সাবেক শিবির সভাপতি দেলাওয়ারকে হাজতে আনা হলেও ওঠানো হয়নি কোর্টে : শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ সভাপতি সেক্রেটারির
স্টাফ রিপোর্টার
« আগের সংবাদ |
| পরের সংবাদ» |
ছাত্রশিবিরের কারাবন্দি সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেনকে গতকাল কোনো কারণ ছাড়াই সিএএম কোর্টের হাজতে নেয়া হয়। তবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে হাজতখানা পর্যন্ত আনা হলেও কোর্টে ওঠানো হয়নি।
অন্যদিকে অসুস্থ সাবেক শিবির সভাপতিকে হাজতে আনা নেয়ায় কোনো হুইল চেয়ারেরও ব্যবস্থা করা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেই কোনো কারণ ছাড়াই কোর্ট হাজতে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে শিবিরের পক্ষ থেকে। গতকাল এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে শিবির সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান অবিলম্বে দেলাওয়ার হোসেনের ওপর পরিকল্পিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ না করা হলে ছাত্রশিবির কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে দেলাওয়ার হোসেনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গতকাল দেলাওয়ার হোসেনকে কাশিমপুর ৪ নম্বর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা সিএমএম কোর্টে নিয়ে আসা হয়। পল্টন থানার ৪২(০১)১৩ এবং ৪০(০২)১৩ মামলায় চার্জ গঠনের জন্য তাকে আনা হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু এ মামলায় গতকাল চার্জ গঠন করা হয়নি। তাকে কোর্ট হাজত থেকে আদালতেও ওঠানো হয়নি।
তারা অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ছাড়াই তাকে আজ কোর্টে আনা হয়। এর আগে চলাফেরা করতে অক্ষম হওয়ার কারণে হুইল চেয়ারে করে তাকে কোর্টে আনা হলেও আজ হুইল চেয়ার ছাড়াই প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেলাওয়ার হোসেনকে ধারাবাহিকভাবে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সাবেক ছাত্র নেতা দীর্ঘদিনের কারা নির্যাতনের ফলে এখনও হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারছেন না।
এর আগে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেলাওয়ারকে চিকিত্সা দেয়া হলেও গতকাল সে নিয়ম মানা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে আনার পর তাকে ভিসির রুমে বসিয়ে রাখা হয়। পরে ডাক্তার না দেখিয়েই তাকে ‘সম্পূর্ণ সুস্থ্য’ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে।
কাশিমপুর ৪ নম্বর কারাগার থেকে যখন দেলাওয়ারকে কোর্ট হাজতে আনা হয়, তখন তিনি কোমর ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তার সঙ্গে আগত অন্য আসামিদের কাছ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এভাবে কোনো কারণ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ছাড়া কারাগার থেকে কোর্ট হাজতে আনা-নেয়া করায় দেলাওয়ার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরিকল্পিতভাবেই প্রশাসন তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেকর্ড সংখ্যক দিন রিমান্ড মঞ্জুর, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কারণে শিবিরের সাবেক এ সভাপতি জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এরপরও প্রশাসনের এ ধরনের খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
এদিকে সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনের সঙ্গে অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনকে কোনো কারণ ছাড়াই কোর্ট হাজতে নিয়ে আসার বিষয়টি ছাত্রজনতাকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি এখনও অসুস্থ, ঠিকমত উঠে দাঁড়াতেই পারেন না, তাকে স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ছাড়াই প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে কোর্ট হাজতে নিয়ে আসার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রশাসন যে নির্যাতনের লক্ষ্যেই দেলাওয়ার হোসেনের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করছে, এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এ ধরনের আচরণ কেবল অমানবিকই নয়, মানবাধিকারেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নেতারা বলেন, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এ দেশের লাখো ছাত্রজনতার প্রিয় নেতা। সরকার যদি মনে করে, লাখো ছাত্রজনতার প্রিয় নেতাকে এভাবে নির্যাতন করে পার পেয়ে যাবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই ছাত্রজনতা প্রিয় নেতাকে কারামুক্ত করবে। যদি অবিলম্বে দেলাওয়ার হোসেনের ওপর পরিকল্পিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ না করা হয়, তাহলে ছাত্রশিবির কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
নেতারা অবিলম্বে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেলাওয়ার হোসেনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যদিকে অসুস্থ সাবেক শিবির সভাপতিকে হাজতে আনা নেয়ায় কোনো হুইল চেয়ারেরও ব্যবস্থা করা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেই কোনো কারণ ছাড়াই কোর্ট হাজতে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে শিবিরের পক্ষ থেকে। গতকাল এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে শিবির সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান অবিলম্বে দেলাওয়ার হোসেনের ওপর পরিকল্পিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ না করা হলে ছাত্রশিবির কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে দেলাওয়ার হোসেনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গতকাল দেলাওয়ার হোসেনকে কাশিমপুর ৪ নম্বর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা সিএমএম কোর্টে নিয়ে আসা হয়। পল্টন থানার ৪২(০১)১৩ এবং ৪০(০২)১৩ মামলায় চার্জ গঠনের জন্য তাকে আনা হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু এ মামলায় গতকাল চার্জ গঠন করা হয়নি। তাকে কোর্ট হাজত থেকে আদালতেও ওঠানো হয়নি।
তারা অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ছাড়াই তাকে আজ কোর্টে আনা হয়। এর আগে চলাফেরা করতে অক্ষম হওয়ার কারণে হুইল চেয়ারে করে তাকে কোর্টে আনা হলেও আজ হুইল চেয়ার ছাড়াই প্রিজন ভ্যানে করে আনা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেলাওয়ার হোসেনকে ধারাবাহিকভাবে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সাবেক ছাত্র নেতা দীর্ঘদিনের কারা নির্যাতনের ফলে এখনও হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারছেন না।
এর আগে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেলাওয়ারকে চিকিত্সা দেয়া হলেও গতকাল সে নিয়ম মানা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে আনার পর তাকে ভিসির রুমে বসিয়ে রাখা হয়। পরে ডাক্তার না দেখিয়েই তাকে ‘সম্পূর্ণ সুস্থ্য’ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে।
কাশিমপুর ৪ নম্বর কারাগার থেকে যখন দেলাওয়ারকে কোর্ট হাজতে আনা হয়, তখন তিনি কোমর ও মেরুদণ্ডের ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তার সঙ্গে আগত অন্য আসামিদের কাছ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এভাবে কোনো কারণ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ছাড়া কারাগার থেকে কোর্ট হাজতে আনা-নেয়া করায় দেলাওয়ার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরিকল্পিতভাবেই প্রশাসন তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেকর্ড সংখ্যক দিন রিমান্ড মঞ্জুর, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কারণে শিবিরের সাবেক এ সভাপতি জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এরপরও প্রশাসনের এ ধরনের খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
এদিকে সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনের সঙ্গে অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনকে কোনো কারণ ছাড়াই কোর্ট হাজতে নিয়ে আসার বিষয়টি ছাত্রজনতাকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি এখনও অসুস্থ, ঠিকমত উঠে দাঁড়াতেই পারেন না, তাকে স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ ছাড়াই প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে কোর্ট হাজতে নিয়ে আসার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রশাসন যে নির্যাতনের লক্ষ্যেই দেলাওয়ার হোসেনের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করছে, এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এ ধরনের আচরণ কেবল অমানবিকই নয়, মানবাধিকারেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নেতারা বলেন, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এ দেশের লাখো ছাত্রজনতার প্রিয় নেতা। সরকার যদি মনে করে, লাখো ছাত্রজনতার প্রিয় নেতাকে এভাবে নির্যাতন করে পার পেয়ে যাবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। আন্দোলনের মাধ্যমেই ছাত্রজনতা প্রিয় নেতাকে কারামুক্ত করবে। যদি অবিলম্বে দেলাওয়ার হোসেনের ওপর পরিকল্পিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ না করা হয়, তাহলে ছাত্রশিবির কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
নেতারা অবিলম্বে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেলাওয়ার হোসেনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment