দ্বিতীয় চার্জশিটে দারদার নাম
নয়াদিল্লি: কয়লার ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় তাদের দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা সাংসদ বিজয় দারদা এবং নাগপুরের এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে কয়লার ব্লক পাওয়ার অভিযোগে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই৷ সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, দারদা ও তাঁর ছেলে দেবেন্দ্রর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার (চিটিং) অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷ সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর-এ এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল, সংস্থার ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার জয়সওয়াল, মনোজ জয়সওয়াল, রমেশ জয়সওয়াল, বিজয় দারদার ছেলে দেবেন্দ্র দারদার পাশাপাশি কয়লা মন্ত্রকের 'অজানা' আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ দিল্লির একটি আদালতে চার্জশিট পেশ করার সময় সিবিআই বলেছে, কয়লার ব্লক পেতে ভুল তথ্য পেশ করেছিল এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল৷
এএমআর গোষ্ঠীর অন্য সংস্থাকে আগেই পাঁচটি কয়লার ব্লক বণ্টন করা হয়েছিল জালিয়াতি করে সেই তথ্য চেপে যায় সংস্থাটি৷ সিবিআই বলেছে, কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক মহারাষ্ট্রের বান্দের কয়লা ব্লক সমেত বেশ কয়েকটি কয়লার ব্লক বণ্টনের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে৷ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই কয়লা মন্ত্রকের ৩৬তম স্ক্রিনিং কমিটি জে কে সিমেন্ট, সেঞ্চুরি টেক্সটাইলস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিলকে যৌথভাবে তাদের কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের কারখানায় ব্যবহারের জন্য বান্দের কয়লার ব্লকটি দেয়৷ এফআইআর-এ সিবিআই জানিয়েছে, কয়লার ব্লক পেতে তথ্যগত জোচ্চুরি করেছিল ও তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল৷ তদন্তকারী সংস্থাটির মতে, ২০০৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কয়লা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর চেম্বারে বৈঠক করে এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিলের প্রতিনিধিরা৷ সে সময় তাঁরা দাবি করে এএমআর আয়রন জয়সওয়াল গোষ্ঠীর অংশ নয়, বরং লোকমত গোষ্ঠী, অভিজিত্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং আইএলঅ্যান্ডএফএস-এ তাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে৷ আগেও তাদের পাঁচটি কয়লার ব্লক বণ্টন করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেন ওই প্রতিনিধিরা৷ কিন্ত্ত, তা সত্ত্বেও 'ইচ্ছাকৃতভাবে' তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকরা৷
দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করার পাশাপাশি কমল স্পঞ্জের বিরুদ্ধে তাদের ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷ এছাড়া, আরও একটি কেসের ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করতে পারে সিবিআই৷ আরও দু'টি ক্ষেত্রে চার্জশিট পেশ করার জন্য কিছু সময় চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷
অন্যদিকে, নবভারত পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড এবং সংস্থার দুই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে কয়লার ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে যে চার্জশিট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) পেশ করেছে তা ২ মে বিবেচনার দিন ঠিক করেছে দিল্লির সিবিআই আদালত৷ কয়লা ব্লক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্তি থাকার অভিযোগে গত ১০ মার্চ চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই৷ কিন্ত্ত, বিষয়টি নিয়ে সিবিআই এখনও সম্পূর্ণ তথ্য পেশ না করায় ২ মে তা বিবেচনার দিন ঠিক করেছেন সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারপতি মধু জৈন৷
কোটি কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন সংস্থা এবং তার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৬টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই৷ এর মধ্যে শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দলের নামও রয়েছে৷ তবে, এই প্রথম কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই৷ বিশেষ সিবিআই বিচারক মধু জৈনের এজলাসে নবভারত পাওয়ারের পাশাপাশি সংস্থার দুই ডিরেক্টর পি ত্রিবিক্রম এবং ওয়াই হরিশ চন্দ্র প্রসাদের নামও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷
নয়াদিল্লি: কয়লার ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় তাদের দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা সাংসদ বিজয় দারদা এবং নাগপুরের এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে কয়লার ব্লক পাওয়ার অভিযোগে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই৷ সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, দারদা ও তাঁর ছেলে দেবেন্দ্রর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার (চিটিং) অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷ সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর-এ এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল, সংস্থার ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার জয়সওয়াল, মনোজ জয়সওয়াল, রমেশ জয়সওয়াল, বিজয় দারদার ছেলে দেবেন্দ্র দারদার পাশাপাশি কয়লা মন্ত্রকের 'অজানা' আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ দিল্লির একটি আদালতে চার্জশিট পেশ করার সময় সিবিআই বলেছে, কয়লার ব্লক পেতে ভুল তথ্য পেশ করেছিল এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল৷
এএমআর গোষ্ঠীর অন্য সংস্থাকে আগেই পাঁচটি কয়লার ব্লক বণ্টন করা হয়েছিল জালিয়াতি করে সেই তথ্য চেপে যায় সংস্থাটি৷ সিবিআই বলেছে, কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক মহারাষ্ট্রের বান্দের কয়লা ব্লক সমেত বেশ কয়েকটি কয়লার ব্লক বণ্টনের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে৷ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই কয়লা মন্ত্রকের ৩৬তম স্ক্রিনিং কমিটি জে কে সিমেন্ট, সেঞ্চুরি টেক্সটাইলস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিলকে যৌথভাবে তাদের কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের কারখানায় ব্যবহারের জন্য বান্দের কয়লার ব্লকটি দেয়৷ এফআইআর-এ সিবিআই জানিয়েছে, কয়লার ব্লক পেতে তথ্যগত জোচ্চুরি করেছিল ও তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিল৷ তদন্তকারী সংস্থাটির মতে, ২০০৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কয়লা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর চেম্বারে বৈঠক করে এএমআর আয়রন অ্যান্ড স্টিলের প্রতিনিধিরা৷ সে সময় তাঁরা দাবি করে এএমআর আয়রন জয়সওয়াল গোষ্ঠীর অংশ নয়, বরং লোকমত গোষ্ঠী, অভিজিত্ ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং আইএলঅ্যান্ডএফএস-এ তাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে৷ আগেও তাদের পাঁচটি কয়লার ব্লক বণ্টন করা হয়েছে বলে স্বীকারও করেন ওই প্রতিনিধিরা৷ কিন্ত্ত, তা সত্ত্বেও 'ইচ্ছাকৃতভাবে' তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকরা৷
দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করার পাশাপাশি কমল স্পঞ্জের বিরুদ্ধে তাদের ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷ এছাড়া, আরও একটি কেসের ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করতে পারে সিবিআই৷ আরও দু'টি ক্ষেত্রে চার্জশিট পেশ করার জন্য কিছু সময় চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি৷
অন্যদিকে, নবভারত পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড এবং সংস্থার দুই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে কয়লার ব্লক বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে যে চার্জশিট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) পেশ করেছে তা ২ মে বিবেচনার দিন ঠিক করেছে দিল্লির সিবিআই আদালত৷ কয়লা ব্লক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্তি থাকার অভিযোগে গত ১০ মার্চ চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই৷ কিন্ত্ত, বিষয়টি নিয়ে সিবিআই এখনও সম্পূর্ণ তথ্য পেশ না করায় ২ মে তা বিবেচনার দিন ঠিক করেছেন সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারপতি মধু জৈন৷
কোটি কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন সংস্থা এবং তার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৬টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই৷ এর মধ্যে শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা ও কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দলের নামও রয়েছে৷ তবে, এই প্রথম কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই৷ বিশেষ সিবিআই বিচারক মধু জৈনের এজলাসে নবভারত পাওয়ারের পাশাপাশি সংস্থার দুই ডিরেক্টর পি ত্রিবিক্রম এবং ওয়াই হরিশ চন্দ্র প্রসাদের নামও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷
No comments:
Post a Comment