এ বছর পূর্ণ প্রত্যাহার নয়
আফগানিস্তানে থাকবে ১০ হাজার মার্কিন সৈন্য, ’১৬ সালের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়া হবে
আফগানিস্তানে চলতি বছর শেষ নাগাদ ৯ হাজার ৮শ’ মার্কিন সৈন্য থাকবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ভেতরই সব সৈন্য ফিরিয়ে নেয়ার জল্পনার অবসান ঘটালেন ওবামা। তবে ২০১৬ সালে তাঁর প্রেসিডেন্সির মেয়াদের শেষ বছরের মধ্যে তিনি আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে আনবেন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। খবর টেলিগ্রাফ, বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরের শেষদিকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে আফগানিস্তানে বর্তমান সেনাসংখ্যা ৩২ হাজার থেকে কমে আসবে। পরের বছর তা আরও কমে অর্ধেকে নেমে আসবে এবং ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ প্রায় সেনাই প্রত্যাহার হয়ে যাবে। ওবামা চলতি অঘোষিত সফরে আফগানিস্তানে এসে সোমবারই দেশে ফিরে গেছেন। আফগানিস্তানে অবস্থানকালে তিনি সে দেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার বিষয়ে দ্রুত নতুন সময়সূচী ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতিমতো পরদিনই হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে তিনি বলেন ‘দশক ছাপিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ। এখন সময় এসেছে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে পাতা ওল্টানোর।’ বর্তমানে আফগানিস্তানে এখন ৩২ হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। ১৩ বছরের যুদ্ধে এ যাবত ২ হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সব লড়াকু ইউনিট প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া বাদবাকি সেনারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং জঙ্গীবিরোধী অভিযানে সহায়তা করবে। ওবামার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৯ হাজার ৮শ’ সেনা আগামী বছর পর্যন্ত আফগানিস্তানে থাকবে। ২০১৫ সালের শেষদিকে এ সংখ্যা মোটামুটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে এবং ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ তাদের সবাইকে দেশে ফেরত আনা হবে। তবে সব সৈন্য ফিরিয়ে নেয়ার পরও দেশটিতে এক হাজার মার্কিন সেনা থাকবে বলে ওবামা জানিয়েছেন। এই সৈন্যদের মূল কাজ হবে মার্কিন দূতাবাসকে পাহারা দেয়া, আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং জঙ্গীবিরোধী কর্মকা-ে সহযোগিতা করা। সিদ্ধান্তটির পেছনে মূল কারণ হিসেবে ওবামা বলেন যে, নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আফগানদের কাজ, মার্কিনীদের নয়। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থাকবে কেবল পরামর্শকের ভূমিকায়। আফগান নগর, শহর, পাহাড় ও উপত্যকাগুলোতে আমরা আর টহল কাজ পরিচালনা করব না। কেননা এটি একান্তভাবে আফগানদের কাজ।’
রবিবার কাবুলের উত্তরে বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ওবামা এই সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে রোজ গার্ডেনে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন। আফগানিস্তানে সৈন্য কমিয়ে আনার কাজটি কয়েকটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে দশ হাজারের কাছাকাছি সৈন্যকে দেশটির বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বে রাখা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা আরও কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামানো হবে।
প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি সৈন্য তখন কাবুল এবং বাগরাম ঘাঁটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। তৃতীয় ধাপটি বাস্তবায়িত হবে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ। এই সময়ে সৈন্য সংখ্যা নামিয়ে আনা হবে এক হাজারে। তবে ওবামা এটাও বলেছেন যে, এ সব কিছুই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়া বা না হওয়ার ওপর। বিদায়ী আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই মার্কিন সেনা রাখার এমন চুক্তি সই করতে আপত্তি জানালেও দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট চুক্তিটি সই করবেন বলে আশাবাদী ওবামা প্রশাসন। আফগানিস্তানে কারজাইয়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁদের একজন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এবং অপরজন আশরাফ গনি। দুজনই ১৪ জুনের দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি সই করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরের শেষদিকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে আফগানিস্তানে বর্তমান সেনাসংখ্যা ৩২ হাজার থেকে কমে আসবে। পরের বছর তা আরও কমে অর্ধেকে নেমে আসবে এবং ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ প্রায় সেনাই প্রত্যাহার হয়ে যাবে। ওবামা চলতি অঘোষিত সফরে আফগানিস্তানে এসে সোমবারই দেশে ফিরে গেছেন। আফগানিস্তানে অবস্থানকালে তিনি সে দেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার বিষয়ে দ্রুত নতুন সময়সূচী ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতিমতো পরদিনই হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে তিনি বলেন ‘দশক ছাপিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ। এখন সময় এসেছে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে পাতা ওল্টানোর।’ বর্তমানে আফগানিস্তানে এখন ৩২ হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। ১৩ বছরের যুদ্ধে এ যাবত ২ হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সব লড়াকু ইউনিট প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া বাদবাকি সেনারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং জঙ্গীবিরোধী অভিযানে সহায়তা করবে। ওবামার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৯ হাজার ৮শ’ সেনা আগামী বছর পর্যন্ত আফগানিস্তানে থাকবে। ২০১৫ সালের শেষদিকে এ সংখ্যা মোটামুটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে এবং ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ তাদের সবাইকে দেশে ফেরত আনা হবে। তবে সব সৈন্য ফিরিয়ে নেয়ার পরও দেশটিতে এক হাজার মার্কিন সেনা থাকবে বলে ওবামা জানিয়েছেন। এই সৈন্যদের মূল কাজ হবে মার্কিন দূতাবাসকে পাহারা দেয়া, আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং জঙ্গীবিরোধী কর্মকা-ে সহযোগিতা করা। সিদ্ধান্তটির পেছনে মূল কারণ হিসেবে ওবামা বলেন যে, নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আফগানদের কাজ, মার্কিনীদের নয়। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থাকবে কেবল পরামর্শকের ভূমিকায়। আফগান নগর, শহর, পাহাড় ও উপত্যকাগুলোতে আমরা আর টহল কাজ পরিচালনা করব না। কেননা এটি একান্তভাবে আফগানদের কাজ।’
রবিবার কাবুলের উত্তরে বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ওবামা এই সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে রোজ গার্ডেনে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন। আফগানিস্তানে সৈন্য কমিয়ে আনার কাজটি কয়েকটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে দশ হাজারের কাছাকাছি সৈন্যকে দেশটির বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বে রাখা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা আরও কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামানো হবে।
প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি সৈন্য তখন কাবুল এবং বাগরাম ঘাঁটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। তৃতীয় ধাপটি বাস্তবায়িত হবে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ। এই সময়ে সৈন্য সংখ্যা নামিয়ে আনা হবে এক হাজারে। তবে ওবামা এটাও বলেছেন যে, এ সব কিছুই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়া বা না হওয়ার ওপর। বিদায়ী আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই মার্কিন সেনা রাখার এমন চুক্তি সই করতে আপত্তি জানালেও দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট চুক্তিটি সই করবেন বলে আশাবাদী ওবামা প্রশাসন। আফগানিস্তানে কারজাইয়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁদের একজন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এবং অপরজন আশরাফ গনি। দুজনই ১৪ জুনের দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি সই করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment