Thursday, May 29, 2014

দেশকে কি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?

দেশকে কি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?

এম.জাকির হোসেন খান
নারায়ণগঞ্জফেনীলক্ষ্মীপুরসহ দেশব্যাপী হত্যাগুমখুন আর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে এক ভয়ংকরআতংকের এবং আশংকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাগুম এবং নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে অকার্যকর করে দিয়ে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছেএসব ঘটনাগুলোর পরে যতো ভালো কথাই তারা বলুক কিন্তু তাদের অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আর এ কারণে জনগণের ম্যান্ডেটহীন একটি সরকার ক্রমাগত নিষ্পেষণ চালিয়ে যাচ্ছে দেশবাসীর উপরে। এ অবস্থায় অর্থনীতিউন্নয়নসহ সবকিছুই থমকে গেছে,পিছিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে সংবিধানের ৬৫(অনুচ্ছেদ - ‘একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী তিনশত সদস্য লইয়া সংসদ গঠিত হইবে’ এবং ১২২(অনুচ্ছেদ - ‘প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকার-ভিত্তিতে সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে -লংঘন করে সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ভোটারবিহীনএক-তরফা ১০ম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫৪টি সংসদীয় এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে শামীম ওসমান বা নিজাম হাজারীর মত বিতর্কিত এমপি নির্বাচিত হওয়ায় জনগণের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব পালনে সরকার তোয়াক্কা করছেনা। বিরোধী দলবিহীন ক্ষমতার শূণ্যতার সুযোগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপ স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের অপচেষ্টার ফলে সামনে হত্যার রাজনীতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। উল্লেখ্য,১৯৯৬-এর সরকারের সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত শামীম ওসমান বা জয়নাল হাজারীদের সন্ত্রাস সবসময়ই সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। এর পরিণামে রাষ্ট্র ক্রমেই ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হবে তা নিশ্চিতে করেই বলা যায়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, ‘একটি রাষ্ট্রে যখন যুদ্ধবাজ বা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ব্যাপক প্রাধান্য পায়,তখুনি রাষ্ট্রটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ’ সার্বিকভাবেএকটি রাষ্ট্র তখনি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় যখন তা অকার্যকর বা দুর্বল হয়ে সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রদানে সমর্থ হয়না;অপরাধের পরিমাণ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির মাত্রা অনেক বেশি থাকায় সরকার নাগরিকদের প্রাপ্য মৌলিক সেবা প্রদানে সমর্থ থাকেনাআমলাতন্ত্র এবং বিচারালয়ের অকার্যকরতার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি সরকারের চেয়ে অধিক ক্ষমতাধর হয়বহির্বিশ্বের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতাকেও হ্রাস পায়এবং অর্থনৈতিক দূর্দশা ত্বরান্বিত হয়।
বিশ্বব্যাপী ব্যর্থ রাষ্ট্রের সূচক প্রকাশের সাথে জড়িত ফান্ড ফর পিস প্রণীত ব্যর্থ রাষ্টের সূচক অনুযায়ী২০১৩ সালে ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৯তম। সর্বোচ্চ ব্যর্থ রাষ্ট্র বলে অবস্থানরকারী সোমালিয়ার চেয়ে বাংলাদেশ সূচক কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ২০১২ এর তুলনায় তা ০.৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯২.৫ এ দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন দাড়িয়েছেচলমান গুমহত্যাদুর্নীতি এবং অর্থনীতির অধোগতি এবং সর্বোপরি নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা চরমে পৌঁছায় বাংলাদেশ কি তাহলে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
এশিয়া প্যাসেফিক ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইনডেক্স ২০১৪ অনুসারেএশিয়ার ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে অথচ ২০১১ এবং ২০১২ সালেও এ অবস্থান ছিলো ১৮তম। সবচেয়ে আশংকার কথা হলোআইনের শাসনে ৩০ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ায় সর্বনিম্ন। বর্তমান হত্যা এবং নিরাপত্তাহীনতা আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আইনের শাসনের বদলে দুর্জনদের শাসন আরো বিস্তৃতি লাভ করবে তা ক্রমেই পরিস্কার। টিআইবি’র জাতীয় শুদ্ধাচার ব্যবস্থার বিশ্লেষণ ২০১৪ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এর প্রধান কারণ হলোজনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার তেমন সুযোগ না থাকায় আইন প্রণয়নের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধিরা প্রায়ই দুর্নীতি এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়োজিত। সংসদ সদস্যকায়েমী স্বার্থ গোষ্ঠী এবং ব্যবসা এই ত্রি-চক্রের হাতে নীতি-কাঠামো নিয়ন্ত্রিত। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে ‘প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ফলে প্রধানমন্ত্রী সরকারের নির্বাহী বিভাগের ওপর একচ্ছত্র ক্ষমতার চর্চা করে থাকেন। আইন সভা,নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার অসমতার ফলে নির্বাহী বিভাগের আধিপত্য বিরাজমান। নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দলীয় পক্ষপাত থাকা এবং নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করণে আইনী বাধ্যবাধকতা অনুপস্থিত থাকাএবং একইসাথে রাষ্ট্রের বা সরকার প্রধানের কিংবা মন্ত্রী পরিষদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশের কোন আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই’।
উল্লেখ্য৯ম সংসদ থাকার পরেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ ভারসাম্যহীন থাকায় রাষ্ট্র এমনিতেই কার্যকরভাবে চলেনি। তারপর ১০ম সংসদ নির্বাচনের নামে অপ্রতিনিধিত্বশীল বা বিরোধী দলবিহীন সংসদ হওয়ায় সরকার সব ধরনের জবাবদিহিতার বাইরে চলে যাওয়ায় বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে এবং রাষ্ট্র এক শ্রেণীর সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে যে উত্তরণ সম্ভব নয় তার কারণ আইন-শৃংখলা বাহিনী বিশেষ করে টিআইবি’র ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের কার্যক্রমে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতাস্বজনপ্রীতিও ঘুষের উপর নির্ভরশীল নিয়োগ-বদলি-পদোন্নতি হওয়াক্ষমতাসীন দলের কাছে জিম্মি থাকা এবং অবাধ্য হলে চাকরিচ্যুত হবার ঝুঁকিআমলাতন্ত্রব্যবসায়ী এবং অপরাধী চক্রের সাথে পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ সম্পর্ক থাকা;পুলিশ প্রশাসনে দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্ব করাপুলিশের অসদাচারন সম্পর্কে অভিযোগ করতে জনগণ ভীত থাকাএবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ব্যক্তিগত স্বার্থে বিচারের উর্দ্ধে থাকার সুযোগ ভোগ করায় পুলিশ বাহিনীর জবাবদিহিতা কাঠামো ভেঙে পড়েছে এবং জনস্বার্থে কাজ করছেনা’। এর ফলে নিরীহ এবং ক্ষমতাহীন জনগণ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। সম্পদের বণ্টনসেবা প্রদান,পণ্য ক্রয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্নীতির বিস্তার লাভরাজনৈতিক বিবেচনায় বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখায় প্রশাসন পরিচালনায় যোগ্য লোকের ঘাটতি ব্যাপকভাবে বেড়ে সরকার অকার্যকর হয়ে রাষ্ট্রকে ব্যর্থ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান সরকার।
শুধু তাই নয়মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে দুদক বা বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাস্তবেসরকারের গৃহীত পূর্ব পরিকল্পনারই অংশ হিসাবে অবারিত দুর্নীতির পথ উন্মোচন করে বর্তমান মেয়াদে ক্ষমতায় আসার আগে দুদক আইন ২০১৩ সংশোধনীর মাধ্যমে দুদককে অকার্যকর করে। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় দুদকে নিযুক্ত চেয়ারম্যানকমিশনারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীএমপি এবং নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দায়েরকৃত মামলা গণহারে প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়ে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সীমিত সম্পদ একটি শ্রেণীর হাতে কুক্ষিগত হওয়ায় এবং সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় সরকার নাগরিকদের প্রাপ্য মৌলিক সেবা প্রদান করতে পরছেনা। এর বিনিময়ে দুদকের কমিশনাররা সম্পদের বিবরণ দাখিল না করে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের কাছ থেকে। আর এভাবেই রাষ্ট্র ক্রমেই একটি গোষ্ঠীর হাতে চলে যাচ্ছেযা রাষ্ট্র ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ।
ন্যায়বিচার বা সামাজিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা থাকলেও টিআইবি’র মতে, ‘‘নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথক হলেও নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক নিম্ন আদালত এখনও প্রভাবিত হওয়ায় সত্যিকারের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জন আকাংখা এখনো পূরণ হয়নি। সকল সরকারের সময়েই বিচার বিভাগ অব্যাহতহারে রাজনৈতিকভাবে দলীয়করণ হওয়ায় বিতর্কিত নিয়োগপদোন্নতিচাকুরীচ্যুতি এবং বিচারকদের আচরণের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সার্বিকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের অনুপস্থি’তি বিচার ব্যবস্থার অন্যতম দুর্বলতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে”। কার্যকর সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় যদি রাষ্ট্রের তিনিটি বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দ্রুত প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত না করলে রাজনৈতিক অস্থিরতা আবারো শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এশিয়া প্যাসেফিক ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইনডেক্স ২০১৪ মতেরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিমাপেও এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে (স্কোর মাত্র ২৭ দশমিক ৮)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘গত জানুয়ারির নির্বাচনের কারণে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছেযা বিদেশিদের বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে”। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায়বিনিয়োগসঞ্চয়রাজস্ব আয়েও বৈদেশিক সম্পদ প্রাপ্তিতে ষষ্ঠ পাঁচসালা পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা বিগত সরকারের আমলে ৫টি বাজেটের একটিও পূরণ করতে পারেনি। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা ২০১৫-এর মাঝামাঝি শেষ হয়ে যাওয়া এই পাঁচসালা পরিকল্পনার লক্ষ্য অপূরণীয়ই থেকে যাবে। তারপরেও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা বর্তমান সরকারের অভ্যাসের ফলে আর্থ-রাজনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব চরমে ওঠেছে। রপ্তানি আয় বিগত চার মাসে অনেকটাই কমে গেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতের আয়ও বিগত অর্থবছরের এই সময়টার তুলনায় হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। খাদ্যশস্য ছাড়া ভোগ্যপণ্যের আমদানিও হ্রাস পেয়েছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। আর রাজস্ব আয় অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। চলমান বিনিয়োগ মন্দা আরো জটিল হয়ে গোটা অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
নাগরিকদের সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় সেগুলো অকার্যকর করে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করাদুর্নীতি এবং দলীয়করণের কারণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এখন শুধু নামেই অকার্যকর নয়কাজেও অকার্যকর। পানি-গ্যাসফোন,বিদ্যুৎ সেবা গ্রহণ এবং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি অতি সাধারণ ঘটনা। ফলে নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে সরকার এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর এ কারণে দেশি-বিদেশি চক্রের হাতে আবদ্ধ হয়ে সুশাসনগণতন্ত্রউন্নয়ন ব্যহতই হচ্ছে তীব্র মাত্রায়। যে অবস্থা চলছে তাতে দুর্নীতিক্ষমতাসীনদের ভয়াল থাবা সবকিছুকেই যেন গ্রাস করে ফেলছে।।

No comments:

Post a Comment