Wednesday, March 26, 2014

গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন : জাতীয় সঙ্গীতের সজীবতায় সজ্জীবিত হল বাংলাদেশ॥

গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন : জাতীয় সঙ্গীতের সজীবতায় সজ্জীবিত হল বাংলাদেশ॥

http://satkhiranews.com/archives/34152
SHARE THIS
TAGS
নো ছবিঅমৃত চৌধূরী ঃ- লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে স্বাধীন দেশের আপমর জনতা মেটে ওঠে জাতীয় সঙ্গীতের মত মধুর সুরে “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি”। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হাজার বছরের পরাধীনাতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বিশ্বের বুকে স্বধীন অস্তিত্তের ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালীর। দীর্ঘ ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই মহান স্বাধীনতা। স্বধীনতার ৪১বৎসর ১১দিনে বঙ্গবন্ধুর কণ্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাউদ্দোগে জলহীন মুচড়ে পড়া গাছের মত দেশটিকে জাতীয় সঙ্গীতের মধুর সুরে সজ্জীবিত করে তুললো বাংলাদেশকে। মনে করিয়ে দিল মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত এই দেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। ঘড়ির কাটা ঠিক সকাল ১১:০০টা! দেশ তথা বিভিন্ন এলাকার সরকারি, বে-সরকারি, এনজিও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী/কর্মকর্তা-কর্মচারী/ব্যবসায়ী/কৃষক-দিনমজুর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মেতে উঠেছিল স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার দিনে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে, বাদ পড়েনি কোমলমতি শিশুরা। তারাও এদেশকে মনে করিয়ে দিয়েছে, স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ত রক্ষায় তাদেরও ভুমিকা আছে। আমরা বাঙালী, আমরা সার্থক বাঙালী, এই দেশে জন্ম নিয়ে সার্থক জনম আমার। এরকম শতশত দেশত্ববোধক বাণী উচ্চারন হতে দেখা গিয়েছে আজ স্বাধীন বাংলার স্বাধীন জনতার মুখে। কেউ সাইকেলে, কেউ হেটে, কেউবা আবার শহীদ মিনার-এর সামনে লম্বা লাইনে বাংলাদেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা আরোপে গেয়ে উঠলো আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি…। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যস্ততার মাঝে ভোলেনি এই দিনটার কথা, তারাও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ব্যবসা-বানিজ্য শুরু করেছে সোনার বাংলায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন-ই ছিল তাদের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধার দৃষ্টান্ত। ২৬শে মার্চ ২০১৪ইং দিনের সূর্যাদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রকার আলোচনা সভা ও র‌্যালীও দেখা গিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রাম-অঞ্চলের প্রধান-প্রধান সড়কে। ছাত্র-ছাত্রী/অভিভাবকদের বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজনও ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে। ছিল পুরস্কার বিতরনী সভা। সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরের ডি,বি,ইউনাইটেড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মমিনুর রহমান এর উদ্দ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্টানটিতে আয়োজন করা হয়েছিল একই সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সু-ব্যবস্থা। যাতে অংশগ্রহনের অনুরোধক্রমে আহব্বান জানানো হয়েছিল বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের। সকাল ১১টায় তারা একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ছাত্র-ছাত্রীরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত করে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে ধারন করে বাংলাদেশের আপমর জনতা যে সজ্জীবতার আলোকে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন করছে তা বাংলাদেশের কাছে স্মরণীয় স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-২০১৪ হিসাবে থাকবে বলে ধারনা করেন বিভিন্ন মহলের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন।

No comments:

Post a Comment