Saturday, August 2, 2014

বিদেশি লগ্নি আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকার প্রশংসায় রাষ্ট্রপতি রাজ্যগুলিকে পণ্য পরিষেবা কর চালুর আহ্বান

বিদেশি লগ্নি আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকার প্রশংসায় রাষ্ট্রপতি
রাজ্যগুলিকে পণ্য পরিষেবা কর চালুর আহ্বান


আজকালের প্রতিবেদন: বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি৷‌ একই সঙ্গে পণ্য পরিষেবা কর (জি এস টি) ব্যবস্হা সফল করতে সব রাজ্য সরকারকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি৷‌ শনিবার কলকাতার এক হোটেলে বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি৷‌ তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে মোট জাতীয় উৎপাদনের বৃদ্ধির হার দরকার ৮ থেকে ৯ শতাংশ৷‌ 

এ জন্য অম্তত ৩৬ শতাংশ লগ্নির প্রয়োজন৷‌ লগ্নির প্রয়োজন মেটাতে বাড়তি লগ্নি রয়েছে এমন দেশগুলির ভূমিকা রয়েছে৷‌ আমি আনন্দিত যে, কেন্দ্র সরকার বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল৷‌ সে জন্য যা করার, তা করছে সরকার৷‌ এদিনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি শ্রীবর্ধন গোয়েঙ্কা, সহ-সভাপতি সিদ্ধাম্ত কল প্রমুখ৷‌ রাষ্ট্রপতি বলেন, নীতি নির্ধারণকারীদের আবেদন করছি পণ্য পরিষেবা কর চালু করতে একসঙ্গে কাজ করুন৷‌ তিনি জানান, ২০২০ সালের মধ্যে মোট জাতীয় উৎপাদনে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন ক্ষেত্রের অবদান হবে প্রায় ২৫ শতাংশ৷‌ ২০১২-১৭ সালে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের দরকার৷‌ যার বড় অংশ পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে হবে৷‌ এক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নির একটা বড় দিক রয়েছে৷‌ দক্ষ কর্মী তৈরির ওপর জোর দেন তিনি৷‌ বলেন, দেশে ৭৩৫টি ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫ হাজারের বেশি কলেজ, ১৬টি আই আই টি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও বহু মানুষ এখনও অদক্ষ৷‌ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ কর্মোপযোগী হয়ে উঠবেন৷‌ এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্হানের সুযোগ দেওয়া, জনসংখ্যাগত সুবিধার সুযোগ কাজে লাগাতে এঁদের দক্ষতা বাড়াতে হবে৷‌ তিনি বলেন, আম্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও ২০০৩-০৪ থেকে ২০১৩-১৪ সাল পর্যম্ত দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার থমকে থাকেনি৷‌ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যে সমস্যার মুখোমুখি হয়, তা থেকে ভারতও বাদ যায়নি৷‌ কিন্তু তার পরও ২০০৩-০৪ থেকে ২০১৩-১৪ সালে বৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ৭ শতাংশ৷‌ আর্থিক সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া৷‌ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার গতি বাড়তে-কমতে পারে৷‌ কিন্তু থেমে যেতে পারে না৷‌ বছর দুয়েক আগে নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মম্তব্য করেন তিনি৷‌ তাঁর সংযোজন, সাংবিধানিক দায়িত্ব মেনে এখন অন্যরা বলেন, আমি শুনি৷‌ এদিন সুশীল মোদি পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য ‘কমন ইকনমিক জোন’ তৈরির কথা বলেন৷‌ তাঁর মতে, স্বাধীনতার পর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বেশ পিছিয়ে পড়েছে৷‌ স্বাধীনতার আগে পরিস্হিতি ছিল পুরো বিপরীত৷‌ জগদীশপুর-হলদিয়া গ্যাস পাইপলাইন, এলাহাবাদ-হলদিয়া জলপথের কাজ দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেন তিনি৷‌

No comments:

Post a Comment