Tuesday, February 2, 2016

শিশুরা ভালো নেই! চাষার পো শরণার্থী আমি সেই শিশু যে হারিয়েও হারাইনি! ইউরোপে যাওয়া ১০ হাজার শরণার্থী শিশু নিখোঁজ! পলাশ বিশ্বাস



শিশুরা ভালো নেই!

চাষার পো শরণার্থী আমি সেই শিশু যে হারিয়েও হারাইনি!

ইউরোপে যাওয়া ১০ হাজার শরণার্থী শিশু নিখোঁজ!



পলাশ বিশ্বাস


মৃত পৃথিবী


পৃথিবী কি আজ শেষে নিঃস্ব

ক্ষুধাতুর কাঁদে সারা বিশ্ব,

চারিদিকে ঝরে পড়া রক্ত,

জীবন আজকে উত্যক্ত ।

আজকের দিন নয় কাব্যের

পরিণাম আর সম্ভাব্যের

ভয় নিয়ে দিন কাটে নিত্য,

জীবনে গোপন-দু্র্বৃত্ত ।

তাইতো জীবন আজ রিক্ত,

অলস হৃদয় স্বেদসিক্ত;

আজকে প্রাচীর গড়া ভিন্ন

পৃথিবী ছড়াবে ক্ষতচিহ্ন ।

অগোচরে নামে হিম-শৈত্য,

কোথায় পালাবে মরু দৈত্য ?

জীবন যদিও উৎক্ষিপ্ত,

তবু তো হৃদয় উদ্দীপ্ত,

বোধহয় আগামী কোনো বন্যায়,

ভেসে যাবে অনশন, অন্যায় ॥


সুকান্ত ভট্টাচার্যকে মনে পড়ে?


শুধু কি আইলান হারায়?

দুর্মুখ আমি,নিস্পাপ শিশুদের মুখে মুখে ফুটে থাকা লাল গোলাপে  আমি ঔ হারিয়ে যাওয়া এই পৃথীবীর সমস্ত শিশুদের মিছিল দেখতে পাই আর জীবন যাপন দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়!অথচ এই বাংলাই এক অকাল প্রয়াত কবি ঝলসানো চাঁদে রুটির ছবি দেখতে দেখতে প্রতিজ্ঞা করেছিলনে ভবিষত প্রজন্মের কাছে,পৃথীবীতে যেন ভালো থাকে শিশুরা!


শিশুরা ভালো নেই!তরতরিযে বেড়ে ওঠার বিজ্ঞাপন,হাগিস ও তামাম রং বেরংবাজারি উপকরণের মধ্যেও শিশুরা হারিয়ে যায়!শিশু ও কিশোরেরা বিভিন্ন অপরাধী চক্রের দ্বারা যৌন নিপীড়ন ও দাসত্বের শিকার হচ্ছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে তারা।ইহা এই ভারতবর্ষে নোবেল শান্তি পুরস্কারের অপর পিঠ!



বিভক্ত দুই বাংলার মাঝখানে সেই বধ্যভূমি,যেখানে অনাম শিশুদের সব মিছিল হারিয়ে যায় এবং তাঁদের কোনো খবর হয় না!


এই ধর্ষণ ভূমিতে,ধর্ষণ সুনামিতে মায়ের গর্ভ চিরে শিশুহত্যা বাংলাদেশ যুদ্ধে বেয়নেটে বিদ্ধ শিশুদের ছবি,সোমনাথ হোড়ের দুর্ভিক্ষের ছবি এবং কাঁটাতারে ঝোলানো ফেলানির লাওয়ারিশ লাশের ছবিগুলোকে ম্লন করে দিয়ে পৃথীবীর সমস্ত শিশুকে হত্যা করার চক্রানতে আজ গৌরিকায়ন!

জাহারই মধ্যে পিপিপি মুক্তবাজারি উন্নয়নে নারী পাচার শিশু পাচার একমাত্র শিল্প,অপরাধকর্ম অর্থ ব্যবস্থা,অবাধ লুন্ঠন সংস্কার!


মরিচঝাঁপির সেই সব শিশুদের মধ্যে আমায় লাশ হয়ে ভেসে যেতে হয়নি!সীমান্ত পারাপারে লাশ হয়ে যেতে হয়নি!


তবু আমি সেই শিশু,চাষার পো শরণার্থী আমি সেই শিশু যে হারিয়েও হারাইনি!সংবাদে প্রকাশ,ইউরোপে পৌঁছানোর পর গত দুই বছরে 'হারিয়ে গেছে' ১০ হাজারের বেশি শরণার্থী শিশু।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট ইউরোপোল এ কথা বলেছে। খবর বিবিসির।


ইউরোপোল জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে এসব শিশু ইউরোপে আসার পর বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে।

এরপরই তারা নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। শিশু ও কিশোরেরা বিভিন্ন অপরাধী চক্রের দ্বারা যৌন নিপীড়ন ও দাসত্বের শিকার হচ্ছে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে তারা।


বিভিন্ন অপরাধী চক্রের খপ্পরে পড়ে ইউরোপে শরণার্থী শিশু ও কিশোরেরা নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে বলে আগে থেকেই অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু ইউরোপজুড়ে কত শিশু এমন ঘটনার শিকার হয়েছে, সে বিষয়ে এই প্রথম ইউরোপোল তথ্য দিল।


ইউরোপোলের প্রধান কর্মকর্তা অবজারভার পত্রিকাকে বলেন, 'এটা বলা অযৌক্তিক হবে না যে আমরা ১০ হাজারের বেশি শিশুর খোঁজ করছি।


তাদের সবাই অপরাধীদের খপ্পরে পড়েছে, তা নয়। কাউকে কাউকে হয়তো পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোথায় আছে, আমরা সেটা জানি না।'

এর আগে গত বছরের মে মাসে ইতালির কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তাঁদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় পাঁচ হাজার শিশু নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।




শরণার্থী কাহারে কয়?

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০০৬ সালে দক্ষিণ লেবাননে অবস্থানকারী লেবাননীয় শরণার্থী

শরণার্থী বা উদ্বাস্তু (ইংরেজি: Refugee) একজন ব্যক্তি যিনি নিজ ভূমি ছেড়ে অথবা আশ্রয়েরসন্ধানে অন্য দেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করেন। জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রতা, জাতীয়তাবোধ,রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্তই এর প্রধান কারণ। যিনি শরণার্থী বা উদ্বাস্তুরূপে স্থানান্তরিত হন, তিনি আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হন। আশ্রয়প্রার্থীব্যক্তির স্বপক্ষে তার দাবীগুলোকে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে।[১]

৩১ ডিসেম্বর, ২০০৫ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান, ইরাক, সিয়েরালিওন, মায়ানমার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং ফিলিস্তিন থেকে বিশ্বের প্রধান শরণার্থী উৎসস্থল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।[২] আইডিপিঅনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশী শরণার্থী ব্যক্তি এসেছে দক্ষিণ সুদান থেকে প্রায় ৫ মিলিয়ন। জনসংখ্যাঅনুপাতে সবচেয়ে বেশী আইডিপি রয়েছে আজারবাইজানে। সেখানে ২০০৬ সালের তথ্য মোতাবেক প্রায় আট লক্ষ শরণার্থী অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।[৩]


সংজ্ঞার্থ নিরূপণ[সম্পাদনা]

১৯৫১ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক শরণার্থীদের মর্যাদা বিষয়ক সম্মেলনে অনুচ্ছেদ ১এ-তে সংক্ষিপ্ত আকারে শরণার্থীর সংজ্ঞা তুলে ধরে। একজন ব্যক্তি যদি গভীরভাবে উপলদ্ধি করেন ও দেখতে পান যে, তিনি জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উন্মাদনা, জাতীয়তাবোধ, রাজনৈতিক আদর্শ, সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ায় ঐ দেশের নাগরিকের অধিকার থেকে দূরে সরানো হচ্ছে, ব্যাপক ভয়-ভীতিকর পরিবেশ বিদ্যমান, রাষ্ট্র কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে; তখনই তিনি শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন।[৪] ১৯৬৭ সালের সম্মেলনের খসড়া দলিলে উদ্বাস্তুর সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করা হয়। আফ্রিকাল্যাটিন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক সম্মেলনে যুদ্ধ এবং অন্যান্য সহিংসতায় আক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক নিজ দেশত্যাগ করাকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

এ সংজ্ঞায় শরণার্থীকে প্রায়শঃই ভাসমান ব্যক্তিরূপে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সম্মেলনে গৃহীত সংজ্ঞার বাইরে থেকে যদি যুদ্ধের কারণে নির্যাতন-নিপীড়নে আক্রান্ত না হয়েও মাতৃভূমি পরিত্যাগ করেন অথবা, জোরপূর্বক নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত হন - তাহলে তারা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।[৫]


--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment