প্রস্রাবে ভেজা রুমাল চোখে-মুখে লাগিয়ে বেঁচে আসি
ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে কিভাবে সম্পৃক্ত হলেন?
সালাহ উদ্দিন : আমি ছিলাম ফুটবলার। ১৯৮২ সালে আবর্তন গোষ্ঠী ক্লাবে খেলার মধ্য দিয়ে আমার ফুটবল জীবনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে আন্দরকিল্লা ক্রীড়া চক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহামেড়ান
ক্লাবে খেলেছি। এমনকি ঢাকা লীগে বিজি প্রেস ও ব্রাদাস ইউনিয়নের হয়েও আমি খেলেছি। সেই সুবাদে ১৯৮৫ সালে আমাকে নগরীর জামাল খান ওয়ার্ডের কদম মোবারক ইউনিট ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক করা হয়। এরপর থেকেই আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি।
ফুটবল খেলা ছাড়লেন কীভাবে?
সালাহ উদ্দিন : ১৯৯১ সালে ঢাকা লীগে একটি ম্যাচ খেলার সময় আমার একটি পা ভেঙে যায়। শুধু ভাঙেনি, দুই টুকরো হয়ে যায়। এরপর থেকেই ফুটবল খেলাকে বিদায়!
আপনার বয়স এখন কত চলছে?
সালাহ উদ্দিন : বয়স কম হইনি, ৩৭ বছর চলছে।
তাহলে তো বিয়ে-শাদি করে ফেলেছেন…
সালাহ উদ্দিন : আক্দ হয়েছে কিন’ বধূকে এখনও ঘরে তুলিনি। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি আমি বিয়ের অনুষ্ঠান করবো।
বছরের প্রথম দিন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার দিনক্ষণ নির্ধারণ করলেন কেনো?
সালাহ উদ্দিন : নতুন বছরের প্রথম দিন বলে নয়, ওই দিন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় আমি সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পড়াশোনা করছেন এখন?
সালাহ উদ্দিন : না। বিএ পাস করে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ’তে অ্যাডমিশন নিয়াছিলাম। কিন’ রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে কোর্সটা আর শেষ করা হয়ে উঠেনি।
আপনি এ বয়সে এখনও ছাত্রদল করছেন কেন?
সালাহ উদ্দিন : এখন যেহেতু কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছি। তাই সামনে আর ছাত্রদলের কমিটিতে থাকবো না। মূল দল বিএনপিতে চলে যাবো। অবশ্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার আগে আমাকে নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন’ আমি সাদরে তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
যুবদলে যাওয়ার প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করলেন কেনো?
সালাহ উদ্দিন : আমি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড ও ১১ থানায় আমার অনেক নেতাকর্মী রয়েছে। যারা আমার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। এখন আমি যদি যুবদলে চলে যাই তাহলে এসব নেতাকর্মীদের অবস’া কী হবে। তাদেরকে তো আমি কিছু দিতে পারিনি। এসব নেতাকর্মীদের কথা ভেবে আমি যুবদলে যাইনি। আমি নগর ছাত্রদল কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। কিন’ সে কমিটি হতে দেরি হবে শুনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চলে যাই।
২৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সংগঠনের জন্য কী ত্যাগ স্বীকার করেছেন?
সালাহ উদ্দিন : কত ত্যাগ স্বীকার করেছি তা বলে শেষ হবে না। এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা হয়েছে। রাজপথে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা ঘটনা হলো, ২০১২ সালের ১৩ মে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে ১৮ দলের একটি সমাবেশে আমিসহ বিএনপি নেতারা পুলিশের বর্বরোচিত হামলার শিকার হই। পুলিশের টিয়ার শেলে নাসিমন ভবনে সেদিন আমি শ্বাসরুদ্ধকর অবস’ার মধ্যে নিপতিত হয়েছি। চারদিকে অন্ধকার। কাঁদুনে গ্যাসে আমার দম বের হওয়ার মতো অবস’া। কালেমা পড়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছিলাম। এ সময় আমার এ করুণ অবস’া দেখে সেখানে অবস’ানরত এক কর্মী রুমালে প্রস্রাব করে ভিজিয়ে আমাকে দেয়। সেটি চোখে-মুখে লাগিয়ে সেদিন আমি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসি।
গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এ বয়সে এখনও যে ছাত্রদল করছেন তাতে খারাপ লাগে না?
সালাহ উদ্দিন : বিন্দুমাত্র আমার খারাপ লাগে না এ জন্য যে, নগরীতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক করুণ অবস’া দেখে আমার আরও বেশি খারাপ লাগে। নগরীর থানা-ওয়ার্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে যদি আরও বেশি সময় আমাকে ছাত্রদলে থাকতে হয় আমি থাকবো।
সালাহ উদ্দিন : আমি ছিলাম ফুটবলার। ১৯৮২ সালে আবর্তন গোষ্ঠী ক্লাবে খেলার মধ্য দিয়ে আমার ফুটবল জীবনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে আন্দরকিল্লা ক্রীড়া চক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহামেড়ান
ক্লাবে খেলেছি। এমনকি ঢাকা লীগে বিজি প্রেস ও ব্রাদাস ইউনিয়নের হয়েও আমি খেলেছি। সেই সুবাদে ১৯৮৫ সালে আমাকে নগরীর জামাল খান ওয়ার্ডের কদম মোবারক ইউনিট ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক করা হয়। এরপর থেকেই আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি।
ফুটবল খেলা ছাড়লেন কীভাবে?
সালাহ উদ্দিন : ১৯৯১ সালে ঢাকা লীগে একটি ম্যাচ খেলার সময় আমার একটি পা ভেঙে যায়। শুধু ভাঙেনি, দুই টুকরো হয়ে যায়। এরপর থেকেই ফুটবল খেলাকে বিদায়!
আপনার বয়স এখন কত চলছে?
সালাহ উদ্দিন : বয়স কম হইনি, ৩৭ বছর চলছে।
তাহলে তো বিয়ে-শাদি করে ফেলেছেন…
সালাহ উদ্দিন : আক্দ হয়েছে কিন’ বধূকে এখনও ঘরে তুলিনি। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি আমি বিয়ের অনুষ্ঠান করবো।
বছরের প্রথম দিন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার দিনক্ষণ নির্ধারণ করলেন কেনো?
সালাহ উদ্দিন : নতুন বছরের প্রথম দিন বলে নয়, ওই দিন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় আমি সেদিন বিয়ের অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পড়াশোনা করছেন এখন?
সালাহ উদ্দিন : না। বিএ পাস করে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ’তে অ্যাডমিশন নিয়াছিলাম। কিন’ রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে কোর্সটা আর শেষ করা হয়ে উঠেনি।
আপনি এ বয়সে এখনও ছাত্রদল করছেন কেন?
সালাহ উদ্দিন : এখন যেহেতু কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছি। তাই সামনে আর ছাত্রদলের কমিটিতে থাকবো না। মূল দল বিএনপিতে চলে যাবো। অবশ্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার আগে আমাকে নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন’ আমি সাদরে তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
যুবদলে যাওয়ার প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করলেন কেনো?
সালাহ উদ্দিন : আমি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড ও ১১ থানায় আমার অনেক নেতাকর্মী রয়েছে। যারা আমার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। এখন আমি যদি যুবদলে চলে যাই তাহলে এসব নেতাকর্মীদের অবস’া কী হবে। তাদেরকে তো আমি কিছু দিতে পারিনি। এসব নেতাকর্মীদের কথা ভেবে আমি যুবদলে যাইনি। আমি নগর ছাত্রদল কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। কিন’ সে কমিটি হতে দেরি হবে শুনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চলে যাই।
২৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সংগঠনের জন্য কী ত্যাগ স্বীকার করেছেন?
সালাহ উদ্দিন : কত ত্যাগ স্বীকার করেছি তা বলে শেষ হবে না। এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা হয়েছে। রাজপথে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা ঘটনা হলো, ২০১২ সালের ১৩ মে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে ১৮ দলের একটি সমাবেশে আমিসহ বিএনপি নেতারা পুলিশের বর্বরোচিত হামলার শিকার হই। পুলিশের টিয়ার শেলে নাসিমন ভবনে সেদিন আমি শ্বাসরুদ্ধকর অবস’ার মধ্যে নিপতিত হয়েছি। চারদিকে অন্ধকার। কাঁদুনে গ্যাসে আমার দম বের হওয়ার মতো অবস’া। কালেমা পড়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছিলাম। এ সময় আমার এ করুণ অবস’া দেখে সেখানে অবস’ানরত এক কর্মী রুমালে প্রস্রাব করে ভিজিয়ে আমাকে দেয়। সেটি চোখে-মুখে লাগিয়ে সেদিন আমি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসি।
গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এ বয়সে এখনও যে ছাত্রদল করছেন তাতে খারাপ লাগে না?
সালাহ উদ্দিন : বিন্দুমাত্র আমার খারাপ লাগে না এ জন্য যে, নগরীতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক করুণ অবস’া দেখে আমার আরও বেশি খারাপ লাগে। নগরীর থানা-ওয়ার্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে যদি আরও বেশি সময় আমাকে ছাত্রদলে থাকতে হয় আমি থাকবো।
No comments:
Post a Comment