কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মোদীর একে ৪৯
জম্মু: আপ প্রধানের আক্রমণের জবাবে 'একে ৪৯' ব্যবহার করলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী৷ আর সেই আক্রমণেই উস্কে দিলেন বিতর্ক৷ বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কথা মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ গুজরাটের উন্নয়ন নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন৷ বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের হিরা নগরে এক সমাবেশে কেজরিওয়াল ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের এজেন্ট বললেন মোদী৷ তাঁর কথায়, 'তিনটি 'একে' পাকিস্তানকে সাহায্য করছে৷ ভারতীয়দের রক্ত ঝরাতে সন্ত্রাসবাদীরা ব্যবহার করে একে-৪৭..আর এক জন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি, যিনি বলেছিলেন পাক সেনার পোশাক পরিহিত কয়েক জন ব্যক্তি ভারতীয় সেনার মাথা কেটে নিয়ে গিয়েছে৷ অথচ ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, পাক সেনাই এ কাজ করেছে৷ তৃতীয় জন হলেন একে ৪৯, যিনি সম্প্রতি একটি দল তৈরি করেছেন৷ যে দলের ওয়েবসাইটে জম্মু ও কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দেখানো হয় এবং এঁদেরই এক জন বলেন, কাশ্মীরে গণভোট প্রয়োজন৷ এঁরা তো পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন৷' কেজরিওয়ালের নাম উল্লেখ না করলেও মোদীর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট৷ দিল্লিতে কেজরিওয়ালের ৪৯ দিনের মুখ্যমন্ত্রিত্বের কথা মাথায় রেখেই এই নামকরণ৷
এর আগে এতটা খোলাখুলি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কখনও তোপ দাগেননি মোদী৷ কেজরিওয়ালও অবশ্য এর উত্তর দিতে ছাড়েননি৷ মোদীর সমাবেশের পরই কেজরিওয়ালের টুইট, 'মোদীজি কি আমাকে পাকিস্তানের এজেন্ট এবং একে ৪৯ বলেছেন? প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর এই ভাষা ব্যবহার কি শোভনীয়?' একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, গুজরাটের উন্নয়ন নিয়ে তিনি যখন মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখাই করেননি৷
এ দিনের সমাবেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর দেখানো পথের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী৷ তাঁর কথায়, 'কাশ্মীরকে এগিয়ে নিয়ে তিনটি পথ দেখিয়েছিলেন বাজপেয়ীজি - মনুষ্যত্ব, গণতন্ত্র ও কাশ্মীরিয়ত৷ সেই পথেই এগিয়ে চলতে হবে আমাদের৷' তাঁর দাবি, আরও পাঁচ বছর সময় পেলে বাজপেয়ীজি কাশ্মীরের অবস্থাই পাল্টে দিতে পারতেন৷ অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত৷ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বিরুদ্ধে মোদীর তোপ, 'ওমর যদি আজকের ভিড় দেখতেন, তিনি বুঝতে পারতেন রাজ্যের বাতাস কোন দিকে বইছে৷' জম্মু ও কাশ্মীরে মোদীর আগের সভার ছবি টুইটারে দিয়ে ওমর লিখেছিলেন, 'শ্রীনগরে বিমান থেকে তোলা ছবি৷ এটা দেখেই আন্দাজ করুন ভিড় কতটা!' ওমরের সেই টুইটের উল্লেখ করে মোদীর বক্তব্য, 'গত বছর যখন সভা করতে এসেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে ভিড় দেখতে এসেছিলেন৷ তবে তিনি এ ব্যাপারে সত্ যে সেই ছবি টুইটারে দিয়ে লিখেছিলেন কাশ্মীরে এতবড় সমাবেশ কখনও হয়নি৷'
উত্তর দিতে দেরি করেননি ওমরও৷ মোদীর সভা শেষ হওয়া মাত্রই ওমরের টুইট, 'মোদী খুব দ্রুত খেলছেন এবং বিশ্বাসের সঙ্গে হারছেন৷ মোদী সাহেব দয়া করে আমাকে উদ্ধৃত করলে তা ঠিক ভাবে করুন৷' তাঁর দাবি, আগের সমাবেশে ভিড় যে বিশেষ হয়নি তা বোঝাতেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তিনি৷ - সংবাদসংস্থা
এর আগে এতটা খোলাখুলি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কখনও তোপ দাগেননি মোদী৷ কেজরিওয়ালও অবশ্য এর উত্তর দিতে ছাড়েননি৷ মোদীর সমাবেশের পরই কেজরিওয়ালের টুইট, 'মোদীজি কি আমাকে পাকিস্তানের এজেন্ট এবং একে ৪৯ বলেছেন? প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর এই ভাষা ব্যবহার কি শোভনীয়?' একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, গুজরাটের উন্নয়ন নিয়ে তিনি যখন মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখাই করেননি৷
এ দিনের সমাবেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর দেখানো পথের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী৷ তাঁর কথায়, 'কাশ্মীরকে এগিয়ে নিয়ে তিনটি পথ দেখিয়েছিলেন বাজপেয়ীজি - মনুষ্যত্ব, গণতন্ত্র ও কাশ্মীরিয়ত৷ সেই পথেই এগিয়ে চলতে হবে আমাদের৷' তাঁর দাবি, আরও পাঁচ বছর সময় পেলে বাজপেয়ীজি কাশ্মীরের অবস্থাই পাল্টে দিতে পারতেন৷ অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত৷ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বিরুদ্ধে মোদীর তোপ, 'ওমর যদি আজকের ভিড় দেখতেন, তিনি বুঝতে পারতেন রাজ্যের বাতাস কোন দিকে বইছে৷' জম্মু ও কাশ্মীরে মোদীর আগের সভার ছবি টুইটারে দিয়ে ওমর লিখেছিলেন, 'শ্রীনগরে বিমান থেকে তোলা ছবি৷ এটা দেখেই আন্দাজ করুন ভিড় কতটা!' ওমরের সেই টুইটের উল্লেখ করে মোদীর বক্তব্য, 'গত বছর যখন সভা করতে এসেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে ভিড় দেখতে এসেছিলেন৷ তবে তিনি এ ব্যাপারে সত্ যে সেই ছবি টুইটারে দিয়ে লিখেছিলেন কাশ্মীরে এতবড় সমাবেশ কখনও হয়নি৷'
উত্তর দিতে দেরি করেননি ওমরও৷ মোদীর সভা শেষ হওয়া মাত্রই ওমরের টুইট, 'মোদী খুব দ্রুত খেলছেন এবং বিশ্বাসের সঙ্গে হারছেন৷ মোদী সাহেব দয়া করে আমাকে উদ্ধৃত করলে তা ঠিক ভাবে করুন৷' তাঁর দাবি, আগের সমাবেশে ভিড় যে বিশেষ হয়নি তা বোঝাতেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তিনি৷ - সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment