নিজামীর রায় যেকোনো দিন
সোমবার নিজামীর বিরুদ্ধে আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও মোহাম্মদ আলী। নিজামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ইমরান সিদ্দিকী প্রমুখ।
রোববার নিজামীর পক্ষে আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এর আগে ১০, ১১ ও ১২ মার্চ নিজামীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ ও মোহাম্মদ আলী।
অন্যদিকে ১৩, ২০ ও ২১ মার্চ ট্রাইব্যুনালে নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নিজামীর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হলো। উভয় পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে গত বছরের ৩ থেকে ৬ নভেম্বর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা। এরপর ৭ নভেম্বর থেকে চার দিন আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্কের জন্য দিন রাখা হলেও নিজামীর আইনজীবীরা আসেননি। ফলে ১৩ নভেম্বর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত ঘোষণা দিয়ে যেকোনো দিন মামলাটির রায় দেওয়া হবে বলে অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই সময়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের লিখিত যুক্ততর্ক জমা দিতে বলা হয়।
এরপর ১৪ নভেম্বর আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ চাইলে ১৭ নভেম্বর থেকে ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের অনুমতি দেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০ নভেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে নিজামীর মামলার রায় দ্বিতীয়বারের মতো অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন বিদায়ী চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু রায় দেওয়ার আগেই গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যান। এর পর থেকে প্রায় দুই মাস ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠিত না হওয়ায় নিজামীর মামলাসহ পাঁচটি মামলার কার্যক্রম শুধু তারিখ পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ৫৪ দিন চেয়ারম্যানের পদ শূন্য থাকার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়া নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। সেদিনই নতুন করে যুক্তিতর্ক শোনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১০ মার্চ প্রসিকিউশনের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। নিজামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে ৩৩৬ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। আর আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ প্রায় আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়। তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, খুন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ আনা হয়।
২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ২৮ মে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ এনে নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
নিজামীর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট থেকে গত বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খানসহ ২৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। নিজামীর পক্ষে তার ছেলে নাজিব মোমেনসহ চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
নিজামীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এক. ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট নিজামী চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে শহর ছাত্রসংঘের এক সুধী সমাবেশে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বক্তব্য দেন। ওই সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রসংঘের সভাপতি আবু তাহের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেন। নিজামী ওই সভায় উপস্থিত থেকেও আবু তাহেরের বক্তব্যের বিরোধিতা না করে মৌন সম্মতি দেন।
দুই. একই বছরের ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমি হলে আল-মাদানি স্মরণসভায় স্বাধীনতাকামীদের নিশ্চিহ্ন করতে নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেন নিজামী।
তিন. একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন প্রাঙ্গণে এক ছাত্রসমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন নিজামী।
চার. একই বছরের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর যশোর বিডি হলে ছাত্রসংঘের মিটিংয়ে জিহাদের সমর্থনে বক্তব্য দেন নিজামী। তিনি ওই মিটিংয়ে নিরীহ বাঙালি হত্যার নির্দেশ দেন।
পাঁচ. একই বছরের ১৪ মে নিজামীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার, আলবদররা পাবনার ডেমরা ও বাউসগাতি গ্রাম ঘেরাও করে। এরপর ৪৫০ জন হিন্দুকে এক জায়গায় জড়ো করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে তারা। সেখানে নারীদের ধর্ষণ করা হয়।
জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এক. ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট নিজামী চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে শহর ছাত্রসংঘের এক সুধী সমাবেশে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বক্তব্য দেন। ওই সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রসংঘের সভাপতি আবু তাহের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেন। নিজামী ওই সভায় উপস্থিত থেকেও আবু তাহেরের বক্তব্যের বিরোধিতা না করে মৌন সম্মতি দেন।
দুই. একই বছরের ২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমি হলে আল-মাদানি স্মরণসভায় স্বাধীনতাকামীদের নিশ্চিহ্ন করতে নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেন নিজামী।
তিন. একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন প্রাঙ্গণে এক ছাত্রসমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন নিজামী।
চার. একই বছরের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর যশোর বিডি হলে ছাত্রসংঘের মিটিংয়ে জিহাদের সমর্থনে বক্তব্য দেন নিজামী। তিনি ওই মিটিংয়ে নিরীহ বাঙালি হত্যার নির্দেশ দেন।
পাঁচ. একই বছরের ১৪ মে নিজামীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার, আলবদররা পাবনার ডেমরা ও বাউসগাতি গ্রাম ঘেরাও করে। এরপর ৪৫০ জন হিন্দুকে এক জায়গায় জড়ো করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে তারা। সেখানে নারীদের ধর্ষণ করা হয়।
ছয়. নিজামীর নির্দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় একই বছরের ৮ মে পাবনার সাঁথিয়া থানার করমজা গ্রামের লোক জড়ো করে নির্বিচারে অসংখ্য লোককে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ করা হয় নারীদের।
সাত. একই বছরের ২৭ ও ২৮ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়া থানার ধোলাউড়ি গ্রামে ডা. আবদুল আওয়ালের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ৩০ জনকে। নিজামীর নির্দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেখান থেকে চারজনকে ধরে ইছামতী নদীর পাড়ে নিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এদের মধ্যে শাহজাহান আলীকে গলা কেটে ফেলে চলে যাওয়ার পর ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
আট. ১৬ এপ্রিল ঈশ্বরদী থানার আটপাড়া ও বুথেরগাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নয়. ১০ জুন আতাইকুলা থানার মাতপুর গ্রামের মাওলানা কছিমউদ্দিনকে ধরে ইছামতী নদীর পাড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়।
দশ. ৯ আগস্ট পাবনা শহরের নূরপুর ওয়াপদা মোড় থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাজেদসহ দুজনকে ধরে নিয়ে হত্যার পর পাবনা সুগার মিলের পাশে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
এগারো. ৩ ডিসেম্বর বেড়া থানার বিছাখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে ৭০ জনকে হত্যা করা হয়।
বারো. আগস্টের কোনো এক সময় সাঁথিয়ার সোনাতলা গ্রামে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
তেরো. মে মাসে ঢাকার মোহাম্মদপুরে শারীরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপনের পর সেখানে গোলাম আযম ও নিজামী নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সলাপরামর্শ করতেন তিনি। তারই ফল হচ্ছে সারা দেশে হত্যা ও নির্যাতন।
চৌদ্দ. ৩০ আগস্ট রাতে পুরাতন এমপি হোস্টেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্পে বন্দি জালাল, রুমী, বদিসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন নিজামী ও মুজাহিদ। এরপর তাদের হত্যা করা হয়।
পনেরো. একই বছরের ৫ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পাবনার সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজাকার ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে যেতেন নিজামী। সেখানে রাজাকার কমান্ডার সামাদ মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য সলাপরামর্শ করতেন।
ষোলো. সারা দেশে ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী যে অপরাধ করেছে তার দায় নিজামীর। কারণ ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই সব কর্মকাণ্ডে পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতা ছিলেন তিনি।
সাত. একই বছরের ২৭ ও ২৮ নভেম্বর পাবনার সাঁথিয়া থানার ধোলাউড়ি গ্রামে ডা. আবদুল আওয়ালের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ৩০ জনকে। নিজামীর নির্দেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেখান থেকে চারজনকে ধরে ইছামতী নদীর পাড়ে নিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এদের মধ্যে শাহজাহান আলীকে গলা কেটে ফেলে চলে যাওয়ার পর ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
আট. ১৬ এপ্রিল ঈশ্বরদী থানার আটপাড়া ও বুথেরগাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নয়. ১০ জুন আতাইকুলা থানার মাতপুর গ্রামের মাওলানা কছিমউদ্দিনকে ধরে ইছামতী নদীর পাড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়।
দশ. ৯ আগস্ট পাবনা শহরের নূরপুর ওয়াপদা মোড় থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাজেদসহ দুজনকে ধরে নিয়ে হত্যার পর পাবনা সুগার মিলের পাশে লাশ ফেলে দেওয়া হয়।
এগারো. ৩ ডিসেম্বর বেড়া থানার বিছাখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে ৭০ জনকে হত্যা করা হয়।
বারো. আগস্টের কোনো এক সময় সাঁথিয়ার সোনাতলা গ্রামে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
তেরো. মে মাসে ঢাকার মোহাম্মদপুরে শারীরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপনের পর সেখানে গোলাম আযম ও নিজামী নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সলাপরামর্শ করতেন তিনি। তারই ফল হচ্ছে সারা দেশে হত্যা ও নির্যাতন।
চৌদ্দ. ৩০ আগস্ট রাতে পুরাতন এমপি হোস্টেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্পে বন্দি জালাল, রুমী, বদিসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন নিজামী ও মুজাহিদ। এরপর তাদের হত্যা করা হয়।
পনেরো. একই বছরের ৫ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পাবনার সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজাকার ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে যেতেন নিজামী। সেখানে রাজাকার কমান্ডার সামাদ মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য সলাপরামর্শ করতেন।
ষোলো. সারা দেশে ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী যে অপরাধ করেছে তার দায় নিজামীর। কারণ ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই সব কর্মকাণ্ডে পরিকল্পনাকারী ও উসকানিদাতা ছিলেন তিনি।
No comments:
Post a Comment