যদি দেখতে চাও তুমি ..
ভোট দিলে ফের বিনা পয়সায় দেখা যাবে তাঁকে৷ বীরভূমে নির্বাচনী সভায় এমনটাই বললেন শতাব্দী রায়৷ লিখছেন হেমাভ সেনগুপ্ত৷
সিউড়ি: 'দেখলে হবে, খরচা আছে৷' চালু রসিকতাকেই যেন বদলে নিলেন শতাব্দী রায়! ভোট প্রচারে বিনা পয়সায় তাঁকে দেখার ঢালাও আমন্ত্রণ জানালেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ৷ শর্ত অবশ্য আছে৷ ভোট দিতে হবে তাঁকে৷ তা হলেই আর টিকিট কেটে সিনেমা বা যাত্রা দেখতে যেতে হবে না৷ একেবারে সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাবেন ভোটাররা৷ ফের ভোট চাইতে বেরিয়ে তাঁর এমন মন্তব্য বিতর্কও তৈরি করেছে৷
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ি লাগোয়া হাটজন বাজারের সভায় হ্যান্ড মাইকে বক্তৃতা করছিলেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়৷ সামনে বসা দর্শকদের অধিকাংশই মহিলা৷ অনেকে আবার ঘোমটা দিয়ে বসে আছেন৷ ভোট চাওয়ার কথা নানা ভাবে বলার পর হঠাত্ তিনি সভার সামনে বসা মানুষদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, 'তোমরা আমাকে দেখতে সিনেমা হলে যাও?' সমস্বরে উত্তর, 'হ্যাঁ৷' আবার জিজ্ঞাসা, 'টিকিট কেটে যেতে হয় তো?' উত্তর একই৷ পরক্ষণেই শতাব্দী জানতে চান, 'যাত্রায় আমাকে দেখতেও তো পয়সা লাগে৷' সবাই জানান, 'লাগে৷'এরপর তাঁর ফের প্রশ্ন, 'কিন্ত্ত গত ৫ বছর তোমরা আমাকে সামনে থেকে দেখেছো কি না?' উত্তর একই, 'হ্যাঁ, হ্যাঁ৷' 'পয়সা লেগেছিল?' শ্রোতাদের কাছে আবার জানতে চান শতাব্দী৷ এ বার জবাব নেতিবাচক৷ 'আরও ৫ বছর বিনা পয়সাতেই আমাকে দেখতে চাও তো?' ফের এই প্রশ্নে ইতিবাচক উত্তর দেন সামনে বসে থাকা লোকজন৷ অভিনেত্রী তখন বলেন, 'বিনাপয়সায় আমাকে দেখতে হলে একটি করে ভোট দাও৷ আর টিকিট কেটে সিনেমা বা যাত্রা দেখতে হবে না৷'
আপাত এমন নিরীহ মন্তব্যেই ঝড় উঠেছে বিতর্কের৷ বীরভূমের সাংসদের দলীয় অনুগামী তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ দায় এড়িয়ে বলেন, 'এসব মন্তব্য নিয়ে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই৷ যিনি এই মন্তব্য করেছেন, দায় তাঁকেই নিতে হবে৷ এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না৷' তৃণমূলের অপর প্রার্থী, মমতা ঘনিষ্ঠ গায়ক ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, 'লোকসভা ভোট পর্যন্ত বহরমপুর, অধীর চৌধুরী আর কংগ্রেসের বাইরে কোনও কিছু নিয়ে ভাবছি না৷ তাই কোথায় কে কী বলেছেন, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে পারছি না৷' সংসদে শতাব্দীর দলীয় সতীর্থ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, 'ক্লাস নাইন থেকে রাজনীতি করছি৷ তাই এ ধরনের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারব না৷ যা বলার দল বলবে৷'
শতাব্দী অবশ্য ওই ভাষণেই তাঁর সাফল্যও প্রচার করেছেন৷ ওই সভাতেই তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়ে শুনেছিলাম এমপি'রা কাজ করেন না৷ জেতার পর মনে হল এত পরিশ্রম৷ কিন্ত্ত মনে হল, এত কষ্ট করে যে মানুষটি জেতেন, তিনি কাজ করেন না কেন? আপনারা তাঁদের আর ভোট দেবেন না৷ আমার জন্য যখন এসেছেন, ভোট দেবেন আমাকেই৷ ছাপ দেবেন জোড়া ফুলে৷' অভিনয় ও রাজনীতির জগতে শতাব্দীর আর এক সতীর্থ তাপস পাল বলছেন, 'শতাব্দী তো ভালো কথাই বলেছে৷ সব কথা এত সিরিয়াসলি নিলে হয় নাকি? এটা তো একেবারেই মজা করে বলা৷ কিছু দিন আগেই আমরা একসঙ্গে যাত্রা করলাম --- তাপস-শতাব্দীর যাত্রা৷ চল্লিশটা শো করেছি৷ সব হাউসফুল৷ তার উপর আমার আর ওর নির্বাচনী কেন্দ্রেও তো বহু যাত্রা করেছি৷ তখন তো লোককে আমাদের টিকিট কেটেই দেখতে হয়েছে৷'
সিউড়ি: 'দেখলে হবে, খরচা আছে৷' চালু রসিকতাকেই যেন বদলে নিলেন শতাব্দী রায়! ভোট প্রচারে বিনা পয়সায় তাঁকে দেখার ঢালাও আমন্ত্রণ জানালেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ৷ শর্ত অবশ্য আছে৷ ভোট দিতে হবে তাঁকে৷ তা হলেই আর টিকিট কেটে সিনেমা বা যাত্রা দেখতে যেতে হবে না৷ একেবারে সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাবেন ভোটাররা৷ ফের ভোট চাইতে বেরিয়ে তাঁর এমন মন্তব্য বিতর্কও তৈরি করেছে৷
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ি লাগোয়া হাটজন বাজারের সভায় হ্যান্ড মাইকে বক্তৃতা করছিলেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়৷ সামনে বসা দর্শকদের অধিকাংশই মহিলা৷ অনেকে আবার ঘোমটা দিয়ে বসে আছেন৷ ভোট চাওয়ার কথা নানা ভাবে বলার পর হঠাত্ তিনি সভার সামনে বসা মানুষদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, 'তোমরা আমাকে দেখতে সিনেমা হলে যাও?' সমস্বরে উত্তর, 'হ্যাঁ৷' আবার জিজ্ঞাসা, 'টিকিট কেটে যেতে হয় তো?' উত্তর একই৷ পরক্ষণেই শতাব্দী জানতে চান, 'যাত্রায় আমাকে দেখতেও তো পয়সা লাগে৷' সবাই জানান, 'লাগে৷'এরপর তাঁর ফের প্রশ্ন, 'কিন্ত্ত গত ৫ বছর তোমরা আমাকে সামনে থেকে দেখেছো কি না?' উত্তর একই, 'হ্যাঁ, হ্যাঁ৷' 'পয়সা লেগেছিল?' শ্রোতাদের কাছে আবার জানতে চান শতাব্দী৷ এ বার জবাব নেতিবাচক৷ 'আরও ৫ বছর বিনা পয়সাতেই আমাকে দেখতে চাও তো?' ফের এই প্রশ্নে ইতিবাচক উত্তর দেন সামনে বসে থাকা লোকজন৷ অভিনেত্রী তখন বলেন, 'বিনাপয়সায় আমাকে দেখতে হলে একটি করে ভোট দাও৷ আর টিকিট কেটে সিনেমা বা যাত্রা দেখতে হবে না৷'
আপাত এমন নিরীহ মন্তব্যেই ঝড় উঠেছে বিতর্কের৷ বীরভূমের সাংসদের দলীয় অনুগামী তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ দায় এড়িয়ে বলেন, 'এসব মন্তব্য নিয়ে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই৷ যিনি এই মন্তব্য করেছেন, দায় তাঁকেই নিতে হবে৷ এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না৷' তৃণমূলের অপর প্রার্থী, মমতা ঘনিষ্ঠ গায়ক ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, 'লোকসভা ভোট পর্যন্ত বহরমপুর, অধীর চৌধুরী আর কংগ্রেসের বাইরে কোনও কিছু নিয়ে ভাবছি না৷ তাই কোথায় কে কী বলেছেন, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে পারছি না৷' সংসদে শতাব্দীর দলীয় সতীর্থ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, 'ক্লাস নাইন থেকে রাজনীতি করছি৷ তাই এ ধরনের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারব না৷ যা বলার দল বলবে৷'
শতাব্দী অবশ্য ওই ভাষণেই তাঁর সাফল্যও প্রচার করেছেন৷ ওই সভাতেই তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর আগে প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়ে শুনেছিলাম এমপি'রা কাজ করেন না৷ জেতার পর মনে হল এত পরিশ্রম৷ কিন্ত্ত মনে হল, এত কষ্ট করে যে মানুষটি জেতেন, তিনি কাজ করেন না কেন? আপনারা তাঁদের আর ভোট দেবেন না৷ আমার জন্য যখন এসেছেন, ভোট দেবেন আমাকেই৷ ছাপ দেবেন জোড়া ফুলে৷' অভিনয় ও রাজনীতির জগতে শতাব্দীর আর এক সতীর্থ তাপস পাল বলছেন, 'শতাব্দী তো ভালো কথাই বলেছে৷ সব কথা এত সিরিয়াসলি নিলে হয় নাকি? এটা তো একেবারেই মজা করে বলা৷ কিছু দিন আগেই আমরা একসঙ্গে যাত্রা করলাম --- তাপস-শতাব্দীর যাত্রা৷ চল্লিশটা শো করেছি৷ সব হাউসফুল৷ তার উপর আমার আর ওর নির্বাচনী কেন্দ্রেও তো বহু যাত্রা করেছি৷ তখন তো লোককে আমাদের টিকিট কেটেই দেখতে হয়েছে৷'
http://eisamay.indiatimes.com/-/satabdi-campaign/articleshow/32066855.cms
No comments:
Post a Comment