ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-08-03 09:15:08.0 BdST Updated: 2014-08-03 09:16:49.0 BdST
ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একের পর এক উদ্যোগ নিলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
RELATED STORIES
-
2012-04-05 09:49:53.0
-
2013-01-16 05:54:19.0
-
2013-01-16 12:47:51.0
-
2014-05-05 21:53:54.0
-
2013-02-02 15:03:58.0
ভোটার হওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের অব্যাহত তৎপরতার কারণে ‘রোহিঙ্গা অধ্যুষিত’ বিশেষ এলাকার আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে দেশজুড়ে ধাপে ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদের (নতুনদের অন্তর্ভুক্তি, স্থানান্তর, মৃতদের বাদ ও তথ্য সংশোধন) কাজ চলছে। এ পর্যন্ত দুই ধাপে প্রায় চারশ’ উপজেলায় ভোটার নিবন্ধনে তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতার কথা স্বীকার করে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী তিনটি জেলার ১৪টি উপজেলায় ভোটার নিবন্ধনের জন্য বিশেষ ফরম ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ নজরদারির পরও কেউ কেউ ভোটার হতে চাইছে। তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”
সম্প্রতি চট্টগ্রামের পটিয়ায় হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে রোহিঙ্গা পাড়ার ‘সন্ধান’ পাওয়ার কথাও জানান তিনি।
আবদুল মোবারক কমিশন সভায় (ইসির কার্যপত্র অনুযায়ী) জানান, পটিয়া উপজেলায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা ভোটার এবং সেখানে একটি রোহিঙ্গা পাড়া আছে বলে জানতে পেরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ওই এলাকাকে ‘বিশেষ এলাকাভুক্ত’ করতে কোনো পদক্ষেপ নেননি বলেও জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
রোহিঙ্গা ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের আরো মনোযোগ ও তদারকি বাড়ানোর তাগিদও দেন তিনি।
আগে ১৩টি এলাকাকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ধরা হলেও এবারে ওই তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা। সীমান্তবর্তী এই ১৪টি উপজেলা হচ্ছে - কক্সবাজারের সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী, বান্দরবানের সদর, আলিকদম, লামা, নাইক্ষংছড়ি এবং রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি ও কাপ্তাই।
ফাইল ছবি
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদের কাজ চলবে। এর মধ্যে নতুন আওতাভুক্ত উপজেলা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত পেলে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হবে।
এদিকে প্রথম পর্যায়ের হালনাগাদে ভোটারযোগ্য নারীদের পর্যাপ্ত সাড়া পাওয়া যায়নি বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন।
এ পর্বে দেশের ১৮১ উপজেলায় ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৮ জন পুরুষ নতুন ভোটার হয়েছেন। এসময় নারী ভোটার হয়েছেন ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ জন।
কমিশন সভায় নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ প্রথম পর্যায়ে নারী ভোটারের হার কম নিয়ে প্রশ্ন রাখেন।
এ সময় ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিছু কিছু এলাকায় মহিলারা পর্দানশীন হওয়ায় তারা ভোটার হতে অনীহা প্রকাশ করেন। বিদেশ ফেরতদের মধ্যেও মহিলার সংখ্যা কম হওয়ায় এ বছর নিবন্ধনে তাদের হার অপেক্ষাকৃত কম।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, “এবারের হালনাগাদে মহিলা ভোটার নিবন্ধনের হার বাড়ানোর জন্য মহিলা সংস্থা বা মহিলা অধিদপ্তরের সহায়তা নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।”
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রথম পর্যায়ে ১৮১ উপজেলায় ১৩ লক্ষাধিক ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২১৩ উপজেলায় ১৫ লক্ষাধিক নতুন ভোটার হয়েছে। বাকি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনগুলোতে সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে আরো দুই ধাপে হালনাগাদ চলবে।
বর্তমানে দেশে ৯ কোটি ১৯ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে।
No comments:
Post a Comment