Saturday, August 2, 2014

এনসেফেলাইটিসে মৃত ও অসুস্হদের ক্ষতিপূরণের দাবি বি জে পি-র, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ

এনসেফেলাইটিসে মৃত ও অসুস্হদের ক্ষতিপূরণের দাবি বি জে পি-র, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ

আজকালের প্রতিবেদন: উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিসে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং অসুস্হদের নিখরচায় চিকিৎসার সঙ্গে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে রাজ্য বি জে পি৷‌ শনিবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে জাপানি এনসেফেলাইটিসের অবস্হার কথা জানিয়েছেন বি জে পি নেতৃবৃন্দ৷‌ এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বি জে পি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন‍্হা, সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার৷‌ রাহুল সিন‍্হা সাংবাদিকদের বলেন, এদিনই উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরলাম৷‌ মহামারীর আকার নিয়েছে এনসেফেলাইটিস৷‌ শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণবঙ্গেও পা রেখেছে এনসেফেলাইটিস৷‌ আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে কথা বলেছি৷‌ তিনি কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল টিম পাঠানো থেকে শুরু করে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চেয়েছিলেন৷‌ কিন্তু রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে৷‌ কেন্দ্রীয় সাহায্যের দরকার নেই৷‌ রাজ্যপালকে এই ভয়াবহ পরিস্হিতির কথা জানালাম৷‌ তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন এবং রিপোর্টও নেবেন৷‌ আমরা দাবি করছি, এত বড় বিপর্যয় যখন হয়েছে তখন স্বাস্হ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত৷‌ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, চোলাই মদে মারা গেলে যেখানে সরকার ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পারে, সেখানে এখন দেবে না কেন? দক্ষিণবঙ্গে যখন এনসেফেলাইটিস পা রেখেছে, তখন পুরসভা বা স্বাস্হ্য দপ্তর এখনও কোনও ব্যবস্হা নেয়নি৷‌ উত্তরবঙ্গে গ্রামে-শহরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷‌ এখনও এই রোগ নিরাময়ের পরিকাঠামো আমাদের রাজ্যে নেই৷‌ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কোনও ব্যবস্হাও নেওয়া হয়নি৷‌ তাঁর অভিযোগ, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি৷‌ গত কয়েক দিন ধরেই এনসেফেলাইটিসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷‌ মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের৷‌ উত্তরবঙ্গের শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই থাবা বসিয়েছে এনসেফেলাইটিস৷‌ 

এদিকে দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে আর কেউ এনসেফেলাইটিসে আক্রাম্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হননি৷‌ অন্য দিকে এনসেফেলাইটিসে আক্রাম্ত আড়াই বছরের জেসমিন পরভিনের শারীরিক অবস্হা কিছুটা উন্নতির দিকে৷‌ সরকারি হিসেব মতো এখন পর্যম্ত কলকাতার হাসপাতালে এনসেফেলাইটিসে আক্রাম্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪ জন৷‌ মৃত্যু হয়েছে ১ জনের৷‌ শনিবার রাজ্যের স্বাস্হ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথি আবার দাবি করেছেন, এনসেফেলাইটিসে দক্ষিণবঙ্গে কেউ আক্রাম্ত হয়নি৷‌ কলকাতার হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা সকলেই বাইরে থেকে অসুস্হ হয়ে এসেছিলেন৷‌ এদিকে এনসেফেলাইটিস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্হা নিয়েছে সরকার৷‌ তৎপর রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাও৷‌ চলছে শুয়োর ধরা অভিযান৷‌ কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের পর আর জি কর হাসপাতালের পাশের খাল থেকে ধরা হচ্ছে শুয়োর৷‌ আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চলবে৷‌

No comments:

Post a Comment