রাত বাড়ে, সেই সাথে বাড়ে নগ্নতার মাত্রাও !
রাত গভীর হবার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে উদ্দাম নগ্নতার অশ্লীল নৃত্য। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল গ্রামে যাত্রাপালার নামে চলছে জুয়া আর অশ্লীল নৃত্যের কর্মকান্ড।
এসব কারণে সামাজিক অবক্ষয় ও উঠতি বয়সের তরুণদের চারিত্রিক অধঃপতনে জেলায় বেড়ে চলেছে চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত ১৫ দিন থেকে ধুরাইলে যাত্রাপালার প্যান্ডেলের মধ্যে অবৈধভাবে চলছে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য। চলছে বিভিন্ন অবৈধ ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড।
সন্ধ্যার পরই মেলার মাঠে লোকসমাগম বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এসব জুয়ার আসর। মধ্য রাতের পর শুরু হয় যাত্রাপালা। কিন্তু রাত যত গভীর হয় অশ্লীলতার মাত্রা তত বাড়ে।
মূলত যাত্রাপালায় শিল্পীদের অভিনয় করতে দেখা যায়নি। বরং দেখা গেছে একের পর এক গানের মাধ্যমে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি আর উদ্দাম নৃত্য।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, মঞ্চের সামনে বসে থাকা বিভিন্ন বয়সের দর্শকরা নাচতে আসা নগ্ন-অর্ধনগ্ন তরুণীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত বুলিয়ে গুজে দেন টাকার নোট। এতেই এক ধরনের বিকৃত মজা উপভোগ করেন ওই দর্শনার্থীরা।
মঞ্চের কোনায় মাইকে ঘোষণা হতে থাকে- স্পেশাল নৃত্য নিয়ে আসছেন প্রিন্সেস টিনা, রিতা, মৌসুমী, আলেয়াসহ বিভিন্ন ছদ্মনাম। যাত্রার টিকেট নিয়ে যাত্রা দেখতে আসা দর্শকরা অশ্লীল নৃত্য দেখেই শেষ করেন বাকি রাত।
মাদারীপুর সদরের ধুরাইল গ্রামে যাত্রার নামে এভাবেই চলছে অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসর। অথচ প্রশাসন এসব অবৈধ তৎপরতা দেখেও না দেখার ভান করছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই গোপন যোগসাজসে চলছে এ কর্মকাণ্ড। থানা পুলিশকে প্রতিরাতে মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করছেন মেলা কমিটির লোকজন।
স্বপন নামে যাত্রাপালার এক আয়োজক জানান, আমরা এখনও অনুমতি পাইনি। তবে ডিসি অফিসের এক স্যার বলেছেন, এক লাখ টাকা দিলেই অনুমতি দিবে।
এ বিষয় জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে যদি কেউ এসব কাজে সহযোগিতা করে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ বলেন, ‘যাত্রার নামে যদি কোন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করা হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, যাত্রার নামে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের প্রভাব পড়ছে স্কুল-কলেজের কোমলমতি ছাত্র ও উঠতি বয়সের তরুণদের ওপর। স্থানীয় অভিভাবক ও মুরুব্বীরা এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
http://www.binodonnews.com/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%A8/
No comments:
Post a Comment