শ্রীলঙ্কা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোট এড়াল ভারত
জেনিভা: শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে সরকারি মদতে তামিলদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে গত পাঁচ বছরে, তা খতিয়ে দেখার পক্ষেই সায় দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবতারক্ষা পরিষদ৷ ওই সময় শ্রীলঙ্কার উত্তরাংশের জাফনা ও সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী অন্তত ৪০ হাজার তামিলকে শ্রীলঙ্কা সেনা গৃহযুদ্ধ থামানোর নামে খুন করে বলে অভিযোগ৷ তদন্তের পক্ষে রাষ্ট্রপুঞ্জ সায় দিলেও ভারতের প্রতিনিধি ভোটাভুটির সময় কক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের এই নির্বাচনকে অবশ্য মান্যতা দিচ্ছেন না শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে৷
গণহত্যা নিয়ে আদৌ তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে চাপান-উতোর চলছিলই কয়েক মাস ধরে৷ শ্রীলঙ্কার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করার বিষয়ে আমেরিকার উদ্যোগই ছিল সবচেয়ে বেশি৷ যদিও, রাজাপক্ষে তাঁদের 'অভ্যন্তরীণ' বিষয়ে আমেরিকার 'নাক গলানো' নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ কিন্ত তাতে থেমে থাকেনি আমেরিকা৷ দু'দেশের মধ্যে যখন এই বিষয়ে তর্ক চলছে, তখন এক ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা শ্রীলঙ্কার উত্তরের এলাকাগুলিতে ঘুরে গৃহযুদ্ধ সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র তৈরির জন্য ছবিও তুলে নিয়ে যায়৷
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানান ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা৷ বিরোধিতা করে চিন ও পাকিস্তান-সহ ১২টি দেশ৷ এ ছাড়া আরও ১২টি দেশ ভোটাভুটিতে গরহাজির ছিল৷ এর মধ্যে ছিলেন ভারতের প্রতিনিধিও৷ ২০০৯ সালের পর থেকে এই প্রথম শ্রীলঙ্কার গণহত্যা সম্পর্কে মত প্রকাশ না করে গরহাজির রইলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবতা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য দিলীপ সিন্হা৷ পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কায় তামিল বংশোদ্ভূত ও সিংহলিদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই ভোটে অংশ নেননি তিনি৷ শ্রীলঙ্কায় তদন্ত শুরু করা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই নির্বাচনকে ভারতীয় প্রতিনিধি 'আন্তর্জাতিক মহলের অনধিকারচর্চা' বলে উল্লেখ করেছেন৷ দিলীপ সিন্হার মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জের এই উদ্যোগের ফলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে৷ পৃথক জনগোষ্ঠীর পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ও শত্রুতাও নতুন করে বাড়বে৷ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেও রাষ্ট্রপুঞ্জের এই উদ্যোগকে শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্বাচনে ভারতের অনুপস্থিতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিপিআই৷ নয়াদিল্লিতে দলের সাংসদ ডি রাজা ভারতীয় প্রতিনিধির ভূমিকাকে কংগ্রেস নেতৃত্বধীন ইউপিএ সরকারের দেশ ও তামিলদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার আরও একটি নজির বলে উল্লেখ করেছেন৷ রাজা জানিয়েছেন, মার্কিন উদ্যোগে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাতে সবচেয়ে বেশি সরব হওয়ার প্রয়োজন ছিল ভারতেরই৷ - সংবাদসংস্থা
জেনিভা: শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে সরকারি মদতে তামিলদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে গত পাঁচ বছরে, তা খতিয়ে দেখার পক্ষেই সায় দিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবতারক্ষা পরিষদ৷ ওই সময় শ্রীলঙ্কার উত্তরাংশের জাফনা ও সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী অন্তত ৪০ হাজার তামিলকে শ্রীলঙ্কা সেনা গৃহযুদ্ধ থামানোর নামে খুন করে বলে অভিযোগ৷ তদন্তের পক্ষে রাষ্ট্রপুঞ্জ সায় দিলেও ভারতের প্রতিনিধি ভোটাভুটির সময় কক্ষে অনুপস্থিত ছিলেন৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের এই নির্বাচনকে অবশ্য মান্যতা দিচ্ছেন না শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে৷
গণহত্যা নিয়ে আদৌ তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে চাপান-উতোর চলছিলই কয়েক মাস ধরে৷ শ্রীলঙ্কার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করার বিষয়ে আমেরিকার উদ্যোগই ছিল সবচেয়ে বেশি৷ যদিও, রাজাপক্ষে তাঁদের 'অভ্যন্তরীণ' বিষয়ে আমেরিকার 'নাক গলানো' নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ কিন্ত তাতে থেমে থাকেনি আমেরিকা৷ দু'দেশের মধ্যে যখন এই বিষয়ে তর্ক চলছে, তখন এক ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা শ্রীলঙ্কার উত্তরের এলাকাগুলিতে ঘুরে গৃহযুদ্ধ সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র তৈরির জন্য ছবিও তুলে নিয়ে যায়৷
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে গৃহীত প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানান ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা৷ বিরোধিতা করে চিন ও পাকিস্তান-সহ ১২টি দেশ৷ এ ছাড়া আরও ১২টি দেশ ভোটাভুটিতে গরহাজির ছিল৷ এর মধ্যে ছিলেন ভারতের প্রতিনিধিও৷ ২০০৯ সালের পর থেকে এই প্রথম শ্রীলঙ্কার গণহত্যা সম্পর্কে মত প্রকাশ না করে গরহাজির রইলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবতা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য দিলীপ সিন্হা৷ পরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কায় তামিল বংশোদ্ভূত ও সিংহলিদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই ভোটে অংশ নেননি তিনি৷ শ্রীলঙ্কায় তদন্ত শুরু করা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই নির্বাচনকে ভারতীয় প্রতিনিধি 'আন্তর্জাতিক মহলের অনধিকারচর্চা' বলে উল্লেখ করেছেন৷ দিলীপ সিন্হার মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জের এই উদ্যোগের ফলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে৷ পৃথক জনগোষ্ঠীর পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ও শত্রুতাও নতুন করে বাড়বে৷ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেও রাষ্ট্রপুঞ্জের এই উদ্যোগকে শান্তি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্বাচনে ভারতের অনুপস্থিতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিপিআই৷ নয়াদিল্লিতে দলের সাংসদ ডি রাজা ভারতীয় প্রতিনিধির ভূমিকাকে কংগ্রেস নেতৃত্বধীন ইউপিএ সরকারের দেশ ও তামিলদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার আরও একটি নজির বলে উল্লেখ করেছেন৷ রাজা জানিয়েছেন, মার্কিন উদ্যোগে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাতে সবচেয়ে বেশি সরব হওয়ার প্রয়োজন ছিল ভারতেরই৷ - সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment