জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি
স্বাধীনতা দিবসে সশ্রদ্ধচিত্তে বীর শহীদদের স্মরণ
স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দাবির মাধ্যমে গতকাল বুধবার ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটিতে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ এবং ফুল দিয়ে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সূর্যোদয়ের মুহূর্তে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, শিখা চিরন্তনে পুষ্পাঞ্জলি, ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এ ছাড়া সরকারি ভবনে আলোক-সজ্জা, দেশজুড়ে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় দেশের কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা এবং নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
সকাল পৌনে ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পর্যায়ক্রমে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, বিদেশি কূটনীতিক, পদস্থ সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রক্ষিত পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন।
সকাল সোয়া ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিদেশি কূটনৈতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল নয়টায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, দলীয় নেতা ও সাংসদেরা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার সংবর্ধনায় যোগ দেন। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, জাতীয় অধ্যাপক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বাদকদল ঢাকা মহানগরের কয়েকটি স্থানে বাদ্য পরিবেশন করে। নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। দেশের সব স্কুল-কলেজে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন মানুষ একসঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল: নানা রঙের পোশাক আর বাহারি ব্যানার-ফেস্টুন হাতে আসা মানুষের ভিড়ে স্মৃতিসৌধ মুখর হয়ে ওঠে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খুব ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন। হাতে ফুল না থাকলেও আবেগ, স্মৃতি আর দেশের জন্য ব্যাকুলতা—সবই ফুটে উঠছিল এই মুক্তিযোদ্ধার চোখেমুখে।
আবদুল গণি বলেন, তিন দিন আগে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবারই সিলেটে ফিরে যাওয়ার কথা। এক দিন বেশি থেকেছেন স্বাধীনতা দিবস দেখতে। খুব ভোরে ঢাকা স্ত্রী বানেছা বেগমকে নিয়ে আসেন স্মৃতিসৌধে।
আবদুল গণির মতো অনেকেই গতকাল ভোর থেকেই আসতে থাকেন স্মৃতিসৌধে। ছোট ছোট শিশুর হাতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। অনেকে জাতীয় পতাকার রঙে মুখ রাঙিয়ে আসেন।
এরশাদ-রওশন পৃথকভাবে ফুল দেন: স্মৃতিসৌধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ আলাদাভাবে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দলের কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি সময়েই স্মৃতিসৌধ এলাকায় প্রবেশ করেন। এরপর সকাল পৌনে আটটার দিকে এরশাদ দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে ফুল দিতে আসেন।
১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সূর্যোদয়ের মুহূর্তে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, শিখা চিরন্তনে পুষ্পাঞ্জলি, ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এ ছাড়া সরকারি ভবনে আলোক-সজ্জা, দেশজুড়ে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় দেশের কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা এবং নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্র, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
সকাল পৌনে ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। পর্যায়ক্রমে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, বিদেশি কূটনীতিক, পদস্থ সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রক্ষিত পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন।
সকাল সোয়া ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিদেশি কূটনৈতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল নয়টায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, দলীয় নেতা ও সাংসদেরা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার সংবর্ধনায় যোগ দেন। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, জাতীয় অধ্যাপক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বাদকদল ঢাকা মহানগরের কয়েকটি স্থানে বাদ্য পরিবেশন করে। নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। দেশের সব স্কুল-কলেজে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন মানুষ একসঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল: নানা রঙের পোশাক আর বাহারি ব্যানার-ফেস্টুন হাতে আসা মানুষের ভিড়ে স্মৃতিসৌধ মুখর হয়ে ওঠে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খুব ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন। হাতে ফুল না থাকলেও আবেগ, স্মৃতি আর দেশের জন্য ব্যাকুলতা—সবই ফুটে উঠছিল এই মুক্তিযোদ্ধার চোখেমুখে।
আবদুল গণি বলেন, তিন দিন আগে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবারই সিলেটে ফিরে যাওয়ার কথা। এক দিন বেশি থেকেছেন স্বাধীনতা দিবস দেখতে। খুব ভোরে ঢাকা স্ত্রী বানেছা বেগমকে নিয়ে আসেন স্মৃতিসৌধে।
আবদুল গণির মতো অনেকেই গতকাল ভোর থেকেই আসতে থাকেন স্মৃতিসৌধে। ছোট ছোট শিশুর হাতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। অনেকে জাতীয় পতাকার রঙে মুখ রাঙিয়ে আসেন।
এরশাদ-রওশন পৃথকভাবে ফুল দেন: স্মৃতিসৌধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ আলাদাভাবে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ দলের কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি সময়েই স্মৃতিসৌধ এলাকায় প্রবেশ করেন। এরপর সকাল পৌনে আটটার দিকে এরশাদ দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে ফুল দিতে আসেন।
No comments:
Post a Comment