আজকালের প্রতিবেদন: বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি৷ একই সঙ্গে পণ্য পরিষেবা কর (জি এস টি) ব্যবস্হা সফল করতে সব রাজ্য সরকারকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি৷ শনিবার কলকাতার এক হোটেলে বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি৷ তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে মোট জাতীয় উৎপাদনের বৃদ্ধির হার দরকার ৮ থেকে ৯ শতাংশ৷
এ জন্য অম্তত ৩৬ শতাংশ লগ্নির প্রয়োজন৷ লগ্নির প্রয়োজন মেটাতে বাড়তি লগ্নি রয়েছে এমন দেশগুলির ভূমিকা রয়েছে৷ আমি আনন্দিত যে, কেন্দ্র সরকার বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল৷ সে জন্য যা করার, তা করছে সরকার৷ এদিনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি শ্রীবর্ধন গোয়েঙ্কা, সহ-সভাপতি সিদ্ধাম্ত কল প্রমুখ৷ রাষ্ট্রপতি বলেন, নীতি নির্ধারণকারীদের আবেদন করছি পণ্য পরিষেবা কর চালু করতে একসঙ্গে কাজ করুন৷ তিনি জানান, ২০২০ সালের মধ্যে মোট জাতীয় উৎপাদনে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন ক্ষেত্রের অবদান হবে প্রায় ২৫ শতাংশ৷ ২০১২-১৭ সালে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের দরকার৷ যার বড় অংশ পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে হবে৷ এক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নির একটা বড় দিক রয়েছে৷ দক্ষ কর্মী তৈরির ওপর জোর দেন তিনি৷ বলেন, দেশে ৭৩৫টি ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫ হাজারের বেশি কলেজ, ১৬টি আই আই টি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও বহু মানুষ এখনও অদক্ষ৷ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ কর্মোপযোগী হয়ে উঠবেন৷ এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্হানের সুযোগ দেওয়া, জনসংখ্যাগত সুবিধার সুযোগ কাজে লাগাতে এঁদের দক্ষতা বাড়াতে হবে৷ তিনি বলেন, আম্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও ২০০৩-০৪ থেকে ২০১৩-১৪ সাল পর্যম্ত দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার থমকে থাকেনি৷ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যে সমস্যার মুখোমুখি হয়, তা থেকে ভারতও বাদ যায়নি৷ কিন্তু তার পরও ২০০৩-০৪ থেকে ২০১৩-১৪ সালে বৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ৭ শতাংশ৷ আর্থিক সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার গতি বাড়তে-কমতে পারে৷ কিন্তু থেমে যেতে পারে না৷ বছর দুয়েক আগে নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মম্তব্য করেন তিনি৷ তাঁর সংযোজন, সাংবিধানিক দায়িত্ব মেনে এখন অন্যরা বলেন, আমি শুনি৷ এদিন সুশীল মোদি পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য ‘কমন ইকনমিক জোন’ তৈরির কথা বলেন৷ তাঁর মতে, স্বাধীনতার পর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বেশ পিছিয়ে পড়েছে৷ স্বাধীনতার আগে পরিস্হিতি ছিল পুরো বিপরীত৷ জগদীশপুর-হলদিয়া গ্যাস পাইপলাইন, এলাহাবাদ-হলদিয়া জলপথের কাজ দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেন তিনি৷
|
No comments:
Post a Comment