Wednesday, May 28, 2014

ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যা সমাধান সম্ভব জাপানের জাতীয় প্রেসক্লাবে মিডিয়ার মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী


ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যা সমাধান সম্ভব
জাপানের জাতীয় প্রেসক্লাবে মিডিয়ার মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে তাঁর দৃঢ় আশা ব্যক্ত করে বলেন, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যে কোন সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
বুধবার সকালে জাপানের জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশটির স্থানীয় মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি বলেন, নীতিগত ভিন্নতা থাকা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কোন সমস্যা তৈরি হলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারব। মোদির নিজস্ব ধ্যানধারণা রয়েছে। এখন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে নিজস্ব ভূমিকা পালন করবেন। নরেন্দ্র মোদি ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কোন বাধা তৈরি হবে কিনা- জাপানের এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। খবর বাসসর।
এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদকালে ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির কারণে এ নিয়ে দু’দেশের দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান হয়। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় দু’দশকের জঙ্গীবাদের অবসান ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই স্পষ্ট- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা যখন থেকে সরকার গঠন করেছি, প্রতিবেশীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে পেরেছি।’
ভারতেরও একটি পররাষ্ট্রনীতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করব তারা সে নীতি অনুসরণ করবে।
শেখ হাসিনা তাঁর তিন ধাপে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালীন ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারতে ক্ষমতাসীন চারটি পৃথক রাজনৈতিক দলের সরকারের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন এবং সর্বশেষ মোদি সরকার হচ্ছে তাঁর মেয়াদে পঞ্চম।
তিনি বলেন, ‘জনগণকে কিভাবে রক্ষা করতে, নিরাপত্তা দিতে ও ভাল রাখতে হয় তা আমি জানি। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ ছোট ও ভারত একটি বড় দেশ হতে পারে, কিন্তু জনসংখ্যার বিবেচনায় আমরাও একটি বড় দেশ। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আমরা আমাদের জনগণের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি সবসময় বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় বলে আসছি যে আমাদের অভিন্ন শত্রু দারিদ্র্য এবং এর বিরুদ্ধে আমরা একত্রে লড়াই করছি।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছি, যেন আমরা একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারি।’
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-05-29&ni=174326

No comments:

Post a Comment