নির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার৷ তাই মে মাস পর্যন্ত ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারীরা টাকা ঢালতে থাকবেন, এ ব্যাপারটা নিশ্চিত৷
কেয়ার রেটিংসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিসের মতে, 'নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত বাজার ভালোই থাকবে৷ র্যালি চলবে৷ এবং এই উন্মাদনা নির্বাচনের পরের এক-দু'মাস পর্যন্ত থাকবে৷ অন্তত যতদিন না বাজেট ঘোষণা হচ্ছে৷ সেখানে কী ধরনের সংস্কার লাগু হল সেটা দেখেই ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে৷' ১৯ জন বিশেষজ্ঞর এই সমীক্ষায় ছ'জন অবশ্য বলেছেন, কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বাজারের এই উত্থান অব্যাহত থাকবে৷ যদিও বাকি ১৩জনের মত, কংগ্রেস জিতলে শেয়ার সূচকে অবশ্য পরিবর্তন আসবে৷ তা নীচের দিকেই যাবে৷ জিওজিট বিএনপি পরিবাসের ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট ভি কে বিজয়কুমার বলেছেন, বাজারের অবস্থা এখন স্থিতিশীল৷ এ অবস্থা নির্বাচনী ফলাফলে বিরাট বৈপরীত্য দেখা গেলে সূচকে ধস নামবে৷
ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিটিগ্রুপের অ্যাডাম গিলমোরও বলেছে, যদি দুর্বল জোট-সরকারের হাতেই শেষমেশ ক্ষমতা আসে তা হলে ভারতের পক্ষে তা 'সবচেয়ে ক্ষতিকারক' হবে এবং চার জেরে টাকার দর গত অগস্টের রেকর্ড ৬৮.৮৫-এর মাত্রাও ছাড়িয়ে যেতে পারে৷ 'কিন্ত্ত মোদী যদি আসেন, তা হলে সেটাই হবে গেম-চেঞ্জার', বলেন গত দু'দশক ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারেন্সি ট্রেডিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত অ্যাডাম৷ সিটিগ্রুপের এই বিশেষজ্ঞের মত, ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে যে স্তরে ছিল সেখানে পৌঁছে যাবে ডলারের নিরিখে টাকার দর৷ বৃহস্পতিবার আরেক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মুডিজ অ্যানালিটিক্স এক পূর্বাভাসে বলেছে, এপ্রিল-মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের পরে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টিই কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠন করবে৷ দ্বিতীয় দফায় হতাশাজনক শাসনব্যবস্থাই ইউপিএ সরকারের পতনের কারণ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
এশিয়া প্যাসিফিক আউটলুক: আ স্লো স্টার্ট টু দ্য ইয়ার শীর্ষক প্রতিবেদনে মুডিজ বলেছে, 'দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের হতাশাজনক পরিচালনায় দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এ দেশে লগ্নির ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যয় অনেক কমে গিয়েছে৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে নির্বাচনে হারতে হতে পারে এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিই সম্ভবত নতুন সরকার তৈরি করবে৷'
No comments:
Post a Comment