রাশিয়ার ওপর জারি নিষেধাজ্ঞায় সায় নেই ভারতের
নয়াদিল্লি ও কিয়েভ: একের পর এক ঘটনায় বুধবার নতুন করে ঘোরালো হয়েছে ক্রিমিয়া-সঙ্কট৷ তবে শিয়রে ভোট নিয়ে এখন এ ব্যাপারে জল মেপে চলতে চাইছে ভারত৷ রাশিয়ার উপর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জারি করা আংশিক নিষেধাজ্ঞায় ভারতের আপাতত সায় নেই৷ কিন্ত্ত পরিস্থিতি বুঝে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত পাল্টানোর দরজাও খোলা রাখছে নয়াদিল্লি৷
চলতি সংঘাতে প্রথম মৃত্যু, ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদর দপ্তর দখল, আমেরিকা ও ব্রিটেনের হুমকি, রাশিয়ার প্রত্যুত্তর-- মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দিনভর নানা ঘটনায় পারদ চড়েছে ক্রিমিয়া ঘিরে৷ মঙ্গলবার ক্রিমিয়া প্রশাসনের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করার পরই ঘটনাক্রমের সূত্রপাত৷ ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ইউক্রেন সেনার একটি ঘাঁটি দখল করতে গিয়ে রাশিয়াপন্থী বাহিনী গুলি চালায়৷ ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনয়ুকের দাবি, 'সিমফেরোপোলে রুশ বাহিনীর গুলিতে আমাদের এক জওয়ান মারা গিয়েছেন৷ এটা যুদ্ধাপরাধ৷ এর পরিণাম হবে মারাত্মক৷' ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁদের বাহিনী ক্রিমিয়া ছাড়বে না৷ অন্য দিকে ক্রিমিয়ার প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসইয়োনভের ঘোষণা, ইউক্রেনের কোনও আধিকারিককেই আর ক্রিমিয়ায় থাকতে দেওয়া হবে না৷ তিনি বলেন, 'ক্রিমিয়া ওঁদের চায় না৷ যাঁরা আছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে৷'
তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে, এদিন জলে-আকাশে মহড়া চালিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া৷ ইউক্রেন সীমান্তের পশ্চিমে এদিন পুরোদমে রুশ বিমানবাহিনীর মহড়া চলেছে৷ জেট ফাইটার ও বোমারু বিমানের আনাগোনা দেখা গিয়েছে দীর্ঘক্ষণ ধরে৷ অন্য দিকে কৃষ্ণ সাগরে বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার নৌবাহিনীর সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মহড়া দেয়৷
ক্রিমিয়ার সেব্যাস্টোপোলে অবস্থিত ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের দখল নিয়েছে রাশিয়াপন্থী ফৌজ৷ ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে তোলা রয়েছে রুশ পতাকা৷ শোনা যাচ্ছে, ইউক্রেনের নৌবাহিনীর প্রধান সেরহি হেইডাককে আটক করা হয়েছে৷ ঘাঁটি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু আধিকারিক ও জওয়ান৷ এর পরই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বলেন, 'রাশিয়া যত এই অন্ধকার পথে চলবে, ততই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে একঘরে হয়ে পড়বে৷' ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, 'রাশিয়া যদি আর একটুও বাড়াবাড়ি করে, তা হলে ওদের জি ৮ থেকে বহিষ্কারের কথা আমাদের ভেবে দেখা উচিত৷' এদিনই ক্রিমিয়ায় ইউক্রেন সেনার আর একটি ঘাঁটি দখল করতে গিয়েছিল রাশিয়াপন্থী ফৌজ৷ কিন্ত্ত শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি৷
এই পরিস্থিতিতেও অবশ্য ভারত মনে করে, রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমোদন ছাড়া কোনও এক বা দু'পক্ষের জারি করা নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেওয়া যায় না৷ বৃহস্পতিবার বা আগামিকাল, শুক্রবার ক্রিমিয়া নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ সাধারণ সভা বসতে পারে৷ ভারত এখন সে দিকেই তাকিয়ে৷ শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ইউক্রেন যদি প্রস্তাবনা আনে, তা হলে তাতে ভারত সমর্থন করতে পারে৷ কিন্ত্ত প্রস্তাবনায় যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান করা হয়, তা হলে সার্বিক প্রক্রিয়া থেকে ভারতের বিরত থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ একটি সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, 'ইরাক হোক বা ইরান, কোনও দেশের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা ভারত কখনও সমর্থন করেনি৷ সুতরাং, এ ক্ষেত্রেও কোনও একটি দেশ বা জোটের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না৷' আজ পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান-কি মুনের৷ আগামিকাল তাঁর কিয়েভ যাওয়ার কথা৷
এর আগেই অবশ্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ 'ঐক্য এবং সার্বভৌমত্বে'র প্রশ্নে ভারতের অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, সব দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান বের করবে৷ প্রতিটি দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত
চলতি সংঘাতে প্রথম মৃত্যু, ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদর দপ্তর দখল, আমেরিকা ও ব্রিটেনের হুমকি, রাশিয়ার প্রত্যুত্তর-- মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দিনভর নানা ঘটনায় পারদ চড়েছে ক্রিমিয়া ঘিরে৷ মঙ্গলবার ক্রিমিয়া প্রশাসনের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করার পরই ঘটনাক্রমের সূত্রপাত৷ ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ইউক্রেন সেনার একটি ঘাঁটি দখল করতে গিয়ে রাশিয়াপন্থী বাহিনী গুলি চালায়৷ ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনয়ুকের দাবি, 'সিমফেরোপোলে রুশ বাহিনীর গুলিতে আমাদের এক জওয়ান মারা গিয়েছেন৷ এটা যুদ্ধাপরাধ৷ এর পরিণাম হবে মারাত্মক৷' ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁদের বাহিনী ক্রিমিয়া ছাড়বে না৷ অন্য দিকে ক্রিমিয়ার প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসইয়োনভের ঘোষণা, ইউক্রেনের কোনও আধিকারিককেই আর ক্রিমিয়ায় থাকতে দেওয়া হবে না৷ তিনি বলেন, 'ক্রিমিয়া ওঁদের চায় না৷ যাঁরা আছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে৷'
তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে, এদিন জলে-আকাশে মহড়া চালিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া৷ ইউক্রেন সীমান্তের পশ্চিমে এদিন পুরোদমে রুশ বিমানবাহিনীর মহড়া চলেছে৷ জেট ফাইটার ও বোমারু বিমানের আনাগোনা দেখা গিয়েছে দীর্ঘক্ষণ ধরে৷ অন্য দিকে কৃষ্ণ সাগরে বুলগেরিয়া ও রোমানিয়ার নৌবাহিনীর সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মহড়া দেয়৷
ক্রিমিয়ার সেব্যাস্টোপোলে অবস্থিত ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের দখল নিয়েছে রাশিয়াপন্থী ফৌজ৷ ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে তোলা রয়েছে রুশ পতাকা৷ শোনা যাচ্ছে, ইউক্রেনের নৌবাহিনীর প্রধান সেরহি হেইডাককে আটক করা হয়েছে৷ ঘাঁটি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু আধিকারিক ও জওয়ান৷ এর পরই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বলেন, 'রাশিয়া যত এই অন্ধকার পথে চলবে, ততই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে একঘরে হয়ে পড়বে৷' ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, 'রাশিয়া যদি আর একটুও বাড়াবাড়ি করে, তা হলে ওদের জি ৮ থেকে বহিষ্কারের কথা আমাদের ভেবে দেখা উচিত৷' এদিনই ক্রিমিয়ায় ইউক্রেন সেনার আর একটি ঘাঁটি দখল করতে গিয়েছিল রাশিয়াপন্থী ফৌজ৷ কিন্ত্ত শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি৷
এই পরিস্থিতিতেও অবশ্য ভারত মনে করে, রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমোদন ছাড়া কোনও এক বা দু'পক্ষের জারি করা নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেওয়া যায় না৷ বৃহস্পতিবার বা আগামিকাল, শুক্রবার ক্রিমিয়া নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ সাধারণ সভা বসতে পারে৷ ভারত এখন সে দিকেই তাকিয়ে৷ শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ইউক্রেন যদি প্রস্তাবনা আনে, তা হলে তাতে ভারত সমর্থন করতে পারে৷ কিন্ত্ত প্রস্তাবনায় যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান করা হয়, তা হলে সার্বিক প্রক্রিয়া থেকে ভারতের বিরত থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ একটি সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, 'ইরাক হোক বা ইরান, কোনও দেশের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা ভারত কখনও সমর্থন করেনি৷ সুতরাং, এ ক্ষেত্রেও কোনও একটি দেশ বা জোটের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না৷' আজ পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান-কি মুনের৷ আগামিকাল তাঁর কিয়েভ যাওয়ার কথা৷
এর আগেই অবশ্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ 'ঐক্য এবং সার্বভৌমত্বে'র প্রশ্নে ভারতের অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, সব দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান বের করবে৷ প্রতিটি দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত
No comments:
Post a Comment