নির্ভয়া-কাণ্ড: ২ ধর্ষকের ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ
নয়াদিল্লি: নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় ফের নয়া মোড়৷ গত বৃহস্পতিবারেই দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজনের প্রাণদণ্ড বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ (২৭) এবং পবন (২০)৷ শনিবার, হাইকোর্টের রায় বেরনোর পর দু'দিন কাটতে না কাটতেই, ওই দু'জনের ফাঁসির সাজার উপর আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত৷
এ দিন বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই এবং শিবাকীর্তি সিংয়ের একটি বেঞ্চ বিবৃতি দিয়ে বলে, 'আমরা মুকেশ এবং পবনের প্রাণদণ্ড ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখলাম৷ এই খবর সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য কোর্টের রেজিস্ট্রিকে নির্দেশ দেওয়া হল৷' আগামী আটদিনের মধ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে বিষয়টি উত্থাপন করার জন্যও সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রিকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত, যাতে যথাযথ বেঞ্চের কাছে মামলাটি পেশ করা যায়৷ মুকেশ ও পবনের প্রাণদণ্ডে স্থগিতাদেশ চেয়ে তাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা৷ আদালত জানতে চেয়েছিল, নিম্ন আদালতে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া চারজনেরই হয়েই তিনি সওয়াল করতে চান কিনা৷ শর্মা জানান, তিনি শুধু মুকেশ এবং পবনের প্রতিনিধিত্ব করছেন৷ উল্লেখ্য, বাকি দুই সাজাপ্রাপ্ত হল অক্ষয় ঠাকুর (২৯) এবং বিনয় শর্মা (২১)৷ নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীনই আত্মহত্যা করেন পঞ্চম অভিযুক্ত রাম সিং৷ 'নাবালক' ঘোষিত হওয়ার কারণে সাজার হাত থেকে বেঁচে যায় অপর এক অভিযুক্ত৷
২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত্রিবেলা পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে দিল্লির একটি বাসের মধ্যে গণধর্ষিতা হন বছর তেইশের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়া৷ ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর প্রবল অত্যাচারও চালানো হয়৷ শেষে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়৷ একসপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালানোর পর ২৯ ডিসেম্বর হেরে যান নির্ভয়া৷ ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির সাকেত কোর্টে দোষী সাব্যস্ত চারজনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে সাজাপ্রাপ্ত চারজন৷ কিন্ত্ত গত বৃহস্পতিবার তাদের প্রাণদণ্ড বহাল রেখে দিল্লি হাইকোর্ট বলে, 'অপরাধীরা লোহার রড ঢুকিয়ে ওই তরুণীর উপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল৷ হাত দিয়ে তাঁর অন্ত্র বের করে এনেছিল৷ সমাজ যদি এর নিশ্চুপ দর্শক হয়ে থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং হাস্যকর কাজ হবে!' -সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি: নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় ফের নয়া মোড়৷ গত বৃহস্পতিবারেই দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজনের প্রাণদণ্ড বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ (২৭) এবং পবন (২০)৷ শনিবার, হাইকোর্টের রায় বেরনোর পর দু'দিন কাটতে না কাটতেই, ওই দু'জনের ফাঁসির সাজার উপর আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত৷
এ দিন বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাই এবং শিবাকীর্তি সিংয়ের একটি বেঞ্চ বিবৃতি দিয়ে বলে, 'আমরা মুকেশ এবং পবনের প্রাণদণ্ড ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখলাম৷ এই খবর সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য কোর্টের রেজিস্ট্রিকে নির্দেশ দেওয়া হল৷' আগামী আটদিনের মধ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে বিষয়টি উত্থাপন করার জন্যও সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রিকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত, যাতে যথাযথ বেঞ্চের কাছে মামলাটি পেশ করা যায়৷ মুকেশ ও পবনের প্রাণদণ্ডে স্থগিতাদেশ চেয়ে তাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা৷ আদালত জানতে চেয়েছিল, নিম্ন আদালতে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া চারজনেরই হয়েই তিনি সওয়াল করতে চান কিনা৷ শর্মা জানান, তিনি শুধু মুকেশ এবং পবনের প্রতিনিধিত্ব করছেন৷ উল্লেখ্য, বাকি দুই সাজাপ্রাপ্ত হল অক্ষয় ঠাকুর (২৯) এবং বিনয় শর্মা (২১)৷ নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীনই আত্মহত্যা করেন পঞ্চম অভিযুক্ত রাম সিং৷ 'নাবালক' ঘোষিত হওয়ার কারণে সাজার হাত থেকে বেঁচে যায় অপর এক অভিযুক্ত৷
২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত্রিবেলা পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে দিল্লির একটি বাসের মধ্যে গণধর্ষিতা হন বছর তেইশের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়া৷ ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর প্রবল অত্যাচারও চালানো হয়৷ শেষে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়৷ একসপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালানোর পর ২৯ ডিসেম্বর হেরে যান নির্ভয়া৷ ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির সাকেত কোর্টে দোষী সাব্যস্ত চারজনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে সাজাপ্রাপ্ত চারজন৷ কিন্ত্ত গত বৃহস্পতিবার তাদের প্রাণদণ্ড বহাল রেখে দিল্লি হাইকোর্ট বলে, 'অপরাধীরা লোহার রড ঢুকিয়ে ওই তরুণীর উপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল৷ হাত দিয়ে তাঁর অন্ত্র বের করে এনেছিল৷ সমাজ যদি এর নিশ্চুপ দর্শক হয়ে থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং হাস্যকর কাজ হবে!' -সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment