‘দৈনিক আমার দেশ’র মালিকানা বদল?
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া না গেলে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন প্রকাশনাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর্থিক সংকটের কারণে গত ডিসেম্বর থেকে সাংবাদিক ও কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জেলে থাকায় এ সংকটে পড়েছেন তারা। এ কারণে নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে। আমার দেশে কর্মরত সাংবাদিকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ভোরে পত্রিকাটির কার্যালয় থেকে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ওই দিন রাতে তেজগাঁওস্থ ছাপাখানা বন্ধ করে দেয় পুলিশ । পরে মগবাজারে সংগ্রাম পত্রিকার ছাপাখানায় আমার দেশ ছাপতে গেলে সেখানেও হানা দেয় পুলিশ। এরপর থেকে আমার দেশের প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ থাকলেও পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
জানা গেছে, এর মধ্যে ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সাংবাদিক ও কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রায় আড়াইশো সাংবাদিক ও কর্মী রয়েছেন। মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী পত্রিকাটির ব্যয়ভার বহন করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মিসেস মাহমুদ প্রথম ছয়মাস পূর্ণ এবং পরবর্তী দুমাসে অর্ধেক বেতন দিয়েছেন। গত ডিসেম্বর থেকে বেতন বকেয়া রয়েছে।
জানা গেছে, বেতন বকেয়াসহ দেনা বাড়তে থাকায় মাহমুদুর রহমানের পরামর্শে তার স্ত্রী পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে বলেন ।
সূত্রমতে, আমার দেশে ওরিয়ন গ্র“পের শেয়ার থাকায় প্রথমে তাদের কাছে নতুন করে আরো বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওরিয়ন গ্র“প শর্ত আরোপ করায় আলোচনা এগোয়নি।
এছাড়াও ক্রেতাদের তালিকায় পত্রিকাটির সাবেক মালিক, এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ফালু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এবং বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।
কর্মরত সাংবাদিকরা খোকাকেই মালিক হিসেবে পেতে চাইছেন। যদিও যে দাম হাকা হয়েছে তাতে রাজি হননি খোকা। কারাগারে থাকা মাহমুদুর রহমানও আমারদেশ বিক্রির ব্যাপারে সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমার দেশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমার দেশে অর্থ সংকট চলছে সত্য। তবে পত্রিকাটির মালিকানা বদল কিংবা বিনিয়োগের ব্যাপারে কারো সঙ্গে এখনও চূড়ান্ত কোন আলোচনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, আমারদেশের প্রতিষ্ঠাতা মালিক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। এরপর তিনি একে একে প্রতিষ্ঠা করে এনটিভি ও আরটিভি। তার ভাই হাসমত আলীর নাম এখনও প্রকাশক হিসেবে আমার দেশের প্রিন্টার্স লাইনে ছাপা হচ্ছে। পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। ১/১১- এর পর ফালু গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে তখনও আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল আমারদেশ। সে সময় একটি বিশেষ মহলের প্রভাব খাটিয়ে আমারদেশের মালিকানা নিতে চেয়েছিল একাধিক ব্যবসায়ী। তখনই ফালুর হাতছাড়া হয়ে যায় আরটিভি। এক পর্যায়ে আমারদেশের হাল ধরেন মাহমুদুর রহমান। আমানুল্লাহ কবীরের বদলে উপদেষ্টা সম্পাদক হয়ে আসেন প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ। মাহমুদুর রহমান তার মালিকানাধীন সিরামিক্স ইন্ডাস্ট্রি ও সাভারের বাড়িসহ সহায়-সম্পত্তি সব বিক্রি করে আমারদেশে বিনিয়োগ করেন।
সরকারের প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের অভিযোগে প্রথম দফায় মাহমুদুর রহমান জেলে যান।
এরপর আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল নিয়ে ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারির’ খবর ছেপে পুনরায় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। পরবর্তীতে গত বছরের ৫ এপ্রিল মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ আয়োজনে তার বিরুদ্ধে অর্থ সহায়তার অভিযোগ করে সরকার। তখন থেকেই পুলিশের নজরদারিতে থাকেন মাহমুদুর রহমান। শেষঅব্দি ১১ এপ্রিল ২০১৩ অফিস থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আমার দেশ বন্ধ করে দেয় সরকার।
http://www.onbangladesh.org/ newsdetail/detail/200/70890
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া না গেলে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন প্রকাশনাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর্থিক সংকটের কারণে গত ডিসেম্বর থেকে সাংবাদিক ও কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জেলে থাকায় এ সংকটে পড়েছেন তারা। এ কারণে নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে। আমার দেশে কর্মরত সাংবাদিকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ভোরে পত্রিকাটির কার্যালয় থেকে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ওই দিন রাতে তেজগাঁওস্থ ছাপাখানা বন্ধ করে দেয় পুলিশ । পরে মগবাজারে সংগ্রাম পত্রিকার ছাপাখানায় আমার দেশ ছাপতে গেলে সেখানেও হানা দেয় পুলিশ। এরপর থেকে আমার দেশের প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ থাকলেও পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
জানা গেছে, এর মধ্যে ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সাংবাদিক ও কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রায় আড়াইশো সাংবাদিক ও কর্মী রয়েছেন। মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী পত্রিকাটির ব্যয়ভার বহন করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মিসেস মাহমুদ প্রথম ছয়মাস পূর্ণ এবং পরবর্তী দুমাসে অর্ধেক বেতন দিয়েছেন। গত ডিসেম্বর থেকে বেতন বকেয়া রয়েছে।
জানা গেছে, বেতন বকেয়াসহ দেনা বাড়তে থাকায় মাহমুদুর রহমানের পরামর্শে তার স্ত্রী পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে বলেন ।
সূত্রমতে, আমার দেশে ওরিয়ন গ্র“পের শেয়ার থাকায় প্রথমে তাদের কাছে নতুন করে আরো বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওরিয়ন গ্র“প শর্ত আরোপ করায় আলোচনা এগোয়নি।
এছাড়াও ক্রেতাদের তালিকায় পত্রিকাটির সাবেক মালিক, এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ফালু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এবং বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।
কর্মরত সাংবাদিকরা খোকাকেই মালিক হিসেবে পেতে চাইছেন। যদিও যে দাম হাকা হয়েছে তাতে রাজি হননি খোকা। কারাগারে থাকা মাহমুদুর রহমানও আমারদেশ বিক্রির ব্যাপারে সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমার দেশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমার দেশে অর্থ সংকট চলছে সত্য। তবে পত্রিকাটির মালিকানা বদল কিংবা বিনিয়োগের ব্যাপারে কারো সঙ্গে এখনও চূড়ান্ত কোন আলোচনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, আমারদেশের প্রতিষ্ঠাতা মালিক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। এরপর তিনি একে একে প্রতিষ্ঠা করে এনটিভি ও আরটিভি। তার ভাই হাসমত আলীর নাম এখনও প্রকাশক হিসেবে আমার দেশের প্রিন্টার্স লাইনে ছাপা হচ্ছে। পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন আমানুল্লাহ কবীর। ১/১১- এর পর ফালু গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে তখনও আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল আমারদেশ। সে সময় একটি বিশেষ মহলের প্রভাব খাটিয়ে আমারদেশের মালিকানা নিতে চেয়েছিল একাধিক ব্যবসায়ী। তখনই ফালুর হাতছাড়া হয়ে যায় আরটিভি। এক পর্যায়ে আমারদেশের হাল ধরেন মাহমুদুর রহমান। আমানুল্লাহ কবীরের বদলে উপদেষ্টা সম্পাদক হয়ে আসেন প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ। মাহমুদুর রহমান তার মালিকানাধীন সিরামিক্স ইন্ডাস্ট্রি ও সাভারের বাড়িসহ সহায়-সম্পত্তি সব বিক্রি করে আমারদেশে বিনিয়োগ করেন।
সরকারের প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের অভিযোগে প্রথম দফায় মাহমুদুর রহমান জেলে যান।
এরপর আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল নিয়ে ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারির’ খবর ছেপে পুনরায় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। পরবর্তীতে গত বছরের ৫ এপ্রিল মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ আয়োজনে তার বিরুদ্ধে অর্থ সহায়তার অভিযোগ করে সরকার। তখন থেকেই পুলিশের নজরদারিতে থাকেন মাহমুদুর রহমান। শেষঅব্দি ১১ এপ্রিল ২০১৩ অফিস থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আমার দেশ বন্ধ করে দেয় সরকার।
http://www.onbangladesh.org/
No comments:
Post a Comment