গলাচিপায় হিন্দু বাড়িতে ডাকাতি, গৃহবধূ ধর্ষণ
নিজস্ব সংবাদদাতা, গলাচিপা, ২৮ মে ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে ডাকাতি, মালামাল লুট ও গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের উত্তর সুতাবাড়িয়া গ্রামের মৃণাল কান্তি আইচ ওরফে বাবুল আইচের বাড়িতে রোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সকলেই স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার ও মাদকসেবী বলে চিহ্নিত করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না। এ সময় মৃণাল কান্তি আইচের ছোট ভাই তাপস আইচের স্ত্রী (২২), দেড় বছরের এক কন্যা, আট বছরের ভাগ্নি ঐশি ও তার মা বিভারানী আইচ (৭০) বাড়িতে ছিলেন। রাত একটা থেকে দু’টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একজন সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এর পর ঘরের দরজা খুলে দিলে দলের অন্যরা ঘরের প্রবেশ করে। ঘরে কোন লোক যেন চিৎকার করতে না পারে সেজন্য প্রথমেই ঘুমিয়ে থাকা বিভারানী আইচের হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। এর পর ঝাঁপ ভেঙ্গে দোতলায় উঠে অস্ত্রের মুখে তাপস আইচের স্ত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এছাড়া গৃহবধূর কাছ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ঘরের কাঁসা-পিতলের সামগ্রী, দু’টি মোবাইল ফোনের সেটসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করে দুর্বৃত্তরা। পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ জানান, ডাকাতরা সংখ্যায় পাঁচজন ছিল। তাদের মুখে মাস্ক বাঁধা ছিল। যা পরে খুলে যায়। এদের তিনজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় মৃণাল কান্তি আইচ বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল জানান, মামলার বাদী মৃণাল কান্তি আইচের বাড়ি নির্জন এলাকায়। যে কারণে দুর্বৃত্তরা খুব সহজে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না। এ সময় মৃণাল কান্তি আইচের ছোট ভাই তাপস আইচের স্ত্রী (২২), দেড় বছরের এক কন্যা, আট বছরের ভাগ্নি ঐশি ও তার মা বিভারানী আইচ (৭০) বাড়িতে ছিলেন। রাত একটা থেকে দু’টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একজন সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এর পর ঘরের দরজা খুলে দিলে দলের অন্যরা ঘরের প্রবেশ করে। ঘরে কোন লোক যেন চিৎকার করতে না পারে সেজন্য প্রথমেই ঘুমিয়ে থাকা বিভারানী আইচের হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। এর পর ঝাঁপ ভেঙ্গে দোতলায় উঠে অস্ত্রের মুখে তাপস আইচের স্ত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এছাড়া গৃহবধূর কাছ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ঘরের কাঁসা-পিতলের সামগ্রী, দু’টি মোবাইল ফোনের সেটসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করে দুর্বৃত্তরা। পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ জানান, ডাকাতরা সংখ্যায় পাঁচজন ছিল। তাদের মুখে মাস্ক বাঁধা ছিল। যা পরে খুলে যায়। এদের তিনজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় মৃণাল কান্তি আইচ বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল জানান, মামলার বাদী মৃণাল কান্তি আইচের বাড়ি নির্জন এলাকায়। যে কারণে দুর্বৃত্তরা খুব সহজে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2014-05-29&ni=174356
No comments:
Post a Comment