আনোয়ারার ভাইস চেয়ারম্যান বদনী
অস্ত্র মামলার আসামি হয়েও জনপ্রিয়তায় সবার উপরে!
আসল নাম মরিয়ম বেগম। সবাই তাকে বদনী বলেই বেশি চেনেন। ওই নামেই নিজেকে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। আর এই বদনী এখন আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান। নামকরা, উচ্চশিক্ষিত ও বনেদী ঘরের দুই নারীকে পেছনে ফেলে ওঠে এসেছেন শীর্ষে। বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি ও পরে খালাস পাওয়া এবং বর্তমানে দুটি অস্ত্র মামলার আসামি বদনী’র এ সাফল্যের খোঁজে উপজেলার বৈরাগের উত্তর বন্দর গ্রামে গেলে পাওয়া যায় তার এ সফলতার কাহিনী।
জানা গেছে, মরিয়ম বেগম ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বৈরাগের নারী মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই পরিষদ টানা ২০১১ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকে। পরে ২০১১ সালে আবারও বিপুল ভোটে জয় পান তিনি। দীর্ঘ এই সময়ে জনগণের কাছে থাকা বদনী তাদের সেবাও করেছেন সাধ্যমত। এ সময়ে তিনি এলাকার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি শালিশ-বিচারেও বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন। ক্রমশ তার নাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। রাত-বিরাতে চুরি-ডাকাতি-অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন কাজে এই বদনীই হয়ে ওঠেন জনগণের অতি আপন যেন সবার ভরসার প্রতীক।
২০০৪ সালে সিইউএফএল ঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের বিশাল চালান আটক হলে সেখানে বদনীকে জড়ানো হয় একেবারে ষড়যন্ত্র করে। আর তাই বিনাদোষে ৬ মাস জেলও খাটেন এ বদনী। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরে ওই মামলার রায় হলে তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে আরো একবার আলোচনায় ওঠে আসেন। আর খালাস পেয়েই আগ্রহী হয়ে ওঠেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার। যেই কথা সেই কাজ। প্রার্থীও হলেন, আবার জিতলেনও বিশাল ভোটে। তাও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি ও পরে খালাস পাওয়া এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দু’টি অস্ত্র মামলা থাকার পরও সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বদনী বলেন, ‘জনগণকে আমি ভালোবাসি, তারাও আমাকে ভালোবাসে এর চেয়ে বড় কথা আর নেই। আমার প্রথম ও শেষ কথা হলো তাদের সেবা করা। আমি জনগণের সেবা করে জীবন পার করে দিতে চাই।’
৪ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট বদনী। একান্নবর্তী পরিবারের এই মেয়ে ছোটকাল থেকেই বেশ সাহসী ও মারকুটে। কথার সাথে কাজে মিল না পেলে যে কাউকেই ছাড়তেন না। পুরুষশাসিত সমাজে কোনো বিচারে গেলেই বদনী হয়ে ওঠতেন ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অগ্নিশর্মা। আর এ কারণে অনেকে তাকে ফুলনদেবী বলেও ডাকা শুরু করে। এসবও দারুণ উপভোগ করেন তিনি। জনসেবার কারণে বিভিন্ন সময়ে তাকে পড়তে হয়েছে রোষানলে। পড়তে হয়েছে মামলার গ্যাড়াকলেও। তাই তার বিরুদ্ধে মহানগর ১ম অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইবুনালে ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় একটি এবং মহানগর ৩য় অতিরিক্ত জজ আদালতে আরো একটি ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন আছে। মামলা দু’টি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) (এফ) আইনে একটি এবং চোরাচালান (বিশেষ ক্ষমতা আইন) ধারা-১৫ (বি) দু’টি মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার মধ্যে একটি হল বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা।
গত রোববার নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে বদনী এখন অনেক খুশি। তার জয়লাভের পর স’ানীয়রা নিজেদের টাকায় ১৫টি ট্রাক ও ৫টি বাস নিয়ে উল্লাস করেছেন উপজেলায়। পুরো বন্দর গ্রামে ওঠেছে উৎসবের রোল। সারা রাত ধরে চলেছে নাচ-গান-উচ্ছ্বাস। এ উৎসব ছুঁয়ে গেছে ছেলে-বুড়ো সবার মধ্যে। বদনীও ঘরে ঘরে গিয়ে সালাম করে এসেছেন।
বদনী’র গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধা নাজমা জানান, বদনী আমাদের গর্ব, বদনীই আমাদের অহংকার, এর বাইরে আর কিছুই নেই।
বদনীর সহকর্মী ৫ নং বরুমচড়া ইউনিয়নের নারী মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস (কলি) বলেন, ‘আমাদের বদনী এখন উপজেলার চেয়ারে বসবেন, এটি অন্যরকম মজার অনুভূতি। তিনি দেশের জন্য একটা মেসেজ। জনসেবা করলে মানুষ মানুষকে কীভাবে ভালোবাসে তার বড় উদাহরণ বদনী।’
বদনী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘আমার মৃত্যু হোক জনগণকে ভালোবেসে, তাদের সেবা করতে করতে কারণ তারাই আমার সব।’
উচ্চশিক্ষার ধারেকাছেও না গিয়ে জনগণের কাছে থাকার ও তাদের অতি আপন হয়ে যাওয়া ‘স্বশিক্ষিত’ এ বদনী’র কাছে আনোয়ারার মানুষের আর কীইবা চাওয়ার আছে?
জানা গেছে, মরিয়ম বেগম ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বৈরাগের নারী মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই পরিষদ টানা ২০১১ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকে। পরে ২০১১ সালে আবারও বিপুল ভোটে জয় পান তিনি। দীর্ঘ এই সময়ে জনগণের কাছে থাকা বদনী তাদের সেবাও করেছেন সাধ্যমত। এ সময়ে তিনি এলাকার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি শালিশ-বিচারেও বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন। ক্রমশ তার নাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। রাত-বিরাতে চুরি-ডাকাতি-অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন কাজে এই বদনীই হয়ে ওঠেন জনগণের অতি আপন যেন সবার ভরসার প্রতীক।
২০০৪ সালে সিইউএফএল ঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের বিশাল চালান আটক হলে সেখানে বদনীকে জড়ানো হয় একেবারে ষড়যন্ত্র করে। আর তাই বিনাদোষে ৬ মাস জেলও খাটেন এ বদনী। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরে ওই মামলার রায় হলে তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে আরো একবার আলোচনায় ওঠে আসেন। আর খালাস পেয়েই আগ্রহী হয়ে ওঠেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার। যেই কথা সেই কাজ। প্রার্থীও হলেন, আবার জিতলেনও বিশাল ভোটে। তাও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি ও পরে খালাস পাওয়া এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দু’টি অস্ত্র মামলা থাকার পরও সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বদনী বলেন, ‘জনগণকে আমি ভালোবাসি, তারাও আমাকে ভালোবাসে এর চেয়ে বড় কথা আর নেই। আমার প্রথম ও শেষ কথা হলো তাদের সেবা করা। আমি জনগণের সেবা করে জীবন পার করে দিতে চাই।’
৪ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট বদনী। একান্নবর্তী পরিবারের এই মেয়ে ছোটকাল থেকেই বেশ সাহসী ও মারকুটে। কথার সাথে কাজে মিল না পেলে যে কাউকেই ছাড়তেন না। পুরুষশাসিত সমাজে কোনো বিচারে গেলেই বদনী হয়ে ওঠতেন ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অগ্নিশর্মা। আর এ কারণে অনেকে তাকে ফুলনদেবী বলেও ডাকা শুরু করে। এসবও দারুণ উপভোগ করেন তিনি। জনসেবার কারণে বিভিন্ন সময়ে তাকে পড়তে হয়েছে রোষানলে। পড়তে হয়েছে মামলার গ্যাড়াকলেও। তাই তার বিরুদ্ধে মহানগর ১ম অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইবুনালে ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় একটি এবং মহানগর ৩য় অতিরিক্ত জজ আদালতে আরো একটি ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন আছে। মামলা দু’টি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) (এফ) আইনে একটি এবং চোরাচালান (বিশেষ ক্ষমতা আইন) ধারা-১৫ (বি) দু’টি মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার মধ্যে একটি হল বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা।
গত রোববার নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে বদনী এখন অনেক খুশি। তার জয়লাভের পর স’ানীয়রা নিজেদের টাকায় ১৫টি ট্রাক ও ৫টি বাস নিয়ে উল্লাস করেছেন উপজেলায়। পুরো বন্দর গ্রামে ওঠেছে উৎসবের রোল। সারা রাত ধরে চলেছে নাচ-গান-উচ্ছ্বাস। এ উৎসব ছুঁয়ে গেছে ছেলে-বুড়ো সবার মধ্যে। বদনীও ঘরে ঘরে গিয়ে সালাম করে এসেছেন।
বদনী’র গ্রামের অশীতিপর বৃদ্ধা নাজমা জানান, বদনী আমাদের গর্ব, বদনীই আমাদের অহংকার, এর বাইরে আর কিছুই নেই।
বদনীর সহকর্মী ৫ নং বরুমচড়া ইউনিয়নের নারী মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস (কলি) বলেন, ‘আমাদের বদনী এখন উপজেলার চেয়ারে বসবেন, এটি অন্যরকম মজার অনুভূতি। তিনি দেশের জন্য একটা মেসেজ। জনসেবা করলে মানুষ মানুষকে কীভাবে ভালোবাসে তার বড় উদাহরণ বদনী।’
বদনী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘আমার মৃত্যু হোক জনগণকে ভালোবেসে, তাদের সেবা করতে করতে কারণ তারাই আমার সব।’
উচ্চশিক্ষার ধারেকাছেও না গিয়ে জনগণের কাছে থাকার ও তাদের অতি আপন হয়ে যাওয়া ‘স্বশিক্ষিত’ এ বদনী’র কাছে আনোয়ারার মানুষের আর কীইবা চাওয়ার আছে?
http://www.suprobhat.com/?p=141371
No comments:
Post a Comment